২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইনজুরিতে স্বপ্না

সিরাত জাহান স্বপ্না - নয়া দিগন্ত

অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা সাফে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না। দুই খেলায় ৮ গোল দিয়ে তিনি এখন গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। তবে তাকে শুক্রবার সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে পাওয়া নিয়ে সংশয় কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের। মঙ্গলবার নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

বুধবার ছিলেন পূর্ন বিশ্রামে। তাকে সুস্থ করতে যাবতীয় চেষ্টাই চলছে। ছোটন জানান, ‘নেপালী খেলোয়াড়রা ইচ্ছে করেই স্বপ্নাকে মেরে মাঠ থেকে উঠে যেতে বাধ্য করেছে। তার পায়ের মাসলে আঘাত লেগেছে। তাকে সুস্থ করতে বুধবার বরফ দেয়া হচ্ছে। চলছে ম্যাসাজও ।

আরো দুই দিনতো দিন সময় আছে। দেখা যাক এর মধ্যে সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেন কিনা।’ কোচের দেয়া তথ্য, ‘গতি সম্পন্ন এই ফরোয়ার্ডকে আটকাতেই পারছিল না নেপালী মেয়েরা। তাই শেষ পর্যন্ত আহত করে তাকে।’ যদি স্বপ্নাকে সেমিতে ভুটানের বিপক্ষে না পাওয়া যায় তাহলে বিকল্প খেলোয়াড় আছে। সমস্যা হবে না ,বললেন বাংলাদেশ কোচ।

উল্লেখ্য নেপালের বিপক্ষে বিরতির পর স্বপ্নাতে তুলে আরেক দ্রুতগতির ফরোয়ার্ড সাজেদাকে নামানো হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর গোল পায়নি বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন : খেলোয়াড় বদলের কৌশলেই সাফল্য
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পথে অন্যতম বাধা নেপাল। এরপরেই অবস্থান ভারত ও ভুটানের। আগামীকাল সেমি ফাইনালে লালসবুজদের প্রতিপক্ষ এবারের টুর্নামেন্টর স্বাগতিক ভুটান। চ্যাম্পিয়নশিপের রেসে তারা থাকলেও অন্য দুই প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল। তাদেরকে সেমিতে পাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি গোলাম রাব্বানী ছোটনের। যদিও তাদের অবজ্ঞার চোখে দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ। সব দলের মতোই ভুটানীরা কোচের বিচেনায় শক্তিশালী।

গত পরশু নেপালের বিপক্ষে জয়েই সেমিতে ভুটানকে পাওয়ার রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে। ২-১ এ সেই ম্যাচ জয় বাংলাদেশকে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়নও করেছে। নেপালের বিপক্ষে এই জয় এসেছে কোচ ছোটনের একাদশে চার ফুটবলার বদলের কৌশলেই। বুধবার ভুটানের থিম্পু থেকে টেলিফোনে এই তথ্য দেন তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৭-০ তে জিতেছিল লাল সবুজ মেয়েরা। সেই একাদশের চার ফুটবলারকে বাদ দিয়ে নেপালের বিপক্ষে দল সাজান ছোটন। এই চার খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার আনাই মগিনি, মিডফিল্ডার মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা এবং শামসুন্নাহার। এই চার খেলোয়াড় সম্পর্কে একেবারেই অন্ধকারে ছিল নেপালের কোচ। তার কৌশল ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা একাদশ নিয়েই। ছোটনের মতে, নেপালীদের ধারণাতেই ছিল না আমরা যে নতুন চার জনকে মাঠে নামাবো। এই চার জনের নৈপূন্যের কাছে ধরাশায়ী নেপাল। আর আমাদের দলের শক্তিও বৃদ্ধি হয়েছে এদের অর্ন্তভূক্তিতে।

ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ এ জিতলেও তাতে খুশী কোচ। জানান , ‘টাইট ম্যাচ হয়েছে নেপালের বিপক্ষে। শিউলী আজিম পেনাল্টি মিস না করলে প্রথমার্ধেই স্কোর লাইন হতো ৩-০। এরপরও খেলার ফলাফল ২-১ হওয়ার কারন মনিকা চামকার ভুল। আমি আগেই তাদের সতর্ক করেছিলাম ছোটখাটো ভুল করলে তার মাশুল গুনতে হবে। ইনজুরি টাইমে সেটাই হয়েছে।’ গ্রুপের শেষ এই ম্যাচে একটি করে গোল করা সিরাত জাহান স্বপ্না এবং কৃষ্ণা রানীর প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ কোচ। তার মতে, চমৎকার গোল করেছেন তারা দুই জনে। আমাদের টেকনিকই ছিল ওদের ডিফেন্স বিট করা পাস দিতে হবে। সে কৌশলেই পাস এবং গোল।

বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধে পাত্তাই পায়নি নেপালের রেখা পাউডেল। ছোটন জানান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ গোল করে এই ফুটবলার তারকা হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের বিপক্ষে সুবিধাই করতে পারেন নি তিনি।
এখন ভুটানের বিপক্ষে শুক্রবার সেমি ফাইনাল নিয়ে বলেন , এটা আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ। ভুটান অবশ্যই শক্তিশালী।


আরো সংবাদ



premium cement