বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো সৌদি আরব ফুটবল দল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জুন ২০১৮, ১৩:৩৮
বিশ্বকাপের মাঝে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেল সৌদি আরব ফুটবল দল। মাঝ আকাশে বিমানে আগুন ধরে যায় বলে জানা গেছে। সৌদি আরবের ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফ সবাই নিরাপদে টিম হোটেলে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার কাছে ০-৫ গোলে হারের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই এবার মাঝ আকাশে বিপদে পড়ে গেল সৌদি আরব দল। বুধবার উরুগুয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল তারা।
মস্কো থেকে রোস্তভ যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন সৌদি আরব দলের এক অফিসিয়াল।
সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। যদিও ফুটবলাররা সকলেই নিরাপদে আছেন। রোস্তভ-অন-ডন বিমানবন্দরে সৌদির ফুটবলাররা নিরাপদেই অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দর থেকে সকলেই হোটেলেও ফিরে গিয়েছেন নিরাপদেই।
আগুন ধরে যাওয়া বিমান
আরো পড়ুন:
তবুও টেনশনে সুইডেন
রফিকুল হায়দার ফরহাদ, রাশিয়া থেকে
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় মানে নক আউট পর্বের দিকে এক পা দিয়ে ফেলা। সে কাজই করে ফেলেছে ‘এফ’ গ্রুপের দল মেক্সিকো এবং সুইডেন। অন্য দিকে বিপদে জার্মানী এবং দক্ষিণ কোরিয়া। প্রত্যেকেরই এখন দু’টি করে ম্যাচ বাকি। তবে এক ম্যাচে জিতে মেক্সিকো কিছুটা নিশ্চিত হলেও বেশ টেনশনে সুইডেন।
তিন পয়েন্টে তাদের ছাড়পত্র মিলবে না দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। অরো তিন পয়েন্ট লাগবে। কপাল ভালো থাকলে ৪ পয়েন্টে পরের ধাপে যাওয়া হতে পারে। কিন্তু সুইডেনের তো নিশ্চয়তা নেই পরের দুই খেলা থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার। কারণ তাদের দুই প্রতিপক্ষ শক্তিশালী জার্মানী এবং মেক্সিকো। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর পরের দুই ম্যাচ নিয়ে টেনশন করতে দেখা গেছে সুইডেনের ফুটবলার আলবিন একডাল, পনথুস জানসন, লর্ড উইগ অগাস্টিনসনদের।
তাদের একটাই বক্তব্য, কোরিয়াকে আমরা হারাতে পেরেছি ঠিকই কিন্তু জার্মানী এবং মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় পাওয়াটা বেশ কঠিন। দুই দলই বেশ ভালো দল।
ডিফেন্ডার জানসনের মতে, ‘আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। এমন শুরু সবাই চায় গ্রুপের প্রথম ম্যাচে। কিন্তু পরের রাউন্ডে যেতে আমাদের অন্তত একটি জয় পেতে হবে জার্মানী বা মেক্সিকোর বিপক্ষে। দুই দলই টাফ। তাই বলতে পারছি না জয়ের কথা।’
মিক্সড জোনে মিডিয়ার সাথে কথা বলা অন্য ফুটবলার হলেন কার্ল গুস্তাভ সেভেনসন। তার বক্তব্য, গ্রুপটা কঠিন করে দিয়েছে মেক্সিকো। জার্মানদের বিপক্ষে তাদের জয় পাল্টে দিয়েছে চিত্র। আমি বিস্মিত হয়েছি মেক্সিকানদের পারফরম্যন্সে। আসলে জার্মানী মনে করেছিল তারা সহজে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু মেক্সিকোর জয় এখন তাদেরই বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে।
মিডফিল্ডার আলবিন একডালের মতে, ‘মেক্সিকোর কাছে হারলেও জার্মানী এখন বিশ্বের এক নাম্বার দল। সুতরাং তাদের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেতে হলে সব সুইডিশ ফুটবলারকে শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। ভুলে গেলে চলবেনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এখন বাঁচা মরার লড়াই। তারাও জয়ের মরিয়া চেষ্টা চালাবে আমাদের বিপক্ষে।’
এরপরই তিনি শোনান আশার বাণী। ‘আমাদের ডিফেন্স লাইন ভালো। কোরিয়ানরা তো সুযোগই পায়নি আমাদের সাথে। তবে জার্মানীর আক্রমণভাগও ভালো। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ জিতে মেক্সিকানরা প্রমাণ করেছে তারা কতটা শক্তিশালী।’ একই বক্তব্য অগাস্টিনসনেরও।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে ডিফেন্ডার এমিল ক্রাফত জানান, আমাদের আরো ২/৩ গোল বেশি দেয়া উচিত ছিল। তবে পেনাল্টি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তার ও চিন্তায় জার্মানীর বিপক্ষে ২৩ জুনের ম্যাচ নিয়ে। বলেন, ‘যদিও জার্মানী এখন চাপে আছে। আমরা এই সুযোগই কাজে লাগাতে চাই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা