১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পগবার কাছে অনেক আশা

পগবার কাছে অনেক আশা - সংগৃহীত

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে যাচ্ছে শিরোপা প্রত্যাশী ফ্রান্স। আসন্ন ম্যাচসহ গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই দলের তারকা ফুটবলার পল পগবার কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন সতীর্থ স্ট্রাইকার আতোয়োন গ্রিজম্যান।
ম্যানচেস্টার ইনাইটেডের হয়ে মিশ্র একটি মৌসুম পার করে জাতীয় দলে ফিরেছেন পগবা। ধারাবাহিকভাবে পগবার দলকে দেয়ার সক্ষমতা নিয়ে এখনো সমালোচনায় মুখর রয়েছেন সমালোচকরা।

তবে জুভেন্টাসের সাবেক মিডফিল্ডারের যোগ্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই গ্রিজম্যানের। রাশিয়ায় এর প্রমান পগবা দিবেন বলেই তিনি মনে করেন। ফিফা ডট কমকে গ্রিজম্যান বলেন, ‘পল থেকে আমরা বড় কিছু আশা করছি। দূর পাল্লার শট থেকে গোল করার দক্ষতা এবং মেধা সব কিছুই তার মধ্যে আছে। আমরা তার পায়ের কারুকাজ দেখার অপেক্ষায় আছি। দলে কোন নেতা নেই। তবে পগবা যখন কিছু বলেন তখন সবাই তা শুনে।’

চার বছর আগে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বিশ্বকাপে গতানুগতিক ফলাফল করেছিল দিদিয়ের দেশ্যমের অধীনস্থ ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল। ইউরো অঞ্চলের এ’ গ্রুপের হয়ে বিশ্বকাপ বছাইপর্বের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল ফ্রান্স। এ্যাওয়ে ম্যাচে বেলারুসে গোল শুন্য ড্র করার পর আর অবশ্য পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। পরের চারটি ম্যাচেই ধারাবহিক জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রাশিয়ার টিকিট নিশ্চিত করে ফ্রান্স।

বাছাইপর্বে দিদিয়ের দেশ্যমের দলটি গোল পেয়েছে ১৮টি। যা উয়েফা গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ সময় তারা হজম করেছে ছয়টি গোল। যা গ্রুপ জয়ী ৯টি দলের মধ্যে ৫ম সেরার রেকর্ড।
সাম্প্রতিক বিশ্বকাপের আসরে ফ্রান্স সব সময় শিরোপা প্রত্যাশী দলের কাতারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৯৯৮ সালে নিজেদের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে ফ্রান্স। ২০০২ সালে গিয়ে কোন গোলের দেখাই পায়নি ফরাসি দলটি। তবে ২০০৬ সালে ফাইনালে গিয়েও শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হয় লেস ব্লুসরা। সর্বশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানীর কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ফরাসিদের।

এদিকে রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য যথেষ্ঠ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। গোল ব্যবধানে সৌদি আরবের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে সিরিয়া ও হন্ডুরাসের সঙ্গে প্লে অফের বাঁধা টপকে তবেই রাশিয়ার টিকিট নিশ্চিত করেছে সকারুসরা।
প্রধান কোচ এ্যাঞ্জে পস্তেকোগলু পদত্যাগ করায় বিশ্বকাপে দায়িত্ব পাওয়া বার্ট ফন মারউইক অন্তত দলটিকে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা করছেন।

এর বাইরে দলটির প্রধান ভিত্তি হচ্ছে তারুন্য নির্ভরতা। এই দলটিই অবশ্য চার বছর আগে অংশ নিয়েছিল ব্রাজিল বিশ্বকাপে। ২০১৫ সালে শিরোপা জয়ের মাধ্যমে দলটি বর্তমানে এএফসির চ্যাম্পিয়ন।
ফ্রান্স

গোলরক্ষক : হুগো লরিস (১), স্টিভ মন্দান্দা (১৬), আলফোনসে আরেওলা (২৩)
রক্ষণ ভাগ : লুকাস হার্নান্দেজ (২১). প্রেসনেল কিমপেম্বে (৩), বেঞ্জামিন মেন্ডি (২২), বেঞ্জামিন পাভার্ড (২), আদিল রামি (১৭), দিবরিল সিদিবে (১৯), স্যামুয়েল উমিতিতি (৫), রাফায়েল ভারানে (৪)।
মধ্যমাঠ : এনগোলা কন্টে (১৩), ব্লাইস মাতুইদি (১৪), স্টেভেন এন’জঞ্জি (১৫), পল পগবা (৬), কোরেনটিন তোলিসো (১২), টমাস লেমার (৮)।
আক্রমন ভাগ: ওসমানে ডেম্বেলে (১১), নাবিল ফেকির (১৮), অলিভার গিরুদ (৯), আতোয়োন গ্রিজম্যান (৭), কিলিয়ান এমবাপে (১০), ফ্লোরিয়ান তাউভিন (২০)।
কোচ: দিদিয়ের দেশ্যম।

অস্ট্রেলিয়া
গোলরক্ষক : ব্র্যাড জোনস (১২), ম্যাথু রায়ান (১), ড্যানি ভুকোভিচ (১৮)।
রক্ষণ ভাগ : আজিজ বেহিচ (১৬), মিলোস ডেগেনেক (২), ম্যাথু জারমান (৬), জেমস মেরেডিথ (৩), জোস রিসডন (১৯), ট্রেন্ট সেইন্সবারি (২০)।
মধ্য মাঠ : জ্যাকসন ইরভিন (২২), এ্যান্ড্রু নাবোট (১১) মিলে জেডিনাক (১৫), ম্যাথু লেচকি (৭), মাসিমো লুনগো (৮), মার্ক মিলিগান (৫), ড্যানিয়েল আরজানি (১৭), এ্যারন মুই (১৩), টম রোজিক(২৩)।
আক্রমন ভাগ : দিমিত্রি পেট্রাটস (২১), রবি ক্রুস (১০), টিম কাহিল (৪), টনি জুরিক (৯), জেমি ম্যাকলারেন (১৪) ।
কোচ : বার্ট ফন মারউইক।

 


আরো সংবাদ



premium cement