২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ’লীগ নেতা এনু-রূপনের টাকার গোডাউনের সন্ধান

নগদ ২৬ কোটি টাকা এক কেজি স্বর্ণ ও বিপুল অঙ্কের এফডিআর উদ্ধার
নারিন্দায় এনু ও রূপনদের আরেক বাড়িতে র্যাবের উদ্ধার করা বিপুল টাকা : নয়া দিগন্ত -

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ছোট ভাই একই কমিটির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার ‘টাকার গোডাউনের’ সন্ধান পাওয়া গেছে। ওয়ারীর ওই গোডাউন থেকে নগদ ২৬ কোটি টাকাসহ বিপুল স্বর্ণ উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ছাড়াও কয়েক কোটি টাকার এফডিআর, বিভিন্ন দেশীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে পাঁচ কোটি টাকা ও ৭৩০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছিল র্যাব। ওই ঘটনায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে চারটি মানিলন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয়। যে মামলায় দুই ভাই গ্রেফতার হন এবং মামলাগুলো তদন্ত করছিল সিআইডি। এমনকি দুই ভাইকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সিআইডির তদন্তে আলোচিত দুই ভাইয়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর সিও লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, প্রথম দফায় অভিযানে দুই ভাই, তাদের বন্ধু ও অফিসের পিয়নের বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলা করা হয়। কিন্তু এরপরও বসে থাকেনি র্যাব। বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায় দুই ভাইয়ের টাকার গোডাউনের। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত থেকে পুরান ঢাকার ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ মমতাজ ভিলায় চারপাশে নজরদারি শুরু করে র্যাব। মঙ্গলবার সকাল থেকে র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের উপস্থিতিতে শুরু হয় অভিযান। বাসা থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর বাইরে এক কেজি সোনা, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৯ হাজার ৩০০ ইউএস ডলার, ১৭৪ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ১০৯৫ চাইনিজ রেনমিনবি, ৫৩৫০ ভারতীয় রুপি, ১৫৬০ থাই বাথ ও ১০০ দিরহাম আরব আমিরাতের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ওই বাড়িতে কোনো মানুষ বসবাস করতো না। বাড়িটি মূলত দুই ভাইয়ের টাকার গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেখানে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা চালু থাকত। ওই ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। টাকাগুলো অনেক আগে থেকেই ওই বাড়িতে রাখা ছিল।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, নতুন করে টাকা ও বিদেশী মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। কারণ এখানে দেশীয় মুদ্রা ছাড়াও বিদেশী মুদ্রা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর তাদের বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা এবং ৭৩০ ভরি সোনা উদ্ধার করে। ওই মামলায় এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়া এখন কারাগারে রয়েছেন। গত ১৩ জানুয়ারি ক্যাসিনো কারবারি এই দুই ভাইকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ফরিদপুরে সেদিন কী ঘটেছিল : বিবিসির প্রতিবেদন

সকল