২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপ
বিতর্কে ভরা ছিল ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ আসরটি - সংগৃহীত

১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ আসরটি ছিল বিতর্কে ভরা। মাঠে বা মাঠের বাইরে নানান বিতর্কের মধ্যেই শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। ল্যাতিন আমেরিকার দেশটি ওই সময় ছিল সামরিক সরকারের অধীনে। রাষ্ট্রপতি জেনারেল জর্জ রাফায়েল ভিদেলার সরকার টুর্নামেন্টটিকে নিয়েছিল জাতীয় গৌরব অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে। এ সময় সামরিক জান্তা দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা যেন আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। রাষ্ট্রপতির কথা মতো আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩-১ গোলে হল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে।

টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল ওমর আকটিসকে মেরে ফেলা হয়। এরপর টুর্নামেন্টের সূচনা লগ্ন থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। নিষিদ্ধঘোষিত উদ্দীপক ব্যবহারের অভিযোগে স্কটল্যান্ডের উইলি জনস্টনকে পাঠিয়ে দেয়া হয় নিজ দেশে।

অষ্ট্রিয়াকে পেছনে ফেলে ব্রাজিল এগিয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। কিন্তু ফাইনালে যেতে দেয়া হয়নি তাদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল ৩-১ গোলে পোল্যান্ডকে হারালে, ফাইনালে জায়গা পেতে স্বাগতিক আর্জেন্টিনার প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ৪ গোলের ব্যবধানে পেরুকে হারানোর। ম্যাচে দেখা গেল ৬-০ গোলে পেরুকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ওই ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছিল, জান্তা সরকার পেরুর খেলোয়াড়দের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছে।

বিলম্বে ম্যাচ শুরু হওয়া থেকে শুরু করে ফাইনালে নানান বিতর্কের মধ্যে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

 

নকআউট পর্যন্ত নিশ্চিত ইংল্যান্ড

সহজেই বাছাইপর্বের বৈতরণী পার হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। কোচ গ্যারেথ সাউথ গেটের শিষ্যদের ‘তিন সিংহের গর্জন’ সম্বলিত দক্ষতা রাশিয়া বিশ্বকাপে আদৌ দেখাতে পারবে কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। টুর্নামেন্টে জি’ গ্রুপ ইংল্যান্ডের সাথে রয়েছে বেলজিয়াম, পানামা ও তিউনিশিয়া। এমন দল পেয়ে ইংলিশ সমর্থকরা অন্তত এইটুকু নিশ্চিত যে তাদের দলটি নকআউটপর্বে খেলবে। যদিও বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শুরুতেই গুটিয়ে যাওয়াটা ইংলিশদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব :
আরো একবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে ইংল্যান্ড ভারমুক্ত হয়েছে। ১০ ম্যাচের বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকে জি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে চুড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। সর্বমোট ২৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সাউথগেটের শিষ্যরা। দলের হয়ে সর্বাধিক ৫ গোল করেছেন হ্যারি কেন। টোটেনহ্যামের ওই স্ট্রাইকার অল্পের জন্য প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে যার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে ইংল্যান্ড দলের সাফল্য।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড :
১৯৬৬ সালে নিজ দেশে আয়োজিত প্রথমবার বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর আর সেটি স্পর্শ করে দেখার সুযোগ হয়নি ইংলিশদের। সর্বশেষ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ফুটবলের এই কুলিন দেশটিকে। আসরে রয় হজসনের শিষ্যরা মাত্র একটি পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে। গ্রুপ পর্বে কোস্টারিকার সঙ্গে গোল শূন্য ড্রয়ের সুবাদে ওই একটি মাত্র পয়েন্ট অর্জন করেছিল ইংলিশরা। টানা টানা তৃতীয়বারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড।

 

ক্ষমা চাইলেন লিভারপুলের গোলরক্ষক কারিয়াস

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোলরক্ষক লোরিস কারিয়াসের দুটি বড় ভুলে লিভারপুলের শিরোপা জেতার আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই ভুলের মাশুল ক্যারিয়ারের বাকিটা সময় হয়ত আর কোনভাবেই দিতে পারবেন না ২৪ বছর বয়সী এই জার্মান গোলরক্ষক। ম্যাচ শেষে পুরো ক্লাবের কাছে তাই ক্ষমা চেয়েছেন কারিয়াস।

বদলী খেলোয়াড় গ্যারেথ বেলের দুই গোলে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা জিতেছে গ্যালাকটিকোরা।

কিন্তু মাদ্রিদের এই জয়ে কারিয়াসের হেঁয়ালিপনা বিশাল প্রভাব ফেলেছে। কিয়েভে কারিয়াসের প্রথম ভুলে করিম বেনজেমা গোল করে মাদ্রিদকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। সাদিও মানের সমতার পরে বেলের দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে আবারো এগিয়ে যায় জিনেদিন জিদানের দল। তবে বেলের দ্বিতীয় গোলটি ধরতে গিয়ে কারিয়াস যে ভুল করেছেন তা ছিল ক্ষমার অযোগ্য। বেলের দুরপাল্লার শট কারিয়াসের হাত ফসকে জালে জড়ালে লিভারপুল সমর্থকরা হতবাক হয়ে যায়।

ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন কারিয়াস। ইউক্রেনে লিভারপুলের এই পরাজয়ের সব ব্যর্থতা তিনি নিজের বলে স্বীকার করেছেন। কারিয়াস বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। আজ আমি দলকে হারিয়েছি। সবার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার ভুলেই আজ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে। এজন্য আমি পুরো ক্লাবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। একজন গোলরক্ষকের জন্য এটাই জীবন। সব কিছুকে পিছনে ফেলে আবারো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমি সত্যিকার অর্থেই সবার জন্য দুঃখিত।


আরো সংবাদ



premium cement