১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একজন ভিক্ষুকের ছেলে আনসু ফাতি

- ছবি : সংগৃহীত

আনসু ফাতির জন্ম পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ‘গিনি বিসাউ‘য়েতে। দেশটি এক সময় পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। সেখান থেকে পর্তুগালে চলে এসে ফুটবলকেই পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন তার বাবা বোরি ফাতি। একটা সময় তার কানে আসে আন্দালুসিয়া নামের এক শহরের কথা, যেখানে গেলে অভিবাসীদের কাজ মিলে। তিনি চলে এলেন সেখানে। পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা থাকার কারণে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করতে হয়েছে তাকে। একটা সময় শহরে এসে নিলেন গাড়ি চালানোর কাজ।

তারপরে তিনি আশেপাশের শহর হেরেরাতে স্থায়ীভাবে থাকা শুরু করলেন, যেখানে আনসু তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটাতেন এবং যেখানে তিনি 'সিডিএফ হেরেরা' এবং সেভিয়া এফসিতে তার ফুটবল  প্রশিক্ষণ নেন।

ফাতির বড় ভাই ব্রেমা সেভিয়া এফসি'র জন্য স্বাক্ষর করেন, তাই ফাতিও ছয় বছর বয়সে তার পরিবার নিয়ে সেভিয়ার হেরেরাতে চলে আসেন। স্থানীয় ক্লাব সিডিএফ হেরেরা এবং সেভিয়ার যুব দলগুলির প্রতিনিধিত্ব করার পরে, তিনি আর তার ভাই একসাথে এক বছর পরে ২০১২ সালে এফসি বার্সেলোনার "লা মাসিয়া" একাডেমিতে ১০ বছর বয়সে যোগদান করেছিলেন।

গত মাসে আনসুর ফাতির বাবা এ বলেন, "রিয়াল মাদ্রিদ বার্সা  থেকে অনেক ভাল চুক্তি অফার করেছিল কিন্তু বার্সা আমাদের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে চুক্তিতে আমাদের রাজি করায়। যখন ফাতি বলেছিল যে তাকে বার্সার মুল একাদশে ডাকা হয়েছে তখন আমি আর আমার স্ত্রী খুশিতে  কান্না করছিলাম।"

২৪ জুলাই ২০১৯ এ ফাতি একটি চুক্তিতে সম্মত হয়ে কাতালানদের সাথে তার প্রথম পেশাদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যার মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত। তারপর ২৫ আগস্ট লা লীগাতে অভিষেক হয় রিয়াল বেতিসের সাথে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে।

তারপরের ঘটনাতো সবারই জানা। ৩১ তারিখে বার্সার হয়ে প্রথম গোল করেন অসাসুনার মাঠে মাত্র ১৬ বছর ৩০৪দিন বয়সে। তিনি এখন বার্সার ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা এবং লা লীগার ৩য় কম বয়সী গোলদাতা।ফাতি এখন লা লীগার প্রথম কম বয়সী খেলোয়ার যিনি একইসাথে গোল এবং এসিস্ট করেছেন।

আনসু ফাতি এখনও কোন জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি। গুঞ্জন আছে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তাকে ২০১৯ এর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দলে রাখতে চায়।ফাতি চাইলে পর্তুগালের হয়েও খেলতে পারে। যদিও ফাতির ইচ্ছা নাকি স্পেন এর হয়ে খেলা।


আরো সংবাদ



premium cement