২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভাবিনি আমার গোলেই জিতবে বাংলাদেশ : রবিউল

গোলের পর রবিউলের (২৪) উল্লাস - নয়া দিগন্ত

সাফ ফুটবলে একেবারে শেষ সময়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রবিউল হাসান। আসরের নিয়ম অনুযায়ী তিন গোলরক্ষককে সুযোগ দিতে গিয়েই এ সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি।

অবশ্য এর পরেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সুযোগ লাভ করেন লালসবুজ জার্সি গায়ে তোলার। আর শনিবার টাঙ্গাইলের এই মিডফিল্ডার হয়ে গেলেন একোবারে জয়ের নায়ক। তার দেয়া গোলে ১-০ তে বাংলাদেশ পরাজিত করে কম্বোডিয়াকে। এর মাধ্যমে তিন বছর পর বিদেশের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৫ এর সাফে বাংলাদেশ সর্বশেষ জিতেছিল ভারতের কেরালায় ভুটানের বিপক্ষে।

ম্যাচ শেষে গোলদাতা রবিউল জানান, ‘আমি ভাবিনি আমার গোলে বাংলাদেশ জিতবে। আমি যখন বদলী হিসেবে মাঠে নামি তখন কোচ আমাকে বলেছিলেন ম্যাচে পূর্ণ মনযোগ দিতে। আমি তা করার চেষ্টা করেছি। এখন আমার গোলে বাংলাদেশ পরাজিত করেছে কম্বোডিয়াকে। এই আনন্দ ভাষায প্রকাশ করা যাবে না।’ তিনি এই গোলের জন্য কৃতিত্ব দেন বলটির পাস দেয়া সুফিলকে। সে সাথে জয়ে ধন্যবাদ জানান পুরো দলকে।

এদিকে এ জয় বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন কোচ জেমি ডে। তার মতে, আমরা প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছি। কম্বোডিয়া দূর থেকে শট নিয়ে গোলের চেষ্টা করেছে। তিনি জানান, এ দলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ৬/৭ ফুটবলার আছেন। এটা খুব ইতিবাচক বিষয় বাহরাইন সফরের জন্য।

 

আরো পড়ুন : রবিউলের গোলে বাংলাদেশের কম্বোডিয়া জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ০৯ মার্চ ২০১৯, ২১:০৭

চার মাসেরও বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই গত অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ গ্রহণ। ওই আসরে লাল সবুজরা শেষ দুই ম্যাচে ভালো খেলে হারলেও শনিবার জয় পায় দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে।

এই প্রথম কম্বোডিয়ার মাটিতে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল। ফিফা আয়োজিত প্রীতি এই ম্যাচে চমৎকার জয় পায় জেমি ডে বাহিনী। কম্বোডিয়ার মাটিতে তাদেরকে ১-০ গোলে হারিয়ে সর্বশেষ দুই প্রীতি ম্যাচে অপরাজিতই থাকলো জামাল ভুঁইয়ার দল। একই সাথে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে না হারার রেকর্ডও অব্যহত থাকলো।


গত বছরের মার্চে কম্বোডিয়ার পাশের দেশ লাওসের বিপক্ষে তাদের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল অ্যান্ড্রু অর্ড বাহিনী। সেই খেলায় গোল করা স্ট্রাইকার মাহাবুবুর রহমান সুফিলের পাস থেকেই নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জয় সূচক গোল আদায় করেন ২৪ নম্বর জার্সিধারী মিডফিল্ডার রবিউল হাসান।

এই জয় নিশ্চিতভাবে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে উন্নতিতে সাহায্য করবে ২০০৩ এর সাফ চ্যাম্পিয়নদের। এই পর্যন্ত দুই দেশের মোকাবেলা হয়েছে চারবার। এর তিনটিতেই জয় বাংলাদেশের। অন্যটি ড্র হয়েছে।

বাংলাদেশ এর আগে গত অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিতেছিল। সিলেটে লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় । তা ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ম্যাচ। সে খেলাতেও গোল করেছিলেন আরেক মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ।


শুধু ফিফা র‌্যাংকিংই এগিয়ে রেখেছিল আসিয়ান অঞ্চলের দেশটিকে। তাদের ১৭২-এর বিপরীতে বাংলাদেশের ১৯২। দুই দলের পারস্পরিক পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখে জেমি ডে বাহিনীকেই। শনিবার সেই ধারাই বজায় থাকলো। ম্যাচের শুরু থেকেই চালকের আসনে বাংলাদেশ। তারা প্রথম থেকেই চড়াও হয় স্বাগতিকদের উপর। শুধু গোলই আসছিল না।

শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা মেলে ৮৩ মিনিটে। এই গোল আবার দুই বদলী ফুটবলারের সমন্বয়ে। জাতীয় দলে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলা এবং বিদেশীদের কারণে বসুন্ধরা কিংসে রাইট ব্যাক বনে যাওয়া সুফিলের কাটব্যাকে তড়িৎ পা লাগিয়ে কম্বোডিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আরামবাগের খেলোয়াড় রবিউল। ডিফেন্স থেকে লবে বলটি পেয়ে গতিতে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেছিলেন সুফিল।

অবশ্য একেবারে শেষ মিনিটে বাংলাদেশী ডিফেন্ডারদের ভুলে বক্সের ওপর বল পেয়ে যান প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়। তার নেয়া ফাঁকা শট বারের সামান্য উপর দিয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় লাল সবুজরা।

বাংলাদেশ গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ১২ মিনিটেই। মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৫ মিনিটে স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনের নেয়া শট গোল হয়নি ডিফেন্ডারের গায়ে প্রতিহত হওয়ায়। ৪৪ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে জীবনের শটে ফের বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সামনে থাকা ডিফেন্ডার। বলের গন্তব্য সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে।

৫৪ মিনিটে ঢাকা থেকে যাওয়া দলটি লিড পায়নি কম্বোডিয়ান কিপারের দৃঢ়তায়। মতিন মিয়ার পাস থেকে পাওয়া বলে মাটি কামড়ানো শট নেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তা ডান দিকে শরীর ফেলে আটকে দেন গোলরক্ষক। লাল-সবুজরা বিশ্বনাথের লম্বা থ্রোতে কয়েকবার গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি।

কম্বোডিয়া মিশন শেষে জেমি ডে বাহিনী এখন অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে যাবেন কাতার ও বাহরাইনে। কাতারে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে তাদের এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ আসরের ম্যাচ বাহরাইনে। সেখানে প্রতিপক্ষ বাহরাইন, ফিলিস্তিন ও শ্রীলংকা।


আরো সংবাদ



premium cement