২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেসি-নেইমারদের কী হয়েছে?

মেসি-নেইমারদের কী হয়েছে? - সংগৃহীত

বি’ গ্রুপে পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ ড্র’য়ে নিস্পত্তি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগিজদের একাই টেনে নিয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো৷ সেখানে ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ দল সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চালিয়ে গ্রুপের সব থেকে কঠিন ম্যাচ উতরে গেছে না হেরে৷ তবে ‘ডি’ গ্রুপে আইসল্যান্ডের কাছে আর্জেন্টিনার আটকে যাওয়া ও ‘এফ’ গ্রুপে মেক্সিকোর কাছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার কার্যত রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই অঘটন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে৷

অঘটনের তালিকা আরো দীর্ঘ হলো ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল সুইজারল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়ায়৷ প্রথমার্ধে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে গিয়েও নেইমাররা ১-১ গোলে ড্র করে সুইসদের বিরুদ্ধে৷

বিশ্বকাপের আগে ফুটবল বিশ্বের নজর ছিল রোনালদো, মেসি, নেইমার ত্রয়ীর দিকে৷ প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে সিআর সেভেন বিশ্বকাপের নায়ক হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ গোল করা তো দূরের কথা, আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে কার্যত খলনায়ক বনে গেছেন মেসি৷ সেই অর্থে নেইমারকে খলনায়ক বলা যাবে না বটে, তবে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে তাকে পার্শ্বচরিত্র হিসাবেও বিবেচনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে৷

মেসির মতো একাধিক মার্কার বরাদ্দ ছিল নেইমারের জন্যও৷ এক মুহূর্তের জন্য খালি জায়গা ছেড়ে রাখা হয়নি নেইমারের আশেপাশে৷ প্রতিপক্ষের বেড়াজাল ভাঙতে পারেননি মেসি৷ নেইমারও পারলেন না৷ তবু ব্রাজিল সমর্থকদের আশাবাদী করে তুলেছিল ২০ মিনিটে ফিলিপ কুটিনহোর দুরন্ত গোল৷ প্রথমার্ধে চালকের আসনে থাকা ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে বসায় কাজে লাগেনি বার্সা তারকার মূল্যবান অবদান৷

৫০ মিনিটের মাথায় হফেনহেইমের মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবের কর্ণার কিক থেকে হেডারে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান৷ বাকি সময়ে ব্রাজিল মরিয়া আক্রমণে গিয়েও ম্যাচের স্কোরলাইন বদলাতে পারেনি৷ প্রতিআক্রমণ থেকে সুইসরাও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বটে, তবে ধৈর্য দেখাতে না পারায় তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা৷

আরো পড়ুন :
জিততে পারল না ব্রাজিলও
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৮ জুন ২০১৮, ০২:০৭

ম্যাচ শেষে হতাশ নেইমার - ছবি : সংগ্রহ
আর্জেন্টিনাকে জয় বঞ্চিত করেছে দুর্বল আইসল্যান্ড, জার্মানিকে তো হারিয়েই দিয়েছে মেক্সিকো। আর রোববারের তৃতীয় খেলায় টপ ফেভারিট ব্রাজিলকেও রুখে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে।

ব্রাজিলের ম্যাচটিকে অনেকটাই আর্জেন্টিনার ম্যাচের ফটোকপি বলা চলে। আগে লিড নিয়েও ধরে, রাখতে পারেনি ব্রাজিল। ২০ মিনিটে কুতিনহোর গোলের জবাব সুইসরা দিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ৫০ মিনিটে কর্নার কিক থেকে হেডে দর্শনীয় এক গোল করেছেন স্টিভেন জুবের। গোল শোধের পর অনেকক্ষণ বলের ওপর নিজেদের দাপট ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ ১৫ মিনিটে গোল করার জন্য এমন কিছু বাকি নেই যা করেনি ব্রাজিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি।

আর্জেন্টিনা যেমন আইসল্যান্ডকে একের পর এক আক্রমণে অসহায় করে তুলেছিলো, ব্রাজিলের চিত্র ছিলো তেমনই। তবে পার্থক্য বলতে আইসল্যান্ডের মতো সুইসরা সবাই ডিফেন্সে দাড়িয়ে যায়নি। আক্রমণের ফাঁকে তারা প্রায়ই পাল্টা আক্রমণ করেছে। কিন্তু নেইমার, মার্সেলো, কুতিনহোদের সামনে সেসব আক্রমণ নিতান্তই দুর্বল।

৭০ মিনিটে কুতিনহোর শট গেছে সাইডবারের পাশ দিয়ে। ৭৮ মিনিটে নেইমারের জোড়ালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন সুইস গোলরক্ষক। ৮২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারে ফিরিমিনো। ৮৫ মিনিটে নেইমার একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে, কিন্তু শেষটা করতে পারেননি। ৮৮ মিনিটে তার আরেকটি হেড রুখে দেন গোলরক্ষক। আর ৯০ মিনিটে ফিরিমিনোর হেড তো অনেকটা আন্দাজে হাত বাড়িয়ে ঠেকিয়েছেন সুইস গোলরক্ষক।
মোট কথা শেষ ১৫ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের পাগলপ্রায় করে তুলেছিলো ব্রাজিল।

এর আগে ম্যাচের ২০ মিনিট এগিয়ে যায় ব্রাজিল। রোস্ত অন-ডনের এই ম্যাচে বেশ কয়েকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো ব্রাজিল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে থিয়াগো সিলভার হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে যায়। সুইজারল্যান্ড আক্রমণ করেছে বেশ কয়েকবার। তবে খুব একটা বিপদের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি দলটি।
২০ মিনিটের সময় প্রথমে লেফট উইং থেকে বল নিয়ে ওয়ান টু ওয়ান এগিয়ে আসেন নেইমার ও মার্সেলো। বক্সের ভেতরে একেবারে গোললাইনের পাশ থেকে পাস দেন নেইমার। বলটি গোলের সামনে থেকে ফিরে আসে। পেয়ে যান কুতিনহো। বক্সের একেবারে মুখ থেকে তার ডান পায়ের বুলেট গতির শট সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষককে বোকা বানায়।

এর আগে ১১ মিনিটেই অসাধারণ এক সুযোগ তৈরি হয়েছিল। নেইমার বাম পাশ থেকে কয়েকজনকে কাটিয়ে বলটা ঠেলে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলমুখে। পাওলিনহো ভালোবাবে শটটা নিতে পারলেই গোল। কিন্তু ঠিকভাবে শটটাই নিতে পারলেন না তিনি। ডান কোন ঘেঁষে বলটা চলে যায় বাইরে। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে শেষ হলেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল শোধ করে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড।


আরো সংবাদ



premium cement