১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক ব্যক্তি দুই দলের কোচ

রেজাউল হক জামাল - সংগৃহীত

দেশে লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা কম নয়। এরপরও দলগুলো কোচ সংকটে ভোগে। যে কারনে একই কোচকে দায়িত্ব দেয় একাধিক ক্লাব। এটা অবশ্য বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এবং মহানগরীর লিগ গুলোতেই এ ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। বর্ষীয়ান এবং এখন অসুস্থ আলমগীর ওস্তাদকে গত মওসুমেও দুই ক্লাবের দায়িত্বে দেখা গেছে।

তবে গতকাল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে রেজাউল হক জামালকে দুই দলের খেলোয়াড় তালিকায় কোচ হিসেবে উল্লেখ করে অদ্ভূত ঘটনার জন্ম দিয়েছে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। তারা একই সাথে ফরাশগঞ্জ এবং ঢাকা সিটি এফসির খেলোয়াড় তালিকায় কোচ হিসেবে দেখিয়েছে জামালকে। এ নিয়ে ম্যাচ চলাকালীন লিগ কমিটিকে লিখিত অভিযোগ করেছে ফরাশগঞ্জ।

এবারের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের প্রথম থেকেই ফরাশগঞ্জের হেড কোচ ছিলেন জামাল। কিন্তু গতকাল থেকে ফিরতি পর্ব শুরু হওয়ার পর দেখা গেল তাকে কোচ হিসেবে দেখিয়েছে ঢাকা সিটি এবং পুরোনো ক্লাব ফরাশগঞ্জও।

বাফুফের কম্পিটিশনস ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী রনি জানান , ঢাকা সিটি তাদের কোচ হিসেবে জামালের নাম জমা দিয়েছে আমাদের কাছে। সাথে চুক্তিপত্রও। কিন্তু ফরাশগঞ্জ কখনই জামালের সাথে তাদের চুক্তির কপি আমাদের দেয়নি। তারা কিছু দিন আগে জামালকে শো’কজ করার অনুলিপি আমাদের জমা দিয়েছে। এই অনুলিপির উপর ভর করে তো আমরা কোচ জামালের বিপক্ষে কোনো অ্যাকশনে যেতে পারিনা। ফরাাশগঞ্জতো সরাসরি আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। দিয়েছে মাত্র অনুলিপি। তাই আমরা আইনত: আগের তালিকা অনুযায়ী ফরাগঞ্জের এবং ঢাকা সিটির চুক্তির কপি এবং কাগজ অনুযায়ী দুই দলের কোচ হিসেবেই জামালের নাম উল্লেখ করেছি।

ফরাশগঞ্জ অবশ্য মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে জামালের বিপক্ষে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে আমাদের কাছে।
ফরাশগঞ্জের কর্মকর্তা মানস বোস বাবু রাম জানান, জামাল লিগের শুরু থেকেই আমাদের কোচ। কিন্তু প্রথম পর্বের পর থেকে তিনি আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন না। তাই তাকে আমরা শো’কজ করি। কিন্তু এরও কোনো উত্তর দেননি তিনি। এখন দেখি ঢাকা সিটির কোচ হিসেবে তার নাম। অথচ তিনি আমাদের কোচ। বিষয়টি জানিয়েছি বাফুফেকে।

রেজাউল হক জামালের জবাব, আমার সাথে ৪ লাখ টাকায় কাজ করার কথা হয়েছিল ফরাশগঞ্জের। কোনো লিখিত চুক্তি নয়। এর মধ্যে শুরুতে এককালীন দেয়ার কথা ছিল ২ লাখ টাকা। কিন্তু তিন মাসে তারা মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাও ২০ হাজার করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে।। এরপর তাদের সাথে টাকার জন্য যোগাযোগ করলেও তারা সাড়া দিচ্ছিল না। ঠিক এই সময়ে ঢাকা সিটি এফসি থেকে ভালো অফার পওয়ার পর ঢাকা সিটিতে যোগ দিয়েছি।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement