২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সালাহ না হুসেন আলী : কে এই ইরাকি?

সালাহ না হুসেন আলী : কে এই ইরাকি? - সংগৃহীত

চট করে দেখলে আপনার মনে হবে, সামনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ সালাহ। সন্দেহের অবকাশ হওয়ার কথাই নয়। সেলফি তো তুলবেনই। জিগ্যেসও করে ফেলতে পারেন, বিশ্বকাপে মিসর কতদূর পৌঁছাবে?
এরপর ভুল ভাঙবে আপনার। উলটোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা কোঁকরানো চুল এবং সযত্নে গাল ভর্তি দাড়ি রাখা যুবকটির উত্তর হবে, ‘আমি মো সালাহ নই। আমার নাম হুসেন আলী। প্রায় একইরকম দেখতে আমাদের। শুধু আপনি নন, অনেকেই এই ভুল করেছেন। আমি ইরাকের আল-জাওরা ক্লাবে খেলি।’

এরকম অবস্থায় প্রায়শই পড়তে হয়েছে হুসেন আলিকে। পাড়ার গলি থেকে বাগদাদের রাজপথে, এমনকী আল-জাওরা ক্লাবে প্রথম অনুশীলনের দিন অনেকেই তাকে দেখে মোহাম্মদ সালাহ মনে করেছেন। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলের মিসরীয় তারকাটি চোট পাওয়ার পর অনেকেই তার ‘ডুপ্লিকেট’ হুসেনকে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চেহারার পাশাপাশি পজিশনেও সালাহ’র সঙ্গে মিল রয়েছে হুসেনের।

আল-জাওরা ক্লাবে তিনি ফরোয়ার্ডেই খেলেন। সম্প্রতি এই সালাহ-অনুরাগীটি লিভারপুলের একটি জার্সি কিনেছেন। তা গায়ে চাপিয়ে পথেঘাটে বেরলে অনেক পরিচিত ব্যক্তিই হুসেনকে ভুল করছেন সালাহ বলে।

এক সাক্ষাৎকারে হুসেন বলেছেন, ‘আমি চাই মোহাম্মদ সালাহ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলুক। ওর দ্রুত সুস্থতার জন্য কোরাআন তেলায়াত করি। আল্লাহ’র কাছে চাই দোয়াও।’ প্রিয় ফুটবলারের সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন রয়েছে হুসেনের। বললেন, ‘একদিন না একদিন দেখা তো হবেই মো সালাহ’র সঙ্গে। যদি ও আমায় বিশ্বকাপে খেলা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানায় তাহলে তো দ্রুত স্বপ্ন সার্থক হবে। সেই আশাতেই রয়েছি।’

আরো পড়ুন :
তিতে ও নেইমারের উপর আস্থা রাখছেন পেলে

প্রতি বিশ্বকাপের আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা পেলের অভ্যাস। তবে অধিকাংশ সময়েই ফুটবলসম্রাটের মন্তব্য মেলে না। এবারও তিনি ব্রাজিল দল নিয়ে কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনবার বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পেলে জানান, ‘কোচ তিতের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে দল হিসেবে ব্রাজিল এখনও তৈরি নয়। বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। তাই কিছুটা হলেও আশঙ্কা রয়েছে। তিতের স্কোয়াডের অধিকাংশ ফুটবলাররাই দুর্দান্ত। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের বিন্দুমাত্র অভাব নেই ওদের মধ্যে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল হিসেবে খেলতে হবে।’

তিতের পাশাপাশি নেইমারেরও প্রশংসা করেছেন পেলে। এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা নেইমার। ওর উপস্থিতি বাকিদের নিঃসন্দেহে উদ্দীপ্ত করবে। চার বছর আগের তুলনায় নেইমার এখন অনেক পরিণত। কিন্তু ও তো নিজের জন্য বিশ্বকাপ জিততে রাশিয়া যাবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া বিশ্বসেরা হওয়া অসম্ভব। আমি তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছি। তবে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়। সেবার দুরন্ত টিম ছিল আমাদের। টোস্টাও, রিভেলিনো, গারসন, জেয়ারজিনহো, কার্লোস আলবার্তো, আমি-- কাকে ছেড়ে কার নাম বলব। মনে আছে টোস্টাও, রিভেলিনো, গারসন ও আমি ক্লাবের হয়ে দশ নম্বর জার্সিই পরতাম। তবে ব্রাজিলের হয়ে দশ নম্বর জার্সি আমার গায়েই উঠেছে। সেবার বিশ্বকাপের আগে আমরা ছ’মাস একসঙ্গে অনুশীলন করেছিলাম।’

আগামী রোববার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। কোচ তিতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছেন। ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।


আরো সংবাদ



premium cement