বিদায় বলে দিলেন পিকে

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা ডিফেন্ডার জেরাড পির্কে। স্পেনের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পিকে ১০২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।

রোববার সেভিয়ার বিপক্ষে সুপারকোপার ম্যাচকে সামনে রেখে বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার অবসরের ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যেই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত জাতীয় দলের কোচ লুইস এনরিকেকে জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কে পিকে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে লুইস এনরিকের সাথে কথা বলেছি। তাকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি। স্পেন দলের হয়ে ক্যারিয়ারে দারুণ কিছু সময় কেটেছে। স্পেনের সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে আমি সত্যিই দারুণ খুশি।’

পিকের সাবেক বার্সা বস এনরিকে জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার পরে তারকা এই ডিফেন্ডার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে আমি তার সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তখন আমি বলেছি অবসরের সিদ্ধান্ত আরো কিছুদিন আগেই আমি নিয়েছি। স্পেনের হয়ে খেলাটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল অধ্যায়। এখানে এসে আমি বিশ্বকাপ ও ইউরো জয়ের স্বাদ পেয়েছি। স্পেনের সবগুলো সাফল্যের সাথে থাকতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। এই মুহূর্তে আমি বার্সেলোনার হয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ এখানে আরো কিছু সময় বাকি আছে। এই সময়গুলো আমি উপভোগ করতে চাই।’

২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে পিকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো জয়ী স্পেন দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন তিনি।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলে হয়ে পিকের অভিষেক হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওই ম্যাচে স্পেন ২-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোসের সাথে জাতীয় দলের সেন্ট্রাল ডিফেন্সে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন।

রাশিয়া বিশ্বকাপের পরে আন্তর্জাতিক অবসরের ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। যে কারণে তার অবসরের সিদ্ধান্ত খুব একটা বিস্মিত করেনি।

৩১ বছর বয়সী পিকের জন্য গত বছরটা অবশ্য খুব একটা ভাল যায়নি। কাতালান স্বাধীনতার দাবিতে নিজের সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনও করেছেন পিকে। যে কারণে সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয়। তারপরেও কোচ জুলেন লোপেতেগুইয়ের বিবেচনায় ঠিকই রাশিয়া বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন।