২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এক ম্যাচেই ৩৭ ছক্কা!

ব্যাট করছেন ক্রিস গেইল ও হযরতুল্লাহ জাজাই - সংগৃহীত

আফগান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কা বৃষ্টি নামলো। রোববার বলখ লিজেন্ডস ও কাবুল জাওনানের মধ্যকার ম্যাচে ৩৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুই দল। এর মধ্যে বালখের ক্রিস গেইল আর কাবুলের হযরতুল্লাহ জাজাই মেরেছেন সর্বোচ্চ ছক্কা।

শারজায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে রাতে প্রথম ব্যাট করতে নামে গেইলের বালখ লিজেন্ডস। তারা ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। এতে ছক্কা ছিল ২৩টি। গেইল শুরু থেকেই ব্যাট ঝড় তোলেন। ৪৮ বলে করেন ঝড়ো ৮০ রান। এর মধ্যে ছক্কা ১০টি। আর বাউন্ডারি দুটি।

এছাড়া বালখের দরবিশ রাসুলি হাঁকিয়েছেন পাঁচটি ছক্কা, তিনটি করে দিলশান মুনাবিরা ও মোহাম্মদ নবি এবং মিরওয়াইজ আশরাফ দুটি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কাবুলের জাজাই এক ওভারেই টানা ৬টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর ৬২ রানে সাজঘরে ফিরেন। মোট ছক্কা হাঁকান ৭টি।

তিনি ছাড়া দলের বাকিরাও ছক্কা মারেন। দুটি করে ছক্কা হাঁকান শহিদুল্লাহ, কলিন ইনগ্রাম এবং রশিদ খান। লুক রনকি একটি। মোট ১৪টি ছক্কা মারেন তারা। তবে জিততে পারেনি ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় কাবুল। ২৩ রানে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৮টি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছে।

 

১ ওভারে ৩৭ রান

স্বপ্নটা যে এতো সহজে বাস্তব হয়ে যাবে তা হয়ত ভাবেননি আফগানিস্তানের তরুণ ব্যাটসম্যান হযরতুল্লাহ জাজাই। প্রিয় খেলোয়াড়ের সামনেই ব্যাটে ছক্কা ঝড় তুললেন তিনি। এক ওভারে হাঁকিয়ে ফেললেন একে একে ছয়টি ছক্কা! আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের রোববারের ম্যাচেই ঘটেছে এ ঘটনা।

জাজাইয়ের আইডল ছিলেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল। তার মতোই চার-ছক্কার ঝড় তুলতে চাইতেন তিনি। এজন্য কঠোর পরিশ্রম ও করে গেছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। সেই সাধনার ফল পেলেন প্রিয় ক্রিকেটারের সামনেই।

কাল গেইলের বালখ লিজেন্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জাজাইয়ের দল কাবুল জাওনান। প্রথম ওভারেই তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ৩৭ রান। ৬ ছক্কার ওভারটিতে একটি ওয়াইডও ছিল। পুরো নাস্তানাবুদ হয়েছেন বোলার আবদুল্লাহ মাজারি।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়েছেন জাজাই। গেইল আর যুবরাজের মতো ক্রিকেটারদের সাথে নাম লেখা হয়ে গেছে তার। যারা এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১২ বলেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন জাজাই। আর ১৭ বলে ৬২ রান করেই মাঠ ছেড়েছেন এই 'আফগান গেইল'। এর মধ্যে ৫৮ রানই এসেছে তার চার-ছক্কা থেকে।

তবে ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তার দল। গেইলদের কাছে ২১ রানে হেরেছে তারা। তবে ম্যাচ শেষে প্রিয় ক্রিকেটারের সাথে হাসিমুখে  ছবি তুলতে ভুলেননি জাজাই।

রেকর্ড গড়া ইনিংস নিয়ে জাজাই বলেন, 'আমার জন্য এটি অবশ্যই গর্বের। কারণ এই একটি ইনিংসের মধ্য দিয়ে অনেকগুলো বড় বড় নামের সাথে আমার নাম লেখা হয়ে গেছে। তারা সত্যিকারেই এই খেলাটির কিংবদন্তি। আমি সবার আগে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, তিনি আমাকে ১২ বলে ফিফটি করার সুযোগ দিয়েছেন।'

 

