১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে তা লজ্জার : ম্যারাডোনা

ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে তা লজ্জার : ম্যারাডোনা - সংগৃহীত

রাশিয়ায় ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আর্জেন্টাইন ফুটবল লিজেন্ড ডিয়াগো ম্যারাডোনার বলা- ‘আমি মনে প্রাণে একজন ফিলিস্তিনি’ বাক্যটি সারাবিশ্বের মুসলমানদের হৃদয় স্পর্শ করেছে।

এর আগে ২০১৪ সালেও ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে তা লজ্জার। ২০১২ সালে ম্যারাডোন বলেছিলেন, আমি ফিলিস্তিনের এক নম্বর সমর্থক। আমি তাদের সম্মান করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই।

এবারে আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন মাত্র। ফুটবল জগতে কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত ম্যারাডোনা দীর্ঘ সময় থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

ফিলিস্তিন একদিন চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে জানান ম্যারাডোনা।  নিজের ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ম্যারাডোনা লিখেন, এই লোকটি ফিলিস্তিনে শান্তি চায়। জনাব আব্বাস, আপনার নিজের একটি পূর্ণাঙ্গ দেশ আছে , আপনার কিছু অধিকারও রয়েছে।

গত রোববার রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ। আর সেই ম্যাচটি দেখার জন্য রাশিয়ায় উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল লিজেন্ড ডিয়াগো ম্যারাডোনা। এদিকে এই ম্যাচটি দেখতে রাশিয়ায় ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আর সেখানেই এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন ম্যারাডোনা ও প্রেসিডেন্ট আব্বাস।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মস্কো গেছেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হবেন বলে কথা রয়েছে।

বিশ্বকাপের শেষ শো’তে ম্যারাডোনা বলেন, আমাদের কেনা যায় না, আমরা পায়ে-হাতে-মনে বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক। একথা মানুষ জানে যে আমরা সত্য কথা বলি এবং সাম্য চাই।

এর আগে ম্যারাডোনা প্রকাশ্যেই ভেনিজুয়েলা, কিউবা ও ইরানের নেতাদের প্রশংসা করেন। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় নিযুক্ত ইরানি কূটনীতিক মহসিন বহরভন্দকে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ(তৎকালীন) এবং কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর(তৎকালীন) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এখন আমি আপনাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।

ফিলিস্তিন আমার হৃদয়ে : ম্যারাডোনা
মিডল ইস্ট মনিটর ও টাইমস অব ইসরাইল

আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনা রাশিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এসময় ম্যারাডোনা বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমার হৃদয়ে, আমিও ফিলিস্তিনি’। ফুটবল আইকন রোববার মস্কোতে প্যালেস্টাইনী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে।

ম্যারাডোনা তার ইনস্টাগ্রাম পেজে মাহমুদ আব্বাসের সাথে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এটি আরব ও ইসরায়েলি মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার ঝড় তোলেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।

ফুটবলবোদ্ধারা মনে করেন, ম্যারাডোনা ফিলিস্তিনের আন্দোলনের ব্যাপারে পূর্ণ সহনুভুতিশীল। ম্যারাডোনা মাহমুদ আব্বাসের সাথে কোলাকুলি করে বলেন, এই মানুষটি ফিলিস্তিনে শান্তি চায়। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের একটি দেশ রয়েছে , তার কিছু অধিকারও রয়েছে।

ম্যারাডোন ফিলিস্তিনকে অতি দ্রুত দেশ হিসেবে স্বাধীনতা দেয়ার আহবান জানান। মাহমুদ আব্বাস ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে একটি পেইন্টিং উপহার দেন। যেখানে শান্তির প্রতীক কবুতর ফিলিস্তিনের জলপাই ডালে বসে আছে।

এর আগে ২০১২ সালে ম্যারাডোন বলেছিলেন, আমি ফিলিস্তিনের এক নম্বর সমর্থক। আমি তাদের সম্মান করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। ২০১৪ সালে গাজা ইসরাইল যুদ্ধের সময় ম্যারাডোন বলেছিলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে তা লজ্জাজনক।

এ বছরের গোড়ার দিকে শোনা গিয়েছিল এ আর্জেন্টাইন তারকা ফিলিস্তিন ফুটবল টিমের সাথে কোচ হিসেবে যোগ দিবেন। যদিও পরবর্তিতে আর হয়নি। এই ফুটবল তারকা বিশ্বের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। এছাড়া তার একটি গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। এবছর ইসরাইলের সাথে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেই ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা।


আরো সংবাদ



premium cement