২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্যালন ডি'অরে মেসির ভোট উধাও!

লিওনেল মেসি - সংগৃহীত

ফুটবলের জাদুকর লিওলেন মেসি। বিশ্বজুড়ে তার কোটি কোটি ভক্ত। প্রিয় এই ফুটবলারের হাতে ব্যালন ডি'অর তুলে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা। যার কারণে বিপদে পড়ে যাচ্ছিল আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। কারণ এবারের ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন না এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ভক্তরা কী এর ধার ধারেন? তাই অনলাইনে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেই বানের মতো ভোট পড়তে থাকে, যা দেখে হতচকিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। ভোটদানের প্রক্রিয়াটিই বাদ দিয়ে দেয় তারা।

এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০ জনকে বাছাই করে ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল। গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা বিজয়ী করে থাকে। পাঠকদের ভোট তাতে কোনো মানদণ্ড নয়। কিন্তু এবার কি মনে করে যেন পাঠকদের পছন্দ দেখতে চায় তারা। আর তাই অনলাইন ভোটের ব্যবস্থা করেছিল তারা। ফলাফল ভোটের বন্যা। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সাত লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন পাঠক ভোট দিয়ে ফেলেন। যার ৪৮ শতাংশ ভোটই পড়ে মেসির ঝুলিতে। আর ৩১ শতাংশ মোহাম্মদ সালাহর পক্ষে। আট শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

অথচ ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে সবচেয়ে ফেবারিট উয়েফা এবং ফিফা পুরস্কারজয়ী লুকা মডরিচকে হিসেবেই আনেনি ভক্তরা।

এক পর্যায়ে মেসির পক্ষে এতোটাই ভোট পড়তে থাকে যে বিপদে পড়ে যায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যদি এতো অল্প সময়েই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার এতো ভোট পেয়ে যান, তাহলে বিতর্কের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। কারণ এই প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব তো ফলাফলে পড়বে না। শুধু মাত্র পাঠকদের পছন্দ জানাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তাই তড়িঘড়ি করে ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় তারা। পরে অবশ্য পাঠকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাদের। তাতে কান দেয়নি কর্তৃপক্ষ, প্রক্রিয়া বন্ধ করে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা।

 

'৩৫ বছর বয়সেও আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখেন মেসি'

দায়িত্ব ছেড়ে চলে গেছেন অনেকদিন হলো। তবে ছাত্রের উপর এখনও আস্থা রাখছেন শিক্ষক। সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি মনে করছেন, মেসির এখনও বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা আছে।

বয়স কোনো ফ্যাক্টর নয়। আত্মবিশ্বাস থাকলে দুর্গমও সুগম হয়। শুধু বিশ্বাস করতে হবে, ‘তুমি পারবে’। আর বিশ্ব ফুটবলের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের সেই আত্মবিশ্বাস আছে বলেই মনে করেন সাম্পাওলি। তিনি বিশ্বাস করেন ৩৫ বছর বয়সেও লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর দীর্ঘ দিন দেশের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন মেসির। এমনকি রাশিয়া থেকে বাড়িও ফেরেননি তিনি। মেসির মন ভাল করতে তাকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী আন্তোনেলা রকুজ্জো। এরপর মেসি বার্সায় ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু দেশের জার্সিতে এখনও মাঠে নামেননি।

অন্যদিকে, প্রবল চাপে পড়ে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন জর্জ সাম্পাওলিও। আর্জেন্টিনার পরবর্তী কোচ কে হবেন, সে বিষয়েও এখনও কোনো কিছু খোলসা করেননি সে দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

এমন অবস্থায় সাম্পাওলি বলছেন, বিশ্বকাপ জিততে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। তার মতে, বিশ্বাকাপ অথবা কোপা আমেরিকার জন্য আর্জেন্টিনার পুনর্গঠনের প্রয়োজন। গোটা দলকে সংঘবদ্ধ করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটা করতে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই চলতে হবে। তিনি বলেন, “কোপা আমেরিকায় হারলেও প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। ভেঙে পরলে চলবে না। এই পাগলামিটা এবার ছাড়তে হবে, জিতলেই তুমি ভাল আর হারলেই খারাপ। নিজের উপর বিশ্বাস থাকলে আজ নয় কাল জয় আসবেই। কিন্তু সবার প্রথম বিশ্বাস করতে হবে যে তোমার মধ্যে জেতার ক্ষমতা আছে।”

 

অচেনা আর্জেন্টিনা এমন দুর্ধর্ষ!

অচেনা আর্জেন্টিনা এমন দুর্ধর্ষ হতে পারে! বৃহস্পতিবার প্রায় নতুন করে গড়া আর্জেন্টিনাই দুর্দান্ত খেলল। নিরপেক্ষ মাঠে তারা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়ে তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করল। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছে ইরাককে। 
এই ম্যাচে বেশ কয়েকজন তারকাকে রাখেনি আর্জেন্টিনা। অনুপস্থিতদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটি হলো মেসি। কিন্তু তিনি যে অনুপস্থিত, সেটিই বুঝতে দেননি নবাগত এক তারকা। চার গোলের জয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে একটি করে বল জালে পাঠান মার্টিনেজ, পেরেইরা, পেজ্জেলা ও সেরভি।

কোচ লিওনেল স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে নতুন করে গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি যাদের ওপর ভরসা রেখেছেন তারা তাকে হতাশ করেননি। বরং প্রমাণ করেছেন, আগামী দিনে তাদের ওপর ভরসা রাখা যায়।

ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ইরাকের জালে প্রথম গোলটি জড়িয়ে দেন ইন্টার মিলান তারকা মার্টিনেজ। মার্কোস অ্যাকুনার ক্রস থেকে হেডে ইরাকের জালে বল জড়াতে কোনো সমস্যাই হয়নি মার্টিনিজের। এরপর প্রথমার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি দিবালা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে দিবালার সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে ক্লিনিক্যাল ফিনিশে গোল পান পেরেইরা। ৮২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন পেজ্জেলা। কর্নার কিক থেকে সার্ভিওর মাথা ছুঁয়ে বল যায় পেজ্জেলার কাছে। হাওয়ায় ভাসা বলে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। যোগ হওয়া সময়ে ইরাকের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন সেরভি। কান্নেমানের পাস থেকে জোরালো শটে চার নম্বর গোলটি করেন এই মিডফিল্ডার।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement