২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হেরেও গর্বিত সুইডিশরা

-

বাছাই পর্বে তাদের কাছে নাকাল হয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এই দুই দলের কেউই এবার রাশিয়ায় আসার টিকিট পায়নি। সেই সুইডেন রাশিয়াতেও করেছে বাজিমাত। চলে এসেছে কোর্য়াটার ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। ইংল্যান্ডের কাছে ২-০-এ হেরে এবার তাদের থামতে কোয়ার্টার ফাইনালে। অবশ্য এমন হারের পরও গর্বিত সুইডিশরা। তারা তো এখন বিশ্বের সেরা আট দলের একটি। তারা বাড়ি ফিরছে মাথা উঁচু করেই।

১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়েছিল সুইডেন। সেবার তাদের শেষ চার থেকে বিদায করে দেয় রোমারিওর ব্রাজিল। এবার সেই লক্ষ্যও পূরণ হয়নি। এরপরও এবারের অর্জনকে দেশের ফুটবলের জন্য নতুন অধ্যায় বললেন ফুটবলার রবিন ওসলেন। তার মতে, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর। ছেড়ে যেতে ইচ্ছেই করছেনা রাশিয়া। খুবই হতাশ এবং ব্যথিত এই হারে। এরপরও আমরা গর্বিত আমাদের দলকে নিয়ে।’ যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারর‌্যান্ডস এবং প্লে-অফে ইতালির বিপক্ষে জয় সবই আমাদের জন্য স্মরণীয়। এই সব রেজাল্টের জন্য গর্ব বোধ করছি আমি।’

এমিল ফেসর্সবার্গের মতে, আমরা দেশের ফুটবলের জন্য নতুন ইতিহাস রচনা করেছি। অন্তত পারফরম্যান্সের বিচারে। দেখুন পুরো জাতিই আমাদের এই প্রাপ্তিতে কেমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।’ অপর ফুটবলার মাকুসবার্গের বক্তব্য, বিশ্বকাপের আগে কেউইতো আমাদের গণনায় রাখেনি। সেখানে আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত এসেছি। তাই এই সাফল্যে আমি গর্বিত।

কোচ জেন অ্যান্ডারসনের মতে, আমরা এমন একটা ফুটবল দল তৈরি করেছি যারা ভালো ফুটবল উপহার দিয়েছে। উন্নত ফুটবল শৈলী উপহার দিয়েছে একাধিক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। এদের নিয়েই ২৪ বছর পর ফের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। এটা এই গ্রীষ্মে আমাদের সেরা অর্জন।


আরো সংবাদ



premium cement