১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘হাল্ক’র সাথে মেসির ফুটবল খেলা ভাইরাল(ভিডিও)

‘হাল্ক’র সাথে মেসির ফুটবল খেলা ভাইরাল - ছবি : সংগ্রহ

ছোট একটি মাঠ। পাশে দেয়াল ঘেরা। এক পাশে একটি গোলপোস্ট, পেছনে উঁচু জাল ঘেরা। দেখলেই বোঝা যায় স্টেডিয়াম নয়, কোন বাড়ির ছোট প্রাকটিস গ্রাউন্ড। মঠের এক পাশে গোল পোস্টের কাছে শর্টস পরা, খালি পা ও খালি গায়ে বল নিয়ে কাড়িকুড়ি করছেন একজন। সামনে একটি লাল রঙের বিশলাদেহী কুকুর। কুকরটি চাইছে বলটিকে ধরতে, আর লোকটি বারবার নিখুঁত ড্রিবলিং করে কুকুরটিকে ডজ দিচ্ছেন।

এমনই একটি ভিডিও সোমবার ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইস্টাগ্রামে। ভিডিওতে বল নিয়ে নৈপুণ্য দেখানো লোকটি বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, আর কুকুরটি তার প্রিয় পোষা কুকুর হাল্ক।

মেসির স্ত্রী আন্তেনেল্লা রোকুজ্জু ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এমন একটি ভিডিও ক্লিপ। শেয়ারের পরেই ভক্তরা ব্যাপকভাবে লুফে নিয়েছে সেটি। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সেটি দেখা হয়েছে প্রায় ৪৯ লাখ বার। প্রতি মূহুর্তে বাড়ছে ‘ভিউ’য়ের সংখ্যা। এর পাশাপাশি ভিডিওটিতে ১৩ লাখ লাইক ২৫ হাজার কমেন্ট করা হয়েছে।

এনডিটিভি অনলাইন লিখেছে, হাল্ক নামের কুকুরটির জানা উচিত এটি কোন সাধারণ খেলা নয়, যে সে চাইলেই বলটি ধরতে পারবে। পাঁচবারের ব্যালন ডি-অর জয়ী মেসির কাছ থেকে বল কেড়ে নেয়া এত সহজ!

সাউথ চায়ান মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, বাড়ির পেছনের ছোট্ট মাঠে দুই পুত্র মাতেও ও থিয়াগোর সাথে ফুটবল খেলছিলেন মেসি। এসময় তাদের একজন বলে, ‘হাল্ক দারুণ ফুটবল খেলে’। জবাবে অন্য পুত্র বলেন, ‘তবে বাবা ওর চেয়ে ভালো খেলে’। এরপরই মেসি কুকুরটির সাথে খেলতে শুরু করেন।

ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজে ভিডিওটি শেয়ার করে এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, কুকুরটি এবার হয়তো জানতে পেরেছে তার মালিকের প্রকৃত পরিচয়। এক মেসি ভক্ত লিখেছেন, জানা গেল মেসির দুর্দান্ত ফুটবল নৈপুণ্যের গোপনীয়তা। আমারো একটি কুকুর দরকার!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাল্কের উপস্থিতি অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে মেসি প্রথম একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন পোষা প্রাণীটির কথা।

মেসির তিন পুত্রের মধ্যে থিয়াগো সবার বড়। তার বয়স পাঁচ বছর। মাতেও’র বয়স দুই বছরের কিছু বেশি। আর ছোট ছেলে সিরোর বয়স চার মাস। ফুটবল বিশ্বকাপের পর থেকে বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন এই তারকা। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে ক্লাব ফুটবল মৌসুম। বার্সেলোনা এফসির ক্যাম্পে যোগ দেয়ার আগে বর্তমানে স্ত্রী পুত্রদের সাথে বার্সেলোনা নগরীর বাড়িতেই অবস্থান করছেন এই ফুটবলার।

দেখুন হাল্কের সাথে মেসির ফুটবল খেলা

 

আরো পড়ুন : ব্রাজিলের ভবিষ্যত তারকা কারা?

এবারের দলবদলের বাজারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বাদে যে তিনটি নাম নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রিচারলিসন (ওয়াটফোর্ড থেকে এভারটন), ভিনসিয়াস জুনিয়র (ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে রিয়াল মাদ্রিদ) ও ম্যালকম (বর্দু থেকে বার্সেলোনা) অন্যতম। এই তিনজনই ব্রাজিলিয়ান এবং তিনজনই চুক্তি শর্তানুযায়ী বড় অঙ্কের অর্থই লাভ করেছেন। অথচ তিনজনের কেউই এখনো ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেননি। এমনকি রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদেরকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনাও করা হয়নি। যদিও তাদের তিনজনেরই বয়স এখনো কম এবং জাতীয় দলে ঢোকার জন্য তাদের হাতে এখনো অনেক সময় রয়েছে। এদের মধ্যে ভিনসিয়াসের বয়স মাত্র ১৮। মূল বিষয় হচ্ছে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিনিয়র পর্যায়ে এদের নিয়ে কেউই কোনো চিন্তা শুরু করেনি।

এই তিনজনের একদিক দিয়ে মিল রয়েছে, এরা সবাই স্ট্রাইকিং পজিশনে খেলে থাকেন। এই পজিশনে জাতীয় দলে নেইমার, উইলিয়ান, ডগলাস কস্তা, টাইসনদের মত পরীক্ষীত খেলোয়াড়রা রয়েছেন। তাদের সাথে আরো রয়েছেন ফিলিপ কুটিনহো। যাকে দিয়ে সহজেই আক্রমণভাগের শূন্যতা পূরণ করা যায়। আর এখন এই তিনজনের সাথে পাইপলাইনে আরো আছেন সান্তোসের রড্রিগো।


রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু এই ম্যাচে আক্রমভাগ নয় বরং সেন্ট্রালি মিডফিল্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো সমস্যায় আবারো ভুগেছে সেলেসাওরা। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের তারকা টোস্টাও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত দিয়ে থাকেন। বিশ্বকাপ যেহেতু এখন ইতিহাস, প্রতিটি দলের সামনেই এখন ঘরোয়া ফুটবলের প্রতি নজর দেয়ার সময় এসেছে। আর জাতীয় দল থেকে ক্লাব ফুটবলে মনোযোগী হওয়ার কাজটা মোটেই সহজ নয় বলে মনে করেন টোস্টাও।

তিনি লিখেছেন, ‘দুটি ক্ষেত্রের পার্থক্যটা বিশাল। তরুণ কিছু কোচের পরিশ্রম সত্ত্বেও এখনো ব্রাজিল দলে খারাপ কিছু অভ্যাষ রয়ে গেছে। সেন্টার-ব্যাকের খেলোয়াড়রা পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে থেকে যায়। সতীর্থদের লং পাস দিতে গেলে তা প্রায়শই এমন কাউকে দিতে হয় যাদের হয়ত প্রতিপক্ষ মার্ক করে রেখেছে। বক্সের মধ্যে ক্রসপাস বেশি হয়, এই সমস্যাগুলো পরবর্তীতের দলের ফলাফলে প্রভাব ফেলে।’

সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও ব্রাজিল প্রায়ই সমস্যায় পড়ে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লুইস সিলভা, হামবুর্গের হয়ে ওয়ালেস ও লিলির হয়ে থিয়াগো মাইয়া এখনো ইউরোপে নিজেদের সেরা ফর্ম প্রমান করতে পারেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement