আমাদের দূর্ভাগ্যের রাত : কোচ ছোটন
- ক্রীড়া প্রতিবেদক, ভুটান থেকে
- ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৩৩, আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৩৮
ফাইনালে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতীয়দের উল্লাসের সময় কান্না আর থামছিল না বাংলাদেশী ফুটবলারদের। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না! প্রস্তুতি আসরের আগের তিন ম্যাচের পারফরম্যান্সের চুল চেরা বিশ্লেষণে লাল সবুজরাই ছিল ফেবারিট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল তাদেরই। অথচ তাদের রাজ্যের হতাশাই ডুবিয়ে শিরোপার উৎসব ভারতীয় মেয়েদের।
মারিয়াদের লক্ষ্য ছিল শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার। দেশবাসীকে ঈদের উপহার দেয়া। এখন তাদের ফিরতে হচ্ছে শিরোপা হারিয়ে। সারা বছর অনুশীল করা বাংলাদেশই ছিল আসরের ফেবারিট; কিন্তু আসল লড়াই ফাইনালে চিরচেনা মারিয়া মান্ডা, তহুরা, সাজেদা, মনিকাকে দেখা যায়নি। ফলে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
তাদেরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র একমাসের অনুশীলন নিয়ে টুর্নামেন্টে আসা ভারত। ফাইনালের অনুষ্ঠানের ঘোষক মুখ ফসকে ভারতকে রানার্সআপ বলে যেন টুর্নামেন্টের আসল চিত্রই তুলে ধরেছেন। মুহুর্তেই অবশ্য তার ক্ষমা প্রার্থনা।
কেন এই হার ফাইনালে? বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের মতে, এটা আমাদের দূর্ভাগ্যের রাত। তা না হলে এতো মিস করে কিভাবে বাংলাদেশ দল? সহজ সুযোগ হাতাছাড়া করেছে তারা। তিনি একই সাথে উল্লেখ করেন, ‘ফাইনালে আমাদের মেয়েরা বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিল। তাছাড়া আমাদের ফুটবলারদের মার্কিংয়ে রেখেছিল ভারতীয়রা।’
আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন চার জন। বাংলাদেশের ছোট শামসুন্নাহার, তহুরা খাতুন, ভারতের সিল্কি দেবী, ও কাল তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে জোড়া গোল করা নেপালের চন্দ্রা ভান্ডারী। প্রত্যেকের গোল চারটি করে। তবে লটারীতে সেরা গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের তহুরা। আসরের সেরা ফুটবলার হয়েছেন ভারতের প্রিয়াংকা দেবী। ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা