২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাথরুমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল খুদে মেসিকে

বাথরুমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল খুদে মেসিকে - ছবি : সংগৃহীত

দরজায় বারবার আঘাত করছে একটি ছেলে। কে বা কারা যেন তাকে বাইরে থেকে আটকে রেখেছে। ভিতর থেকে চিৎকার করলেও তার আর্তি পৌঁছচ্ছে না কারও কানেই। পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট.... অবশেষে প্রায় আধঘণ্টা পর বাথরুম থেকে বেরতে পারে সেই ছেলেটি।

কেন তাকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল? ঘটনাটি জানালেন ব্রোনিৎসিতে হাজির এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক। তার নাম হুয়ান আন্তোনিও। ঘনঘন সিগারেটে টান দেয়া অভ্যাস। মুখের সঙ্গে নাক দিয়েও ছাড়েন ধোঁয়া। কথা বলতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। আর মেসির অন্ধ ভক্ত।

তিনি বলা শুরু করলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলের ছেলেদের নিয়ে রোজারিওয় একটি নামী ফুটবল প্রতিযোগিতা হতো। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ওই খুদে ফুটবলারটিকে বাথরুমে আটকে রেখেছিলেন বিপক্ষ দলের কোচ। কারণ তিনি জানতেন, ওকে মাঠে নামতে দিলেই সমূহ বিপদ। তার স্কুল কখনোই জিততে পারবে না। তাই এই ব্যবস্থা।’

থামলেন হুয়ান। পকেট থেকে বের হলো সিগারেট। ফস করে দেশলাই জালিয়ে সুখটান দিয়ে তিনি আবার ফিরলেন গল্পের পরের এপিসোডে, ‘পরিকল্পনামতো খেলে বিরতির আগেই এক গোলে এগিয়ে গেল সেই দুষ্টু কোচের দল। প্রতিপক্ষ স্কুলের খুদে ফুটবলাররা ভাবছে, কোথায় গেল আমাদের দশ নম্বর? ও থাকলে এরকম দুরবস্থা হতো না। অবশেষে বিরতিতে বন্ধ বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হলো সেই প্রতিভাবান ফুটবলারটিকে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পালের হাওয়া উলটো দিকে বইয়ে দিলো সে। করল হ্যাটট্রিক। তিনটি গোলই বাঁ পায়ে। দ্বিতীয় গোলটি তো তুলনাহীন। নিজেদের অর্ধ থেকে ছিটকে আসা বল পেয়ে বিপক্ষের চারজনকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ছোট্ট চিপে জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল খুদে খেলোয়াড়টি। তার সৃজনশীল ফুটবলের দৌলতেই দল জিতল ৩-১ গোলে।’

কে এই ছেলেটি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার চ্যালেঞ্জ টপকানোর জন্য যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। লিওনেল মেসি। ছোট্ট থেকেই লিওর ফুটবল প্রতিভায় আলোকিত হয়ে উঠেছিল রোজারিও শহর। ওইটুকু বাঁ পায়ে অত শিল্প রয়েছে তা না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। বিপক্ষের পাঁচ-ছয়জন ফুটবলারকে কাটা কলাগাছের মতো ভূপতিত করা কোনও ব্যাপারই ছিল না ওর কাছে। স্কুলের গেম টিচার তাই লিওকে ফ্রি খেলার পরামর্শ দিতেন।

পাঁচ বছর বয়সে গ্র্যান্দোলি ক্লাবে ফুটবলের অ-আ-ক-খ শেখে মেসি। পরে যোগ দেন নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে। আর তখন থেকেই তিনি দলের ভরসা, বিপক্ষের ত্রাস। বার্সেলোনার আকাদেমি লা মাসিয়ায় নিজেকে গড়ে তোলার সময়েরও একটি গল্প শোনালেন হুয়ান, ‘‘একটি প্রস্তুতি ম্যাচের আগে কোচ তাঁকে এসে পরামর্শ দিলেন, ‘তুমি আজ বাঁ পায়ে কোনো বল ধরবে না।’ বাধ্য ছাত্রের মতো মেসি মাথা নেড়ে মাঠে নামলেন। নেমেই প্রথম বলটি পেলেন তার বাঁ দিকে। অভ্যাসবশত বাঁ পা দিয়ে বল ধরার সময় মনে পড়ল স্যারের নির্দেশ।

মুহূর্তের মধ্যে ডান পায়ের আউটস্টেপ দিয়ে বল ধরেই দৌড় শুরু হলো তার। যা থামল বল জালে জড়ানোর পর। মাঝে বিপক্ষের চার ফুটবলার বাধা দিতে এসেছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্য কোমরের মোচড় এবং চকিত ডজে তারা সবাই মাটিতে পড়ে। গোল করার পর সাইডলাইনের কাছে দৌড়ে এসে মেসি তার কোচকে জড়িয়ে ধরলেন। আবদারের সুরে প্রশ্ন করলেন, ‘এবার একটু বাঁ পায়ে খেলব স্যার?’ কোচ একটু হেসে মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন। অনেকেই হয়তো জানে না যে মেসির ডান পা’ও যথেষ্ট সচল। তবে বাঁ পায়ে খেলতে বেশি পছন্দ করেন তিনি।’’

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২

সকল