২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হলুদ কার্ড যখন আশীর্বাদ

ফুটবল
হলুদ কার্ড পাওয়ার হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে সেনেগাল - ছবি : এএফপি

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১ পয়েন্ট পেলেই শেষ ষোলোতে উঠতে পারবে সেনেগাল। কিন্তু কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় চিন্তায় পড়তে হয় সেনেগালকে। কারণ এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে জাপান-পোল্যান্ডের ফল কি হয়, তার জন্য। কিন্তু সেখানে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়া পোল্যান্ড। ফলে জাপান ও সেনেগালের পয়েন্ট হয় সমান ৪। টুর্নামেন্টের নিয়মনুযায়ী, পয়েন্ট সমান হলে গোল পার্থক্য বিবেচনা করা হবে। কিন্তু সেখানেও সমান-সমান জাপান ও সেনেগাল। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বে চারটি করে গোল দিয়েছে এবং চারটি করে গোল হজম করেছে দু’দলই।

পয়েন্ট ও গোল সমান হয়ে যাওয়ায় ‘ফেয়ার প্লে’র নিয়ম অর্থাৎ কোন দল গ্রুপ পর্বে কত কম কার্ড দেখেছে তার উপর নির্ধারণ হবে শেষ ষোলোতে কে উঠবে। সেখানে জাপানের চেয়ে বেশি কার্ড দেখেছে সেনেগাল। ফলে সেনেগালকে পেছনে ফেলে কলম্বিয়ার সাথে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে উঠলো জাপান। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে চারটি হলুদ কার্ড দেখেছে জাপান। অন্যদিকে পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখেছে সেনেগাল।

পঞ্চম ও শেষ হলুদ কার্ডটি কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচে দেখেছেন সেনেগালের স্ট্রাইকার এম’বায়ে নিয়াং। ফলে নিয়াং-এর এই হলুদ কার্ডের কারণেই বিশ্বকাপ থেকে হৃদয়বিদারক বিদায় ঘটলো সেনেগালের। আর জাপানের জন্য সে হলুদ কার্ডটি হয়ে উঠলো আশীর্বাদ হয়ে। 

৩ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে উঠলো কলম্বিয়া। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফেয়ার প্লে লড়াইয়ে এগিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেল জাপান। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিয়ে বিশ্বকা শেষ করতে হলো সেনেগালকে। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ হলো পোল্যান্ড।

প্রথম দু’ম্যাচ থেকে ১টি করে জয় ও ড্র’তে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে জাপান। তাই শেষ ষোলোতে উঠতে এ ম্যাচ থেকে আর মাত্র ১টি পয়েন্ট প্রয়োজন ছিলো জাপানের। অপরদিকে, এ ম্যাচ থেকে চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিলো না পোল্যান্ডের । কারণ প্রথম দু’ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পোল্যান্ডের।

তাই এ ম্যাচটি বেশি গুরুত্ব ছিলো জাপানের কাছে। ফলে ম্যাচের শুরু থেকেই পোল্যান্ডের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জাপান। ৪-৪-২ ফরম্যাটে মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণের শুরু করে তারা। তবে পোল্যান্ডের সীমানায় প্রথম আক্রমণ করে ১৩ মিনিটে। মধ্যমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে হেডে পোল্যান্ডের গোলমুখে স্ট্রাইকার ইওশিনোরি মুতোকে বল দেন মিডফিল্ডার তাকাশি উসামি। বল পেয়ে ডান-পায়ে শট নিয়েছিলেন মুতো। কিন্তু আটকে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক লুকাজ ফাবিয়ানস্কি।

জাপানের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় পোল্যান্ড। ১৫ মিনিটে মিডফিল্ডার রাফাল কুরজাওয়া যোগান দেয়া বলে জাপানের গোলমুখে শট নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। কিন্তু সেই শট থেকে গোল অর্জন করতে পারেনি পোলিশরা।

তবে ৩২ মিনিটে প্রায় গোলের স্বাদ নিতেই যাচ্ছিলো। কিন্তু জাপানের গোলরক্ষক ইজি কাওয়াশিমা পোলিশদের নিশ্চিত গোলের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করেন। ডান-প্রান্ত দিয়ে জাপানের বক্সের ভেতর বলকে ক্রস করেন ডিফেন্ডার বার্টোজ বেরেজনিয়াস্কি। হাওয়া ভেসে আসা বলে হেড নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার কামিল গ্রোসিচকি। বল জাপানের গোল সীমানা অতিক্রমও করে। কিন্ত ডান-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাওয়া থাকা বলকে গোলমুখ থেকে ফিরিয়ে দেন কাওয়াশিমা। ফলে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় পোল্যান্ড।

এরপর গুটি কয়েক আক্রমণ দু’দলই করেছিলো। কিন্তু প্রথমার্ধে স্কোরলাইনে কোন দলই পরিবর্তন আনতে পারেনি। তাই গোল শুন্যভাবে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমভাগ।

প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিলো পোল্যান্ড। ৫৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিলো ৪-২-৩-১ ফরম্যাটে ম্যাচ শুরু করা পোলিশরা। ম্যাচের প্রথমভাগে গোল মিস করলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম স্কোর লাইনে পরিবর্তন আনে পোল্যান্ডই।

৫৯ মিনিটে মিডফিল্ডার রাফাল কুরজাওয়ার পাস থেকে জাপানের বিপদ সীমানায় বল পেয়ে যান পোল্যান্ডের ইয়ান বেদনারেক। ডান শটে বলকে জাপানের জালে প্রবেশ করান বেদনারেক। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পোলিশরা। এরপর ম্যাচের বাকী সময়ে সমতা আনতে পারেনি জাপান। ফলে হারের স্বাদ নিতে হয় তাদের। তারপরও ফেয়ার প্লে’র কল্যাণে শেষ ষোলোতে উঠলো জাপান।

আরো পড়ুন :

দ্বিতীয় রাউন্ডে কে কার মুখোমুখী
শেষ হলো রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা। ৩২টি দল থেকে নিয়মানুযায়ী অর্ধেক অর্থাৎ ১৬টি দল পেল দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট। আর বাকি ১৬ দলের বিশ্বকাপ শেষ। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ খেলবে। এখান থেকেই শুরু হবে নকআউট পর্ব। যার মানে হচ্ছে, হারলেই বিদায়।

দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে টিকে থাকবে শেষ ৮ দল, মানে কোয়ার্টার ফাইনাল। তারপর শেষ চার, মানে সেমিফাইনাল ও শেষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। নকআউট পর্বের প্রথম ধাপ অর্থাৎ শেষ ষোলোর সেই লড়াই শুরু হবে শুরু হবে আগামীকাল ৩০ জুন শনিবার থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছেন ফুটবল বিশ্বের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা আর অন্য ম্যাচে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। ২ জুলাই মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত শেষ ষোলোর মঞ্চে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ মাঠে গড়াবে।

দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিকশ্চার
৩০ জুন-- ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা- রাত ৮টা- কাজান
৩০ জুন-- উরুগুয়ে বনাম পর্তুগাল- রাত ১২টা- সোচি

১ জুলাই-- স্পেন বনাম রাশিয়া- রাত ৮টা- মস্কো
১ জুলাই- ক্রোয়েশিয়া বনাম ডেনমার্ক- রাত ১২টা- নিঝনি নোভগোরাদ

২ জুলাই-- ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো- রাত ৮টা- সামারা
২ জুলাই-- বেলজিয়াম বনাম জাপান- রাত ১২টা- রোস্তভ

৩ জুলাই--সুইডেন বনাম সুইজারল্যান্ড- রাত ৮টা- সেন্ট পিটার্সবার্গ
৩ জুলাই--কলম্বিয়া বনাম ইংল্যান্ড- রাত ১২টা- মস্কো


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে?

সকল