১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এরদোগান প্রসঙ্গ : সোজা বের হয়ে গেলেন ওজিল

এরদোগান প্রসঙ্গ : সোজা বের হয়ে গেলেন ওজিল - সংগৃহীত

গত মাসে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তখন আর্সেনালে খেলা জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিলসহ আরেক ফুটবলার তাদের জার্সি উপহার দেন এরদোগানকে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে তুর্কি তথা এরদোগান-বিদ্বেষীরা। কিছু জার্মানতো এ নিয়ে ভীষন ক্ষুদ্ধ তুর্কি বংশোদ্ভুত ওজিলদের উপর। বিশ্বকাপে মেক্সিকোর কাছে জার্মানির হারের পর ফের এই প্রসঙ্গ টেনে আনেন এক তরুণ জার্মান সাংবাদিক। মিক্সড জোনে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন টনি ক্রুসকে। অবশ্য এই মিডফিল্ডার এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেন। এরপরেই এলেন ওজিল। কিন্তু তাকে কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য পাওয়া গেল না। তিনি সোজা বের হয়ে চলে গেলেন মিক্সড জোন দিয়ে। কিছুক্ষণ পর এলেন সামি খেদিরা। তিনিও মিডিয়াকে এড়িয়ে গেলেন।

স্যুটেড বুটেড মেক্সিকান ফুটবলারেরা

খেলা শেষে প্রত্যেক দলের খেলোয়াড়রা গেঞ্জি গায়ে ও ট্রাউজার বা প্যান্ট পরে ড্রেসিং রুম ছেড়ে বের হয়। এরপর তারা টিম বাসে উঠে হোটেলে ফেরার জন্য। কিন্তু বিশ্বকাপ ম্যাচ শেষে এই পোশাকেই ড্রেসিং রুম ছাড়েন জার্মান ফুটবলারেরা। কিন্তু মেক্সিকোর ড্রেসিং রুম থেকে বের হওয়া স্যুট পরা একজনের যখন সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য সে দেশের সংবাদকর্মীরা ছুটলেন তখন বিস্মিত হতে হলো তার, কেন কথা ছাপাতে হবে। পরে জানা গেল তিনি আর কেউ নন। মেক্সিকান ফরোয়ার্ড কার্লোস ভেলা। প্রথমে বোঝা গেল না কেন তার পরনে এই স্যুট টাই। এরপর একে একে অন্যরাও এলেন এই্ পোশাকে। একে একে পার হলেন মিক্সড জোন। কেন তাদের ম্যাচ শেষে এই পোশাক? মেক্সিকান সাংবাদিক ম্যানুয়েলের মতে , এটা জাতীয় দলের স্পন্সরের চাহিদা। মেক্সিকো দল খেলা শুরুর অগে এই পোশাক পরেই টিমের গাড়ি থেকে নামে। খেলা শেষেও গাড়িতে উঠার সময় একই পরিচ্ছদ।

ক্রিকেটের জার্সি পরে বিশ্বকাপের মাঠে তিন বাংলাদেশী

নিজনে নবগরড স্টেডিয়ামে কাল সুইডেন দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের সময় প্রেস বক্সের সামনে মিলল তিন বাংলাদেশীকে। দূর থেকে তাদের চেনা গেল রবিও নাম লেখা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে দেখে। এগিয়ে গিয়ে জানা গেল , তিন জনেরই বাড়ি সিলেটে। তারা তিনটি খেলা দেখতে রাশিয়া এসেছেন। কাল ছিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। একজনের নাম শরীফুল আহমেদ। অন্য দুজন জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী ও ইমরান আহমেদ চৌধুরী। ইমরান আবার সিলেট লিগের ফুটবল রেফারি। কেন তারা বাংলাদেশের ফুটবলের জার্সি রেখে ক্রিকেটের জার্সী পরে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে এলেন। তিনজনেরই উত্তর, সিলেটে আমরা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি খুঁজেছি, পাইনি। কোন দোকানে নেই। তাই বাধ্য হয়েই ক্রিকেট দলের জার্সি পরে এসেছি।

ভেঙ্গে পড়লো মিডিয়া বক্সের চেয়ার

মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত মস্কোন লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম। অথচ মিডিয়া বক্সের চেয়ার বসানোর কাজে হয়েছে দুই নম্বরি। তা না হলে কেন ভেঙ্গে পড়বে চেয়ার। জার্মানি-মেক্সিকো ম্যাচে সময় ভেঙ্গে যায় একটি চেয়ার। অবশ্য তাতে আহত হননি ওই চেয়ারে বসা চীনা সাংবাদিক। তিনি পরে সবাইকে ডেকে ভাঙ্গা চেয়ার নিয়ে ছবি তুলতে পোজ দেন।

তবুও টেনশনে সুইডেন

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় মানে নক আউট পর্বের দিকে এক পা দিয়ে ফেলা। সে কাজই করে ফেলেছে ‘এফ’ গ্রুপের দল মেক্সিকো ও সুইডেন। অন্য দিকে বিপদে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া। প্রত্যেকেরই এখন দু’টি করে ম্যাচ বাকি। তবে এক ম্যাচে জিতে মেক্সিকো কিছুটা নিশ্চিত হলেও বেশ টেনশনে সুইডেন। তিন পয়েন্টে তাদের ছাড়পত্র মিলবে না দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। অরো তিন পয়েন্ট লাগবে। কপাল ভাালো থাকলে ৪ পয়েন্টে পরের ধাপে যাওয়া হতে পারে। কিন্তু সুইডেনের তো নিশ্চয়তা নেই পরের দুই খেলা থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার। কারণ তাদের দুই প্রতিপক্ষ শক্তিশালী জার্মাানি এবং মেক্সিকো। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর পরের দুই ম্যাচ নিয়ে টেনশন করতে দেখা গেছে সুইডেনের ফুটবলার আলবিন একডাল, পনথুস জানসন, লর্ড উইগ অগাস্টিনসনদের।

তাদের একটাই বক্তব্য, কোরিয়াকে আমরা হারাতে পেরেছি ঠিকই কিন্তু জার্মানি ও মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় পাওয়াটা বেশ কঠিন। দুই দলই বেশ ভালো দল। ডিফেন্ডার জানসনের মতে, ‘আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। এমন শুরু সবাই চায় গ্রুপের প্রথম ম্যাচে। কিন্তু পরের রাউন্ডে যেতে আমাদের অন্তত একটি জয় পেতে হবে জার্মানি বা মেক্সিকোর বিপক্ষে। দুই দলই টাফ। তাই বলতে পারছিনা জয়ের কথা।’ মিক্সড জোনে মিডিয়ার সাথে কথা বলা অন্য ফুটবলার হলেন কার্ল গুস্তাভ সেভেনসন। তার বক্তব্য, গ্রুপটা কঠিন করে দিয়েছে মেক্সিকো। জার্মানদের বিপক্ষে তাদের জয় পাল্টে দিয়েছে চিত্র। আমি বিস্মিত হয়েছি মেক্সিকানদের পারফরম্যন্সে। আসলে জার্মানি মনে করেছিল তারা সহজে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু মেক্সিকোর জয় এখন তাদেরই বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মিডফিল্ডার আলবিন একডালের মতে, ‘মেক্সিকোর কাছে হারলেও জার্মানি এখন বিশ্বের এক নাম্বার দল। সুতরাং তাদের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেতে হলে সব সুইডিশ ফুটবলারকে শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। ভুলে গেলে চলবেনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এখন বাঁচা মরার লড়াই। তারাও জয়ের মরিয়া চেষ্টা চালাবে আমাদের বিপক্ষে।’ এরপরই তিনি শোনান আশার বাণী। ‘আমাদের ডিফেন্স লাইন ভালো। কোরিয়ানরা তো সুযোগই পায়নি আমাদের সাথে। তবে জার্মানির আক্রমণভাগও ভালো। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচ জিতে মেক্সিকানরা প্রমাণ করেছে তারা কতটা শক্তিশালী।’ একই বক্তব্য অগাস্টিনসনেরও।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে ডিফেন্ডার এমিল ক্রাফত জানান, আমাদের আরো ২/৩ গোল বেশি দেয়া উচিত ছিল। তবে পেনাল্টি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তার ও চিন্তায় জার্মানির বিপক্ষে ২৩ জুনের ম্যাচ নিয়ে। বলেন, ‘যদিও জার্মানি এখন চাপে আছে। আমরা এই সুযোগই কাজে লাগাতে চাই।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত

সকল