২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌরভ ছড়িয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

ফ্রান্স ১-০ বেলজিয়াম (উমতিতি)
সৌরভ ছড়িয়ে ফাইনালে ফ্রান্স -

৭৪ দেখায় বেলজিয়ামের জয় ৩০টি, ফ্রান্সের ২৪টি। ড্র ১৯টি। এটি ছিল ফ্রান্সের ষষ্ঠ সেমিফাইনাল। আর বেলজিয়ামের দ্বিতীয়। আগের পাঁচ সেমিফাইনালের তিনবারই হারে ফ্রান্স। ফাইনালে উঠে ১৯৯৮ সাল ও ২০০৬ সালে। ২০০৬ সালে রানার্সআপ এবং ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপের মিশন শেষ করে ফ্রান্স। অন্য দিকে বেলজিয়াম বিশ্বকাপ সেমিতে খেলেছে একবারই, ১৯৮৬ সালে। এবার বেলজিয়ামের স্বপ্নভঙ্গ করে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বপ্ন বহাল রাখে ফ্রান্স। গতকাল ২১তম বিশ্বকাপের প্রথম সেমিতে উমতিতির একমাত্র গোলে ফ্রান্স ১-০ তে হারায় বেলজিয়ামকে।
১৯৯৮ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়ে সেবারই প্রথম ও শেষবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে ফ্রান্স। বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশ্যম ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। এবার কোচ হিসেবে এগিয়ে গেলেন দ্বিতীয় শিরোপার দিকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলা ১৫ জন খেলোয়াড়ই ছিলেন বেলজিয়াম দলে। অভিজ্ঞতার আলোকে মাঠে নামলেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি বেলজিয়ামের স্কোয়াড।
মস্কোর লুঝিনিকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ ম্যাচে ফরাসি একাদশে ফিরেছেন মাতুইদি। অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে বেলজিয়াম একাদশে নেই টমাস মুনিয়ের। শুরুতে মাঠ গুছিয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিট থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানায় বেলজিয়াম। একাধিক সুযোগ পেলেও ল্যভেদ করতে পারেননি হ্যাজার্ডরা। কিছুক্ষণ পর মাঠ গুছিয়ে পরিকল্পিত আক্রমণে যায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যান, এমবাপ্পেরা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু কাক্সিক্ষত গোল পায়নি। দুই দলকেই গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন দুই দলের গোলরক। প্রথমার্ধে বেলজিয়ামের কাছে ৬০ শতাংশ এবং ফ্রান্সের কাছে ৪০ শতাংশ বল ছিল।
১৩ মিনিটে পগবার বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে হ্যাজার্ডের কোনাকুনি শট পোস্টের কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ১৮ মিনিটে মাতুইদির শট রুখে দেন বেলজিয়ামের কিপার কোর্তোইজ। ১৯ মিনিটে হ্যাজার্ডের শট গোলমুখ থেকে মাথা দিয়ে রুখে দেন ফ্রান্সের উমতিতি। ২২ মিনিটে বেলজিয়ামের আলদারের নজর কাড়া শটটি রুখে দেন ফ্রান্সের কিপার লরিস। ২৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গিরুদের শট কোনোমতে পা দিয়ে রক্ষা করেন বেলজিয়ামের কিপার। ৩১ মিনিটে ফের গোলের সুযোগ নষ্ট করেন গিরুদ। ৪০ মিনিট থেকে প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত বল ছিল ফ্রান্সের দখলে। এমবাপ্পে ও ডি ব্রুইনের দু’টি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন বেলজিয়ামের কিপার কোর্তোইজ। গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় উভয় দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে মাঠে নামে ফ্রান্স। কম যায় না বেলজিয়ামও। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে শূন্যে লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডটি করেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি। তাকে রুখতে পারেননি দীর্ঘদেহি ফেলাইনি এবং তার বলটি রুখতে পারেননি গোলরক্ষক কোর্তোইজ (১-০)। এরপর কমপক্ষে তিনটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাকু, ফেলাইনি ও ডি ব্রুইন। ৬৪ ভাগ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রেখেও কাজের কাজটি করতে পারেনি বেলজিয়ামের খেলোয়াড়রা। অবশ্য এ সময় ফাউলের পরিমাণও বেশি হতে থাকে। ৮০ মিনিটে হ্যাজার্ড বল মিস করলে বদলি খেলোয়াড় মার্টিনেজের বুলেট গতির শট রুখে দেন ফ্রান্সের কিপার লরিস। ৮৮ মিনিটে খেলায় সমতা আনার সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন লুকাকু। শেষ দিকে কয়েকটি গোলের সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলেও শিরোপা স্বপ্নে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।


আরো সংবাদ



premium cement