২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুসলিম দেশগুলোকে হানাহানি বন্ধের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

রাজধানীতে ওআইসির সংস্কার নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনসহ অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -

মুসলিম উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে হানাহানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ইসলামের মর্যাদা, বিশ্বাস ও সম্মানকে সমুন্নত রাখতে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ওপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ওআইসির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ওআইসির সংস্কারের ওপর আয়োজিত ব্রেইনস্ট্রমিং সেশনের উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ, তুরস্ক ও সৌদি আরব যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতিত্ব করছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ওআইসির আইনগত, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর সুপারিশগুলো আগামী এপ্রিলে নাইজারে অনুষ্ঠেয় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনার জন্য উত্থাপন করা হবে।
শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মুসলিম উম্মাহর মধ্যকার বিরোধ দূর করতে হবে।’ মুসলিম জনগণের জন্য ন্যায়সঙ্গত পরিচয়ের প্রশ্নগুলো ওআইসির প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইসিজেতে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ায় গাম্বিয়া এবং ওআইসিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, নতুন অংশীদারিত্বের মডেলগুলোতে পার্থক্য আনতে উদীয়মান বেসরকারি খাতের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও এই প্রক্রিয়ায় জড়িত করার উপায় চিহ্নিত করতে হবে। ওআইসির ল্য এবং এর সম্মিলিত এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন পেশাদার সমিতি ছাড়াও এসটিআইর মতো সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করতে আমাদের যুবসমাজ এবং নারী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, সমন্বয় সাধনের জন্য ওআইসির রাজনৈতিক এবং অর্থনেতিক সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ।
সংস্কারের ত্রে ও সম্ভাব্য সমাধানগুলো শনাক্ত করার জন্য ওআইসির সব সদস্য দেশ, জেনারেল সেক্রেটারিয়েট এবং ওআইসির অঙ্গসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের মতামত দেয়ার আহ্বান জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ওআইসিতে যোগদানের পর এবং বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবসময়ই আশা করে যে ওআইসি একটি স্বনির্ভর সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠবে। ওআইসির আইনি, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সংস্কার পুনর্বিবেচনার জন্য এই অধিবেশন থেকে আরও নীতিগত সুপারিশ গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement