২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু ম্যান ইউ'র

-

নিউক্যাসেলকে পরাজিত করে নতুন কোচ ওলে গানার সুলশারকে নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেও জয় উপহার দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিকে ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের সাথে গোলশুন্য ড্র করে হতাশ করেছে চেলসি। এই ড্রয়ের ফলে চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির সাথে ইউনাইটেডের পয়েন্টের ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ছয়।

হোসে মরিনহোর স্থানে কোচ হিসেবে সুলশার যোগ দেয়ার পর থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা ইউনাইটেড যেন নিজেদের নতুনভাবে ফিরে পেয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সুলশারের অধীনে প্রথম তিন ম্যাচে ১২ গোল করা ইউনাইটেড গতকাল নিউক্যাসেলের সেন্ট জেমস পার্কে ২-০ গোলে জয়ী হয়ে দারুণভাবে নতুন বছরের সূচনা করেছে। এই জয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। পঞ্চম স্থানে থাকা আর্সেনালের থেকে তারা মাত্র তিন পয়েন্ট দুরে রয়েছে।

বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে আসা রোমালু লুকাকু মাঠে নামার মাত্র ৩৮ সেকেন্ডের মধ্যে অর্থাৎ ৬৪ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন। মার্কোস রাশফোর্ডের শক্তিশালী ফ্রিকিকে বিচলিত নিউক্যাসেল গোলরক্ষক মার্টিন ডুব্রাভকাকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি লুকাকু। ৮০ মিনিটে এ্যালেক্সিস সানচেজের সহায়তায় রাশফোর্ড নিজেই দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন।

পুরো ম্যাচে ম্যানচেস্টার বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করলেও নিউক্যাসেলের শক্ত রক্ষণভাগের বিপরীতে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। যে কারনে সুলশার বাধ্য হন লুকাকু ও এ্যালেক্সিস সানচেজকে মাঠে নামাতে। আর সুলশারের এই সিদ্ধান্তে ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায়। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে মাত্র তৃতীয় ম্যাচে কোন গোল হজম করেনি ইউনাইটেড।

ম্যাচ শেষে স্বস্তিতে থাকা ইউনাইটেড বস বলেছেন, ‘অবশেষে আমরা কোনো গোল হজম না করে ম্যাচ শেষ করলাম। আজ ছেলেরা দারুণ পেশাদারীত্ব দেখিয়েছে। নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে না পারলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই ছিল। পুরো ম্যাচে চাপ ধরে রেখে গোলের দিকে এগিয়ে গিয়েছি। সুপারসাবদের সহায়তায় গোলও এসেছে। যখন কেউ দেখবে রোমেলু লুকাকুর মত বিশালদেহী কোনো একজন এগিয়ে আসছে তবে সেই গোলরক্ষকের ভীত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচের আবহের সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি।’

১৯৪৬ সালে ম্যাট বাসবির পর ইউনাইটেডের ইতিহাসে প্রথম ম্যানেজার হিসেবে সুলশার নিজের মেয়াদে প্রথম চারটি লিগ ম্যাচেই জয় তুলে নিলেন।

ইউনাইটেডের জয়ের দিনে সন্ধ্যায় চেলসির জন্য ম্যাচটা ছিল হতাশার। ঘরের মাঠে আধিপত্য ধরে রাখলেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় সাফ্যল পাননি বস মরিজিও সারি। স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে এই নিয়ে লিগের গত ম্যাচে তৃতীয়বারের মত গোল করতে ব্যর্থ হলো ব্লুজরা। আর এতেই জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে চেলসির একজন শীর্ষ সারির স্ট্রাইকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে রোববার গোঁড়ালির ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অলিভার জিরুদ সাইডলাইনে চলে গেছেন। তার স্থানে সারি অফ-ফর্মে থাকা আলভারো মোরাতাকে ডাকতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আরো একবার সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকার মধ্যে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা গেছে।

হতাশ সারি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘তুমি যদি প্রথম গোল করতে পারো তবে পুরো বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। আমাদের এই সমস্যাটা অন্তত ২০ মিটার থেকে সমাধান করতে হবে। গত কয়েকটা ম্যাচে আমরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখলেও গতকাল গোল পেতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’

এর আগে বুধবার চেলসির পক্ষ থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের যুক্তরাষ্ট্রের উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের দলভূক্তির ঘোষনা দেয়া হয়েছে। সূত্রমতে জানা গেছে ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে পুলিসিচকে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। যদিও ২০১৯/২০ মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ধারে তিনি ডর্টমুন্ডেই খেলবেন।


আরো সংবাদ



premium cement