২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাতারবাড়িতে জাপানিরা করছে গভীর সমুদ্রবন্দর

-

মাতারবাড়ি প্রকল্পে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মাটি আনতে গিয়ে ১৪ মিটারের বেশি খনন করতে হচ্ছে। এই গভীরতায় বড় বড় জাহাজ আসতে পারবে এবং একটি গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিপ সি পোর্ট) করা সম্ভব। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে মাতারবাড়ি প্রকল্পে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। এটি করছে জাপানিরা। এই সি পোর্টটা মাতারবাড়ি প্রকল্পের পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল।
গতকাল রোববার চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, জাপানিরা বলেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মাটি আনতে গিয়ে এই এলাকায় এমনিতেই একটি গভীর সমুদ্র বন্দর করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের একটি গভীর সমুদ্র বন্দর দরকার। কারণ চট্টগ্রামে বড় জাহাজ আসতে পারে না। বাংলাদেশের জন্য মালামাল আনার উদ্দেশ্যে বড় জাহাজগুলো প্রথমে সিঙ্গাপুর এসে থামে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে চট্টগ্রামে আসে। এভাবে মালামাল আনা-নেয়া করতে হলে আমাদের অতিরিক্ত ২৫ ডলার খরচ হয় টন প্রতি মালামালে। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে সব ধরনের জাহাজ এখানে আসতে পারবে। ফলে আমাদের আনা-নেয়ার খরচও কমে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, মাতারবাড়ি প্রকল্পে মোট ২৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। এখানে আরও তৈরি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন। এই ইকোনমিক জোনে ইতোমধ্যে গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি, বিদেশী ওষুধ কোম্পানিসহ নানা ধরনের শিল্প গড়ার অনুমতি নিয়েছে বিদেশীরা। চীনা ব্যবসায়ীরাও সেখানে বড় বড় কারখানা তৈরি করছে। এ দেশের মার্কেট ভালো বলেই তারা এখানে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পে গ্যাস পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা সস্তায় সিএনজি অথবা এলএনজি আনতে পারব দেশের অভ্যন্তরে।
মাতারবাড়ি প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি করতে ৩৩ ফুট উঁচু বাঁধ দেয়া হয়েছে। এতো উঁচু বাঁধ দেয়ার কারণে সমুদ্রের পানি উঠবে না। আবার অনেক জমি পাওয়া গেছে।
একই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর আগে স্থানীয়দের পাঠানো উচিত। আমরা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। অনেক সুন্দর স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে ভাসানচরেও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৩৪ ফুট উঁচু করে বাঁধ দেয়া হয়েছে। সমুদ্রের পানি কখনও প্রবেশ করতে পারবে না। আমি মনে করি রোহিঙ্গাদের আগে এখানে গৃহহীন স্থানীয়দেরই পাঠানো উচিৎ। যদিও তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। এটা সরকারের অভিমত নয়। তিনি বলেন, ভাসানচর প্রকল্পের ভেতরে সুন্দর করে লেক করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভাসানচরের চার পাশে সাগরের মাটি দেখা যায়। এখানে প্রতি বছরই প্রচুর পলি আসছে। সামনের দিনগুলোতে যেখানে মাটি দেখা যায় সে জায়গাটাও উঁচু হয়ে মূল ভূখণ্ডের সাথে মিশে যেতে পারে। এটি বাংলাদেশের জন্য গুড নিউজ (ভালো খবর)। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের রাখাইনে ফিরে যেতে হবেই।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল