২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যারাডোনার আরো ৩ সন্তানের সন্ধান

ম্যারাডোনার আরো ৩ সন্তানের সন্ধান - সংগৃহীত

তাদের জীবন ধারা আমাদের মতো নয়। একারণেই বিয়ের রীতি-নীতি খুব একটা কেয়ার করে চলনে না তারা। এটা ঠিক, এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছেন, কিন্তু বাস্তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি তাদের খেলোয়ারদের জীবনে। খেলোয়াড় থাকাকালে ম্যারাডোনা-রোনালদো থেকে শুরু করে বিশ্বজোড়া ফুটবলাররা নিজেদের বংশ রেখে আসেন নানান দেশে। ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান রোনালদো জাপানে এসে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। জাপানি সেই মহিলা যখন, তার সন্তানের বাবা হিসেবে রোনালদোর নাম মিডিয়ায় প্রকাশ করেন, তখন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি স্বীকার করে নেন, সেই সন্তান তার।

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তির তো এ নিয়ে সুনাম আরও বেশ চড়া। ইতালির ন্যাপোলিতে খেলতে গিয়ে সেখানে নিজের বংশ বিস্তার করেছেন এবং তার সেই সন্তান নিয়ে অনেক নাটক, অনেক উপাখ্যান তৈরি হয়েছিল- সে সব কে না জানে। এবার আবিস্কার হলো কিউবাতেও রয়েছে তার তিন সন্তান। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। এবং ম্যারাডোনাও সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন।

 

দুই নারীর গর্ভে জন্ম নিয়েছেন ম্যারাডোনার সেই তিন সন্তান। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ম্যারাডোনার সাথে যোগাযোগও করতে সক্ষম হয়েছে কিউবায় জন্ম নেয়া তার সেই তিন সন্তান।

ম্যারাডোনার আইনজীবি ম্যাতিয়াস মোরিয়া বলেছেন, ‘কিউবাতেও ম্যারাডোনার তিন সন্তান রয়েছে এবং তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বেশ সম্মানের সঙ্গেই দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দুই নারীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে তারা। দিয়েগো ম্যারাডোনাও তাদের পিতৃত্ব স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, তাদের দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।’

কিউবায় পাওয়া তিনজন নিয়ে ম্যারাডোনার সন্তানের সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ৮ জনে। এক সময় ম্যারাডোনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, স্ত্রী ক্লদিয়া ভিয়াফানের গর্ভজাত সন্তান ছাড়া আর কাউকে নিজের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না। ক্লদিয়ার সংসারে ম্যারাডোনার দুই সন্তান, দুটিই মেয়ে- দালমা ও জিয়ান্নিনা। ২০০৩ সালে ক্লদিয়ার সঙ্গে বিশ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে তার।

সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী দিয়েগো ম্যারাডোনার আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন কিউবার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনার এবং কাস্ত্রোকে নিজের ভাই এবং বন্ধু হিসেবেও সম্বোধন করেছিলেন তিনি।

২০০০ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কোকেনের আসক্তি থেকে পুনর্বাসনের জন্য কিউবার রাজধানী হাভানাতে অনেকবার যেতে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। এছাড়াও কাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যও বার বার কিউবায় যেতেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। বারবার হাভানায় যাওয়ার কারণেই সেখানকার দুই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন এই ফুটবল কিংবদন্তি।

কিউবায় ম্যারাডোনার তিন সন্তানের খবর প্রচার হওযার পর ইনস্টাগ্রামে মেজো মেয়ে জিয়ান্নিনা নিজের বাবা সম্পর্কে মজা করেই লিখেন, ‘আর মাত্র তিন সন্তান দরকার আস্ত একটা ফুটবল একাদশ গঠন করার জন্য এবং তুমি অবশ্যই এটা পারবে!’


আরো সংবাদ



premium cement