২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘ভালো খেলে বাদ পড়লে খুশি হতেন?’

কোচ জেমি ডে ও অধিনায়ক জামাল ভূইয়া - ফাইল ছবি

কেন বাংলাদেশ জিততে পারলো না, কেন এতো মিস, ভুল গুলো কোথায় হয়েছে এই সব প্রশ্নে বিরক্তই হলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে ও অধিানয়ক জামাল ভূঁইয়া। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, তোমরা কোনটায় খুশি? দল ভালো খেলেও বাদ পড়ায় নাকি দল কোয়ালিফাই করায়? তাদের এই প্রশ্ন ছিল অবশ্য হাসি মুখে।

খুশির এই অভিব্যক্তিই তারা উৎফুল্ল চিত্তে প্রকাশ করছিলেন গতকাল কাতার বিশ্বকাপ ও চীন এশিয়ান কাপের প্রাকবাছাই পর্ব উৎরে বাছাই পর্বে খেলা নিশ্চিত করার পর। লাওসের সাথে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গোলশূন্য ড্র করে এই অর্জন। তা মূলত ৬ জুন লাওসের মাঠে ১-০তে জয়ের ফলে। যা অ্যাগ্রিগেটে ১-০তে এগিয়ে রাখে তাদের।

কোচ ও অধিনায়ক দু’জনেরই জবাব, ‘আমরা কোয়লিফাই করেছি এটাইতো বড়। এখন আমরা এই অর্জনকে উদযাপন করতে চাই।’ তবে এই আনন্দ উদযাপনে কী থাকছে তা বললেন না জামাল। তার উত্তর, এটা গোপনই থাকুন।

তবে বাংলাদেশ দল গোল করতে না পারায় এবং হোমে জিততে না পারায় কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট কোচ জেমি ডে। জানান, ‘আমরা ভালো ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচে ছিল আধিপত্য। চারটি পরিষ্কার চান্স তৈরি করেছি। শুধু গোলই পাইনি।’ তার বক্তব্য, ‘জীবনের অবশ্যই গোল করা উচিত ছিল। বাংলাদেশ গোল না পাওয়ায় আসলেই আমি হতাশ।’ তবে এই প্রাপ্তিতে তিনি কোনো ফুটবলারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন না। বরং তাদের নিজের আড়ালেই রাখলেন। জানালেন, আমি গর্বিত এই ফুটবলারদের নিয়ে। যারা দলকে কোয়ালিফাই করিয়েছে। এটা তাদের এক বছরের কঠোর পরিশ্রমে ফসল। বলেন, সবাই উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারবে কিনা; কিন্তু আমি কখনই সেই কাতারে ছিলাম না। এখন আমরা কোয়ালিফাই করেছি কোনো গোল হজম না করে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এই ইংলিশ কোচ পাল্টা প্রশ্ন ছিল, ‘বলুন তো কবে বাংলাদেশ টানা তিন ম্যাচ জিতেছে? সেই কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর লাওসের মাঠে জয়। এবার ঢাকার মাঠের অপরাজিত (কোচ লাওসের সাথে ড্র কে জয় হিসেবেই ধরেছেন)। গত ত্রিশ বছরে কি বাংলাদেশ এটা করতে পেরেছে? সুতরাং আমি দারুন খুশী এই সাফল্যে।’

জামালের বক্তব্য, ‘আমরা যদি ভালো খেলতাম, টিকিটাকা ফুটবল উপহার দিতাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে যেতাম তাহলে কি লাভ হতো? সবাই তো ব্যর্থই বলতো। সেখানে আমরা হোম ম্যাচে জিততে না পারলেও দলতো বাছাই পর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। কোয়ালিফাই করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ এরপরই তিনি যোগ করেন, আসলে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। যা আমরা খেলে থাকি। এই ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল লাওসের ডিফেন্স লাইনের পেছেনে বল ফেলা। আসলে একেক ম্যাচে থাকে একেক কৌশল। একেক স্টাইল।

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জুলাই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র।


আরো সংবাদ



premium cement