দেশে ফিরে ইনজুরি নিয়ে যা বললেন সাকিব

দেশবাসীকে অনেকটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রেখেই মেলবোর্নের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন জনপ্রিয় তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার জন্য ৯ দিন অবস্থান করে গতকাল ফিরে আসেন হাসিমুখে। হজরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসেন দুশ্চিন্তামুক্ত সাকিব। নিজের অবস্থান সম্পর্কেও জানান দেন সব কিছু। যেখানে একেবারেই যে শঙ্কামুক্ত তা বলা যায় না। তবে বড় কোনো কিছু যে ঘটছে না তা বলাই যায়। যে শঙ্কা ছিল, বাঁ-হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটা বোধহয় আর কাজেই আসবে না, সে অবস্থান থেকে সরে আসা গেছে। যেখানে মেলবোর্নের চিকিৎসকেরা শুনিয়েছেন আশার বাণী। অপারেশনও না লাগতে পারে। সে জন্য শর্তও আছে। আগামী ৬-১২ মাস যদি ওই আঙ্গুলে কোনো ব্যথা অনুভব না করেন, তাহলে আর অপারেশন লাগবে না। তবে ব্যথা সেরে গেলে খেলতে নামতে পারবেন। আর তা নির্ভর করছে, তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ও তার উন্নতির ওপর। সে জন্য তিন মাসও অপেক্ষা করা লাগতে পারে। আবার এক দেড় মাসের মধ্যেও খেলতে নামতে পারেন। তবে সে জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিয়ম দিয়ে দিয়েছেন। যেটা সাকিব স্থানীয় চিকিৎসকদের সাথে মিলে মিশে নিজেও নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে আগের মতো এবার আর শল্য চিকিৎসক গ্রে হয়কে এবার দেখাননি তিনি। ছিলেন অন্য আর একজনের তত্ত্বাবধায়নে। যেহেতু পূর্বপরিচিত। তা ছাড়া ক্যারিয়ারের একটা প্রশ্ন। তাই সাকিব গ্রে হয়কেও দেখিয়ে এসেছেন।

বিমানবন্দরে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হবে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই। তাই আমি বলি আর ফিজিওর পরামর্শ বলেন ওই দিকটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে- যে সার্জারি বাদ দিয়ে কিভাবে খেলা যায়।’ সাকিব বলেন, ‘মূল কথা হলো ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে হবে। এটা আবার বেড়ে গেল কি না বা অন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কি না সেগুলো পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত সব কিছু নিয়ন্ত্রণেই আছে।’ 
নিজের আঙ্গুলের ইনজুরি এমনই যে এখানে জোর জবরদস্তি করার সুযোগ নেই। সাকিব নিজে জানালেন, হাড়ের মধ্যে যেহেতু ব্লাড যাওয়ার সুযোগ নেই, তাই এখানে অপেক্ষা করে পূর্ণ সুস্থ হয়েই খেলতে হবে। যদি চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে সব ঠিকমতো চলে তবে সার্জারি কখনই না লাগতে পারে। আর সমস্যা দেখা দিলেই অপারেশন।

তিনি বলেন, ‘এটা আসলে এমন একটা সমস্যা তার আসলে কোনো সময়সীমা নেই। হতে পারে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার তিন মাস সময়ও লেগে যেতে পারে। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুল ভালো অনুভব করছি। তবে আমাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, হাতের স্ট্রেন্থ ফেরার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে তা দ্রুত ফিরে আসতে পারে। পুনর্বাসনে যদি ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে অপেক্ষাও করা লাগতে পারে।’ সাকিব বলেন ‘এ ব্যাপার এমনই এখনি কনফার্ম করে কিছু বলা যাচ্ছে না। একটা ভালো জিনিস যে ইনফেকশন ছিল। তা কমে গেছে। এখন সার্জারি ছাড়া যদি খেলতে পারি। এটাই আমার জন্য সেরা সুযোগ। হতে পারে সেটা এক মাসের মধ্যে। হতে পারে ছয় মাসও। ফলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপরই সব নির্ভর করছে।’ তবে তার চিকিৎসক জানিয়েছেন অন্তত ৬-১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি নয়।

এ দিকে সাকিব-তামিম ছাড়া জিম্বাবুয়ে সিরিজটা টাফ হয়ে যাচ্ছে কি না এ নিয়ে এখন আলোচনা চার দিকে। কারণ জিম্বাবুয়েও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে শক্তিশালী দল নিয়েই আসছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন ছিল সাকিবকেও। তিনি বলেন, ‘ইনজুরি আসলে খেলার অংশ। এতে সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে। সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরো ভালো করবে। আমি ও তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারে, তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণ দেখি না।’


আরো সংবাদ



premium cement