২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হালদারদের নেয়া ১৫৯৬ কোটি টাকার হদিস নেই

আদালতকে ইব্রাহিম খালেদ
-

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন, প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ কয়েক ব্যক্তি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। এই টাকা কোথায় গেছে তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এই টাকা ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আমানতকারীরা টাকা পাবেন, তবে তাদের টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে গতকাল মঙ্গলবার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ লিখিতভাবে এই বক্তব্য তুলে ধরেন।
শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে উদ্দেশ করে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আমরা দেখলাম একজনই সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আপনাদের হিসাব কি শুভঙ্করের ফাঁকি?
শুনানি : ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আদালত নিয়োজিত চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আদালতে বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড খুবই ভালোমতো চলছিল। ২০১৬ সাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এর পেছনে ‘কি পারসন’ (মুখ্য ব্যক্তি) হিসেবে কাজ করেছেন প্রশান্ত কুমার হালদার। তার সাথে আরো অনেকেই রয়েছে। এরা একসাথে অনেক শেয়ার কিনে কোম্পানিটির আগের নেতৃত্বকে বের করে দিয়েছেন। বের করে দেয়া মানে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে অথবা ছাঁটাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পি কে হালদারসহ কিছু ব্যক্তি এই কোম্পানি থেকে এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে তা লেখা আছে। তলিয়ে দেখতে অনুমতি দেয়া হয়নি। সর্বশেষ কোন ব্যক্তি পর্যন্ত এই টাকা পৌঁছাল তা জানি না। এই টাকা ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই। টাকা কোথায় আছে সেটা আনট্রেসেবল (হদিস পাওয়া যাচ্ছে না)। দেশেও থাকতে পারে, দেশের বাইরেও যেতে পারে। তবে এই টাকা উদ্ধার করতে রিকভারি অ্যাজেন্ট নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ ধরনের অ্যাজেন্ট দিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে।
ইব্রাহিম খালেদ বলেন, পিপলস লিজিংকে অবসায়ন করা হয়েছে। এখন যদি একইভাবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডকেও অবসায়ন করা হয় তাহলে আর্থিক খাতে ধস নামতে পারে। আবার এ অবস্থায় এটাকে কতটা দাঁড় করানো যাবে সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমি সাহস পাচ্ছি না। আমি তো এই কোম্পানির কোনো শেয়ারহোল্ডার নই। হাইকোর্টের আদেশে আমাকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান করা হয়েছে। বাইরে থেকে এসে আমি এটাকে কতটা দাঁড় করাতে পারব! শর্ষের মাঝে ভূত থাকলে আমি কী করতে পারি! তখন প্রধান বিচারপতি কোম্পানিটির আমানতকারীদের অবস্থা জানতে চাইলে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, টাকা তো নাই। তারা চাইলেও টাকা ফেরত দেয়া যাচ্ছে না। পয়সা তো নেই। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ, কনিষ্ঠ একজনকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় আছে তিন মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত কাউকে দায়িত্বে রাখা যায় না। এটা বেআইনি না অনিয়ম। আমি প্রথম বৈঠকেই বলেছি দ্রুত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিতে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানজিব-উল আলম। আর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত আজ বুধবার আদেশের জন্য রাখেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো: শাহ আলম আদালতকে বলেন, এই (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড) কোম্পানিটির মূলধনে ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে। ব্যাংক ঋণ আছে ৯৫৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সর্বমোট ঋণ হচ্ছে ৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রধান বিচারপতি তা জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা দিয়েছি। কখনো কখনো বাস্তবায়ন করেছে কখনো কখনো করেনি। বিধিবহির্ভূতভাবে টাকা নিয়ে যাওয়ায় মূলধনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়্যাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে। এরই মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে। ৪৮টি ঋণ হিসাবের সাথে ১২টি প্রতিষ্ঠান ও কতিপয় ব্যক্তির বিপরীতে মোট ১৫৯৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ঋণ বিতরণে পরিচালক পর্ষদের ডিউ ডিলিজানসের ঘাটতি ছিল। এই ৪৮টি ঋণ হিসাবের লেনদেন ভাউচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সুবিধাভোগী কারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ কর্মকর্তা বলেন, নতুন নিযুক্ত স্বাধীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কোম্পানিটি পুনর্গঠন করা সম্ভব বলে মনে করছি।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দেখলাম একজনই সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আপনাদের হিসাব কি শুভঙ্করের ফাঁকি?
শাহ আলম বলেন, পি কে হালদারসহ অন্যরা এই কোম্পানি থেকেই সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে আমরা পাইনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, আদালত জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছি, শোকজ করেছি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এরপর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন তুলে ধরেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা শেয়ার নিয়ে কোম্পানিটি দখল করেছে তারা ডাকাতির জন্যই এসেছিল। বিআর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, নেচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, নিউটেক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও হাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একই সময়ে ২০১৫ সালের ১১ মার্চ একই পরিমাণ মূলধন ২০ লাখ টাকা নিয়ে ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার কেনে। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদে এই চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। পরের তিন বছরে আগ্রাসী ঋণ বিতরণের মাধ্যমে এক কোটি টাকার বেশি ১৩৩টি ঋণের নামে দুই হাজার ১০৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ঋণের অর্থ ৭৮১টি চেকের মাধ্যমে দু’টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৪১টি ব্যাংক ও কিছু ব্রোকারেজ হাউজে স্থানান্তর করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে ঋণের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যাতে প্রকৃত সুবিধোভোগীদের আড়াল করা যায়।
এই অনিয়মের জন্য কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী কমিটি, নিরীক্ষা কমিটি, ঋণ-ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা পরিপালন বিভাগ সম্মিলিতভাবে দায়ী।
২০১৮ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডকে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এ ছাড়া ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানিটি মূলধন পর্যাপ্ততা অর্জনে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কিছু লোক কিছু লেখাপড়া শিখে জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য। এরা হোয়াইট কালার ক্রিমিন্যাল। এদের কাজই হচ্ছে জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়া। পি কে হালদার কিভাবে চলে গেল সেটা আপনাদের (আদালতের) দেখা উচিত। কোম্পানি চলবে কি চলবে না, সে বিষয়ে আপনারা সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, আগে তো ব্যাংক ছিল না। মানুষ গোলায় ধান রাখত। এটাই ছিল গ্রামীণ অর্থনীতির বৈশিষ্ট। কিন্তু মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখে। এখন অনেকেই ব্যাংক করেন জনগণের টাকা লুটের জন্য। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পি কে হালদার কিভাবে পালাল সেটা আপনাদের দেখা উচিত। কোর্ট কি চোখ বন্ধ করে থাকবে? দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে। কোর্টের আদেশ যদি স্থগিত করা হয় তাহলে যারা কোম্পানিটি ডুবিয়েছে তারাই লাভবান হবে। হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছে এর চেয়ে ভালো আদেশ হতে পারে না।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদনকারী দুই কর্মকর্তার আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, এখানে (শুনানিতে) কোম্পানি অবসায়নের কথা এসেছে। কোম্পানি যদি ভেঙে যায় তাহলে কিছু থাকবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকও বলেছে কোম্পানি পুনর্গঠনের কথা। অবসায়ন হয়ে গেলে আর ব্যবসা থাকবে না। অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও চাচ্ছে যেকোনোভাবে কোম্পানিটি বাঁচাতে হবে।
মক্কেলদের বিষয়ে এ আইনজীবী বলেন, তারা ভালো মানুষ। বাংলাদেশ ব্যাংকও বলেছে কিছু ভালো পরিচালক আছেন। ভালো মানুষ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে টিকতে পারবে না। পি কে হালদারকে যে শাস্তি দেন, দিন। আমাদের আপত্তি নাই। পি কে হালদারসহ জড়িতদের আমিও শাস্তি চাই। কিন্তু এদের জন্য যদি আমাদের মরতে হয় তাহলে ব্যাংকিং খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার মক্কেলদের পাসপোর্ট জব্দ করে রাখা হয়েছে, তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের তো ব্যবসা আছে। তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, মাঝামাঝি কোনো পথ নেই, হয় কোম্পানি অবসায়ন করতে হবে, নয় কোম্পানি জীবিত রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে আসতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, দুর্নীতির ব্যাপ্তি, অবসায়ন সম্ভব কি না, সর্বোপরি সামগ্রিক বিষয়ে লিখিত বক্তব্য নিয়ে গতকাল সকাল ৯টায় তাদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সকালে তারা সর্বোচ্চ আদালতে এসে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দে গত ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশও দেন আদালত। ওই কোম্পানি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হলে আপিল বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এবং খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ডেকে এ আদেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী

সকল