২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ বছর পর সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধার মালদ্বীপের

মালদ্বীপ ২:১ ভারত
১০ বছর পর সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধার মালদ্বীপের - ছবি : নয়া দিগন্ত

এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই ২০০৩ ও ২০০৯ সালে দুই দফা স্বপ্ন ভঙ্গ মালদ্বীপের। প্রথমবার বাংলাদেশের কাছে এবং পরে ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে। শনিবার আর হাতাশায় ডুবতে হয়নি দ্বীপরাষ্ট্রটিকে। বরং যে ভারতের কাছে হেরে তাদের ২০০৮ এর অর্জন বিসর্জন দেয়া কাল সেই পুরোনো প্রতিপক্ষকে ২-১ তে হারিয়েই ১০ বছর বছর পর সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো দুই সহস্রাধিক দ্বীপের দেশটি।

সাফে এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। ২০০৮ এই ভারতকেই ১-০তে হারিয়ে কলম্বোর মাঠে প্রথম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই আসরে শ্রেষ্ঠত্ব দেখায় মালদ্বীপ। অন্যদিকে ভারত তৃতীয়বারের মতো হারলো ফাইনালে। লক্ষ্যণীয় বিষয়, গ্রুপ পর্বে কোনা গোল না দিয়ে এবং টসে জিতে সেমিতে আসে মালদ্বীপ। আর এখন তারা ফের সাফের সেরা। ফাইনাল জেতার পর মালদ্বীপের ফুটবলারেরা কাতার বদ্ধ হয়ে মাঠেই সেজদা দেন। চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ পাচ্ছে ৫০ হাজার ডলার এবং ট্রফি। ভারত পাচ্ছে ২৫ হাজার ডলার প্রাইজমানি।

পুরো আসরে গতকাল ফাইনালেই প্রথম বল গেল ভারতের জালে। ১৯ মিনিটে হওয়া এই গোলেই পিছিয়ে পড়ে আসরের গতবারের এবং এই পর্যন্ত সাত বারের চ্যাম্পিয়নরা। মালদ্বীপের বিপক্ষে থ্রো পায় ভারত। সেই থ্রো ক্লিয়ার করার পর ফাউল। ওই ফ্রি কিক থেকেই বল পান হাসান নাইজ। থ্রু পাস দেন ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম মাহুদি হুসেইনকে। তিনি এই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঢুকে পড়েন ভারতের বক্সে। বিপক্ষ কিপার ভিশাল কেইথ পোষ্ট ছেড়ে বেরিয়ে কঠিন করে দেন গোল করাটা।

কিন্তু দারুন বুদ্ধিদীপ্ত প্লেসিং শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান মালদ্বীপের এই ফরোয়ার্ড। এরপর ৪২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানো সুযোগ নষ্ট করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আলী ফাসিরের ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে যাওয়ায় তখন দ্বিতীয় গোল পায়নি মালদ্বীপ।

অবশ্য প্রথম থেকে আক্রমণে সক্রিয় ছিল ভারতই। আগের তিন ম্যাচে তিন গোল করা স্ট্রাইকার মানভীর সিং মিস করেন ১৮ ও ৪৭ মিনিটে। দুইবারই তার দু’টি হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩২ মিনিটে শট মারেন বাইরে। ৭৯ মিনিটেও ব্যর্থ তিনি। এছাড়া ২৪ ও ৩০ মিনিটে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আশিক কুরুনিয়া এবং ফারুক হাজি । মালদ্বীপের ক্রোয়েশিয়ান কোচ পিটার সেগার্ট ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন. আমরা প্রথমে একটি গোল দিতে পারলে এরপর ব্যবধান বাড়বে।

৬৬ মিনিটে সেই কাজটিই করলেন আলী ফাসির। হামজা মোহাম্মদের ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস থেকে বল পান আলী ফাসির। এরপর দ্রুত গতিতে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে আস্তে বল ছেড়ে দেন পোষ্টের উদ্দেশ্যে। সে বল ভারতীয় ডিফেন্ডারের সব সচেষ্টা ব্যর্থ করে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে যায় জালে। ৮৩ মিনিটে পরিকল্পিত কাউন্টার অ্যটাক থেকে স্কোর লাইন ৩-০ করার সুযোগ হারান ইব্রাহিম ওয়াহেদ। ফাঁকায় বল পেয়েও তার নেয়া শট যায় পোস্টে বাতাস দিয়ে।

৯২ মিনিটে ভারত ব্যবধান কমায় সুমিত পাসির গোলে। ৯৪ মিনিটে মালদ্বীপের আলী ফাসির বিপক্ষ কিপারকে একা পেয়েও বল তার হাতে তুলে দিয়ে ব্যর্থ হন ব্যবধান বাড়াতে। এরপরেই রেফারির খেলা শেষের বাঁশি এবং উল্লাস মালদ্বীপ বাসীর।


আরো সংবাদ



premium cement