১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ত্রীর প্রতি এমন সালাহ!

স্ত্রীর প্রতি এমন সালাহ! - ছবি : সংগৃহীত

তিনি এবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে উদ্বেগ ছিল গোটা বিশ্বে। অবশেষে কাঁধের চোট থেকে সেরে উঠেছেন মোহাম্মদ সালাহ। আর এই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার জন্য মিশরের তারকা ফরোয়ার্ড সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন তার স্ত্রীকে। এমনিতে অন্তর্মুখী বলেই পরিচিত এই লিভারপুল–তারকা। পারবারিক জীবনের কথা খুব একটা সামনে আনতে চান না। কিন্তু চোট লেগে বিশ্বকাপে যখন তিনি অনিশ্চিত হয়ে পড়েন, সেই সময় থেকে সেরে ওঠা পর্যন্ত যেভাবে সালাহের পাশে থেকেছেন তার স্ত্রী ম্যাগি, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সালাহ নিজেই। পাশাপাশি ফাঁস করেছেন নিজেদের প্রেমের কাহিনীও।

স্কুলে পড়ার সময় ম্যাগির সঙ্গে আলাপ হয় সালাহের। বর্তমানে পেশায় জৈবরসায়নবিদ ম্যাগি। ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। নিজের গ্রামের সমস্ত অধিবাসীদের সেই বিবাহ উৎসবে নিমন্ত্রণ করেছিলেন সালাহ। মাকা নামে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তাদের। কন্যার ছবি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সালাহ।


সালাহ’র ফিটনেস মিসরের হারের মূল কারণ নয় : কুপার

বিশ্বকাপে মিসরের ব্যর্থতার পিছনে মোহামেদ সালাহ’র অনুপস্থিতি একটি কারন হতে পারে। কিন্তু তারকা এই ফরোয়ার্ডের ইনজুরি দলের ব্যর্থতার একমাত্র কারণ নয় বলেই মনে করেন কোচ হেক্টর কুপার।

মঙ্গলবার স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলে পরাজিত হওয়ায় এবারের বিশ্বকাপে মিসরের বিদায় প্রায় নিশ্চিত বলা চলে। ম্যাচটিতে একমাত্র গোলটি অবশ্য এসেছে সালাহ’র স্পট কিক থেকে। গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কাঁধের ইনজুরিতে পড়া সালাহ সুস্থ হয়ে কালই প্রথম বিশ্বকাপের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু জয়ের জন্য মরিয়া মিসরের সাফল্যের লক্ষ্যে কোনো অবদান রাখতে পারেননি প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা এই খেলোয়াড়।

কুপার বলেন, ‘দলে সালাহ’র গুরুত্ব নিয়ে কারো মাঝে সন্দেহ নেই। সে যখন ইনজুরিতে পড়ে তখন থেকেই আমরা বেশ দু:শ্চিন্তায় ছিলাম। টুর্নামেন্টের আগে অনুশীলন ক্যাম্পে সকলের সাথে তাকে দলে পাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত: তা হয়নি। সে নিজের ফিটনেস ফেরাতে ব্যস্ত ছিল।

শতভাগ ফিট প্রমানের আগে আমরা মেডিকেল দলের সাথে আলোচনা করেছি। সালাহ নিজেও জানিয়েছে সে খেলার জন্য প্রস্তুত। আমিও তার অনুশীলন দেখে সন্তুষ্ট হয়েছি। তার কাছ থেকে দলের প্রত্যাশা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশী। কিন্তু আমি সবসময়ই বলি এক বা দুজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের পিছনে অবশ্যই পুরো দলের অবদান থাকাটা জরুরি।’

কুপার আরো বলেন রাশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধটা আমরা দারুণ খেলেছি। কিন্তু মাত্র ১০-১৫ মিনিট বাজে খেলাতেই আমরা পিছিয়ে যাই। আমরা ঠিকমত ম্যাচের আবহ ধরে রাখতে পারিনি। ৪৭ মিনিটে গোলরক্ষক মোহামেদ এল-শেনাবির অপ্রয়োজনীয় পাঞ্চে আহমেদ ফাতির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়া। ৫৯ মিনিটে মিশরের রক্ষনভাগের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেনিস চেরিশেভ। তিন মিনিট পরেই আরটেম দিজিউবা দারুন এক গোলে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন।

কুপার বলেন, আমি মনে করি না এখানে মনোযোগের অভাব ছিল। বিশ্বকাপে এই ধরনের খেলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও কখনো কখনো ভুল হয়ে যেতেই পারে।


আরো সংবাদ



premium cement