২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেলজিয়ামকে উড়িয়ে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে সুইজারল্যান্ড

-

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও হারিস সেফেরোভিচের হ্যাটট্রিকে বেলজিয়ামকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করে নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড।

থোরগান হ্যাজার্ডের দুই গোলে ১৭ মিনিটের মধ্যে স্বাগতিক সুইজারল্যান্ড ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। এই ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে পারলেই কেবলমাত্র গ্রুপ-২ থেকে শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত হতো সুইসদের। সে কারণে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে সেই সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু রিকার্ডো রড্রিগুয়েজের পেনাল্টি ও সেফেরোভিচের দুই গোলে প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা ৩-২ গোলে এগিয়ে যায়। ৬২ মিনিটে জিহার্দান শাকিরির ক্রস থেকে নিকো এলভেডি সুইসদের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করলে পুরো স্টেডিয়াম উচ্ছাসে ফেটে পড়ে। শেষের দিকে সেভেরোভিচ হ্যাটট্রিক পূরণ করলে ভ্লাদিমির পেটকোভিচের দল দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

ম্যাচ শেষে সুইস কোচ পেটকোভিচ বলেছেন, ‘আমি প্রতিটি খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানাতে চাই। এটা তাদের বিশাল মানসিক শক্তির ফসল। খেলোয়াড়রা কখনই ম্যাচ ছেড়ে দেয়নি, নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। তারা লক্ষ্যে অবিচল থেকে এই জয় ছিনিয়ে এনেছে।’
প্রথমবারের মত আয়োজিত নেশন্স লিগের ফাইনাল আগামী বছর জুনে অনুষ্ঠিত হবে। সেমিফাইনালে সুইজারল্যান্ডের সাথে আরো জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ইংল্যান্ড। বাকি দলটি ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ধারিত হবে।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার পর রবার্তো মার্টিনেজের দল ছয় ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল। বেলজিয়ামের স্প্যানিশ কোচ মার্টিনেজ বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে যাবার অনেক সুযোগ দিয়েছি। মূলত এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে আমরা গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম। যে কারনে বাড়তি একটি উত্তেজনা সকলের মধ্যে কাজ করছিল। এই হতাশা থেকে ইউরো ২০২০ এর বাছাইপর্ব আরো গুরুত্ব সহকারে শুরু করতে পারবো।’

ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে থোরগান হ্যাজার্ড সুইস সেন্টার-ব্যাক এলভেদিকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন। ১৭ মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় ব্যবধান দ্বিগুন করে ২৫ বছর বয়সী এই উইঙ্গার নিজের দুর্দান্ত ফর্ম আবারো প্রমান করেছেন। এই নিয়ে এবারের মৌসুমে ক্লাব ও দেশের হয়ে বরুসিয়া মোয়েচেনগ্ল্যাবাখের এই উইঙ্গার ১২ গোল করলেন।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে স্বাগতিকদের জন্য স্বপ্নটা আরো কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু তারা কোনসময়ই ম্যাচ ছেড়ে দেয়নি। ২৬ মিনিটে ডি বক্সের ভিতর কেভিন এমবাবুকে ফাউলের অপরাধে নাকের চাডলির বিপক্ষে আদায় করা পেনাল্টি থেকে রড্রিগুয়েজ এক গোল পরিশোধ করেন। লিভারপুল ফরোয়ার্ড শাকিরি ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৩১ মিনিটে তার ক্রস থেকে সেফেরোভিচ গোল করে সুইসদের ভাগ্য টিকিয়ে রাখেন।

বিরতির ঠিক আগে বেনফিকা স্ট্রাইকার সেফেরোভিচ দলকে এগিয়ে দিয়ে স্বাগতিকদের প্রথমবার জয়ের স্বপ্ন দেখান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সুইসদের আধিপত্য বজায় ছিল। শাকিরির ক্রস থেকে ৬২ মিনিটে এলভেডির দারুন এক গোলে ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের পরবর্তী সময়টা দেখে মনে হয়েছে সুইজারল্যান্ডের সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। কিন্তু তারপরেও গ্রুপের শীর্ষস্থান দখলে বেলজিয়ামের মাত্র এক গোলের প্রয়োজন ছিল । কিন্তু ৮৪ মিনিটে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টদের সব আশা শেষ করে দিয়ে সেফেরোভিচ হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি দলের সেমিফাইনাল স্পটও নিশ্চিত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement