২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০ বছরে শিক্ষা পুষ্টি ও আয়ু বাড়লেও শিশুদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত বৈশ্বিক শিশু প্রতিবেদন

-

গত ২০ বছরে আয়ু, পুষ্টি ও শিার েেত্র ব্যাপক অগ্রগতি হলেও ‘আজ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত’ হয়ে পড়েছে। সে কারণে ‘অস্তিত্ব সঙ্কটে’ পড়েছে শিশুরা। পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও শোষণমূলক বিপণনব্যবস্থার হাত থেকে শিশুদের ভবিষ্যতের সুরা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব নেতৃত্ব।
গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ ও মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য লেনসেট’র যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় বিশ্বের ৪০ জনেরও বেশি কিশোর-স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে শিশুদের বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক একটি স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশের বাস্তুসংস্থানের য়, অভিবাসী জনসংখ্যা, সঙ্ঘাত, ব্যাপক বৈষম্য এবং ভোগবাদী অর্থনৈতিক পদ্ধতি প্রত্যেক দেশের শিশু স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ হুমকিতে ফেলেছে। কয়েকটি উন্নত দেশের শিশু অপোকৃত সুন্দর জীবন যাপনের সুযোগ পেলেও সেই দেশগুলোই আবার নির্বিচারে কার্বন নিঃসরণ করে বিশ্বের অন্যসব দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এতে তাদের ওপর অতিরিক্ত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাপদাহ থেকে শুরু করে মোসুমি বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটছে।
প্রতিবেদনে উচ্চমাত্রার চর্বি, চিনি সমৃদ্ধ খাবার, অ্যালকোহল ও তামাকজাত পণ্যের বাজারজাতকরণে শিশুদের তির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড হেলথ ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড হেলথের প্রফেসর অ্যান্থনি কস্টেলো বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় খবরটি হলো বিশ্বের একটি দেশও বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের স্বাস্থ্য-সুরা নিশ্চিত করছে না।’ তিনি বলেন, ‘যখন আপনি দেখবেন বায়ুদূষণের কারণে শিশুদের ফুসফুসের মারাত্মক তি হয়ে গেছে তখন এর সমাধানে হাতে খুব কম সময়ই আছে। আমাদের কাছে সমাধান আছে কিন্তু এমন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই যারা এই সঙ্কটের সমাধান করতে আগ্রহী।’
দ্য ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ১৮০টি দেশের শিশুদের বেঁচে থাকা, শিা ও পুষ্টির বিষয় আমলে নিয়ে র্যাং কিং করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, ‘বিশ্ব এখনকার শিশু ও তরুণদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, তাদের স্বাস্থ্যের যতœ নিতে ও তাদের অধিকার রায় ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এই গ্রহকে রা করতেও ব্যর্থ হচ্ছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পাঁচ বছর বয়সের নিচের প্রায় ২৫ কোটি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা বসবাস করছে অপুষ্টি ও দারিদ্র্যে। একই সাথে বিশ্বে মোটা হয়ে যাওয়া শিশুর সংখ্যা ১৯৭৫ সাল থেকে ১১ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এদের সংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। কিছু কিছু দেশের শিশু এক বছরে টেলিভিশনে ৩০ হাজারের মতো বিজ্ঞাপন দেখে। যেমন শুধু অস্ট্রেলিয়ায় এক বছরে শিশুরা অ্যালকোহলের বিজ্ঞাপন দেখে পাঁচ কোটি ১০ লাখ বার। কস্টেলো বলেন, এসব শিল্পকে নিয়মতান্ত্রিকতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।’


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল