২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় এসে বাংলাদেশকে হারাতে চায় লাওস

ঢাকায় এসে বাংলাদেশকে হারাতে চায় লাওস - সংগৃহীত

লম্বা সময় ধরে জয় শূন্য ছিল লাওস দল। গত মে মাসেই শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে তাদের সেই অপেক্ষার অবসান হয়। নিজ মাঠে ২-১ গোলে হারায় লংকানদের। অপর ম্যাচে অবশ্য তারা ড্র করে ২-২ এ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ জুনের ম্যাচে আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ায় ছিল লাওসের এই দুই প্রস্তুতি ম্যাচের লক্ষ্য।

লক্ষ্য ছিল একটাই- ভিয়েনতিয়েনের মাঠে বাংলাদেশকে কাবু করে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ এ চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এই মিশনে এক বছর আগে দায়িত্ব নেয়া সিঙ্গাপুরের কোচ সুন্দরমুর্তি মোরথাই মাসখানেক আগে জাতীয় দলকে অনুশীলনে ডাকেন।
হোম ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা মতোই শুরু করেছে লাওরা। আর তা হল- শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলা। কিন্তু তারপরও তারা কোনো গোল পায়নি। উল্টো বাংলাদেশ তাদের ১-০তে হারিয়ে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে অগ্রবর্তী অবস্থানেই রয়েছে। ফলে ১১ জুন ঢাকায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ন্যূনতম ড্র।

অন্যদিকে লাওসকে জিততে হবে কমপক্ষে ২-১ গোলে। তারা ১-০তে জয় পেলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে এবং টাইব্রেকারে। লাওস কোচ অবশ্য নির্ধারিত সময়েই শেষ করতে চান খেলা। বাংলাদেশকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাঙ্ক্ষিত স্কোর লাইনের টিকিট কাটাতে চান বাছাই পর্বের। এই বাছাই পর্ব শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বরে।

রাওস কোচ সুন্দরমুর্তি মোরথাই জানালেন,‘এখনও আমরা রেসে আছি। যদি ৬ জুনের খেলায় ৩-০ বা ৪-০তে হেরে যেতাম তাহলে ধরেই নিতাম সব শেষ। কিন্তু আমাদের হার তো মাত্র ১-০তে। সুতরাং ঢাকায় অ্যাওয়ে ম্যাচেই আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’

অবশ্য হোম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে লাওসের হারের জন্য কোচ দায়ী করলেন দূর্ভাগ্যকে। তার মতে,‘প্রথমার্ধে একচেটিয়া খেলেও গোল পাইনি আমরা। বিরতির পর আমরা জয়ের জন্য মরিয়া ছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি তাতেও। উল্টো হেরেছি সফট গোলে। ব্যর্থ হয়েছে আমাদের সেট পিসগুলো।’

অবশ্য এ জন্য তিনি বাংলাদেশের গোলরক্ষক রানাকে কৃতিত্বও দিয়েছেন। সাথে তার প্রশংসা লাল সবুজদের ডিফেন্স লাইন এবং মিডফিল্ডার বিপলু ও লেফট উইংয়ে খেলা প্রথমে আরিফ এবং পরে নামা রবিউলের। তার মতে, বাংলাদেশের দুই স্টপার ব্যাক অসাধারণ খেলেছে।

তার দেয়া তথ্য, ‘ইনজুরির জন্য আমরা একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হোম ম্যাচে খেলাতে পারিনি। আশা করি ঢাকায় তাকে পাবো। সিঙ্গাপুরের এই কোচ উদহারণ টানেন, বাংলাদেশের নিজ মাঠে হারের বহু ঘটনা আছে। আমরা পরের ম্যাচে ফের সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই।

হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল এবং জয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচ। তা অ্যাগ্রিগেটের জন্য। বাংলাদেশ জাতীয় দল এই প্রথম কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলো। এর আগে অনূর্ধ্ব-২৩ দল ২০০৭ সালে হংকংকে তাদের মাটিতে ১-০ গোলে হারিয়েছিল অলিম্পিক বাছাইয়ে।

অবশ্য লাওসের মাটিতে এই সাফল্যে অতোটা উফুল্ল নন অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। লাওস ছাড়ার আগে বলেন, ‘আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচে লাওসকে হারিয়েছি ঠিকই কিন্তু যে খেলা উপহার দিয়েছি আমরা তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। থাইল্যান্ডে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছিল তা আমরা খেলতে পারিনি লাওসের মাটিতে।’

তার সতর্কবার্তা, ‘এখনও আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি বাছাই পর্বে খেলাটা। এই পর্ব পার পেতে হলে পরের ম্যাচে আরো ভালো খেলতে হবে। লাওস কিন্তু কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের সেট পিসগুলো ভয়ংকর। মাত্র এক গোলে হারায় এখনও তাদের সুযোগ আছে কাম ব্যাক করার।’

একই সুর কোচ জেমি ডে’রও। খুশী বাংলাদেশ দল কোনো গোল না হজম করে লাওস জয় করায়। এখন তার লক্ষ্য ঢাকাতেও জয়ের ধারা অব্যহত রাখা। অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ তে জেতা মানে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়া। তা মেনে নিয়েই বাংলাদেশের এই ইংলিশ কোচ সর্বশেষ ঢাকা সাফের উদহারণ টেনে বলেন ‘সাফে আমরা ভূটান এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলাম সেমিতে চলে গিয়েছি। ওই দুই ম্যাচেও কোনো গোল খাইনি। এরপরও শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন ভঙ্গ নেপালের কাছে হেরে। সুতরাং ঢাকাতেও জিততে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement