২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেইমারদের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ

রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে পিএসজি'র ম্যাচটিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে - সংগৃহীত

রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে পিএসজি’র গত ৩ অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ৬-১ গোলে পিএসজির জয়ের ম্যাচটি নিয়ে ফ্রেঞ্চ তদন্ত সংস্থা সন্দেহ প্রকাশ করেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রেড স্টারের পাঁচ গোলের ব্যবধানে পরাজয়ের পিছনে সার্বিয়ান ক্লাবটি একজন সিনিয়র কর্মকর্তার মোটা অঙ্কের অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্রটি এই তথ্য জানিয়েছে। ম্যাচটি পিএসজির ঘরের মাঠ পাক ডি প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রেঞ্চ স্পোর্টস পত্রিকা এল’ইকুইপ জানিয়েছে, রেড স্টার কর্মকর্তার ও তার সঙ্গী ম্যাচটিতে পাঁচ মিলিয়ন ইউরো বাজী ধরে। নির্ধারিত লক্ষ্যে জয়ী হলে ওই কর্মকর্তা ১০ মিলিয়ন ইউরো পায় বলেও সূত্রটি দাবি জানিয়েছে।

এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, বিষয়টি ইতোমধ্যেই ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা সংশ্লিষ্ট দেশটির কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছে।

ফ্রান্সের অনলাইন ভিত্তিক বেটিং ওয়াচডগ আরিয়েল জানায়, ফ্রান্স কিংবা ইউরোপীয়ান অন্যান্য ২২টি দেশের কোনো ম্যাচে তারা সম্প্রতি কোনো ধরনের অনিয়ম দেখেনি। গ্লোবাল লটারি মনিটরিং সিস্টেমেও এ সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিষয় কোন দেশের বিপক্ষে ধরা পড়েনি।

এদিকে রেড স্টার জানায়, এই ধরনের অভিযোগ তারা দারুণ হতাশ হয়েছে। এক বিবৃবিতে সার্বিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির পক্ষ থেকে বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে দাবি জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে। দ্রুতই সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে বলেও তারা আশাবাদী।

পিএসজি জানায়, তদন্তের বিষয় সামনে চলে আসায় তারা খুবই চিন্তিত। এক বিবৃতিতে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে যে ধরনের কড়া নিরাপত্তা কিংবা বিধিনিষেধ থাকে তাতে এই ধরনের ঘটনা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। পিএসজি সমসময়ই ফুটবলের মূল নীতি মেনে চলার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হওয়া খুবই দুঃখজনক।’

উয়েফা অবশ্য চলমান তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।

 

ব্যালন ডি'অরে মেসির ভোট উধাও!

ফুটবলের জাদুকর লিওলেন মেসি। বিশ্বজুড়ে তার কোটি কোটি ভক্ত। প্রিয় এই ফুটবলারের হাতে ব্যালন ডি'অর তুলে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা। যার কারণে বিপদে পড়ে যাচ্ছিল আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। কারণ এবারের ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন না এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ভক্তরা কী এর ধার ধারেন? তাই অনলাইনে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেই বানের মতো ভোট পড়তে থাকে, যা দেখে হতচকিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। ভোটদানের প্রক্রিয়াটিই বাদ দিয়ে দেয় তারা।

এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০ জনকে বাছাই করে ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল। গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা বিজয়ী করে থাকে। পাঠকদের ভোট তাতে কোনো মানদণ্ড নয়। কিন্তু এবার কি মনে করে যেন পাঠকদের পছন্দ দেখতে চায় তারা। আর তাই অনলাইন ভোটের ব্যবস্থা করেছিল তারা। ফলাফল ভোটের বন্যা। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সাত লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন পাঠক ভোট দিয়ে ফেলেন। যার ৪৮ শতাংশ ভোটই পড়ে মেসির ঝুলিতে। আর ৩১ শতাংশ মোহাম্মদ সালাহর পক্ষে। আট শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

অথচ ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে সবচেয়ে ফেবারিট উয়েফা এবং ফিফা পুরস্কারজয়ী লুকা মডরিচকে হিসেবেই আনেনি ভক্তরা।

এক পর্যায়ে মেসির পক্ষে এতোটাই ভোট পড়তে থাকে যে বিপদে পড়ে যায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যদি এতো অল্প সময়েই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার এতো ভোট পেয়ে যান, তাহলে বিতর্কের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। কারণ এই প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব তো ফলাফলে পড়বে না। শুধু মাত্র পাঠকদের পছন্দ জানাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তাই তড়িঘড়ি করে ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় তারা। পরে অবশ্য পাঠকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাদের। তাতে কান দেয়নি কর্তৃপক্ষ, প্রক্রিয়া বন্ধ করে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা।


আরো সংবাদ



premium cement