২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইশরাকের গণসংযোগে হামলা সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১৫

-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গণসংযোগে হামলার ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।
গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে ইশরাক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীদের সাথে গোপীবাগের বাসায় ফিরছিলেন। তারা সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে পৌঁছালে একদল লোক আতর্কিত হামলা শুরু করে। তাদের প্রতিহত করতে ইশরাকের সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এরমধ্যেই কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পেয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ও সময় টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক আশরাফুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। তৌহিদ ইসলামী ব্যাংক হসপিটালের কাকরাইল শাখায় ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর।
এই ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আহত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দিকে আহত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন (৫৬), ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল (৩০) ওয়ারী থানা ছাত্রলীগ যুগ্ম সম্পাদক রেজুয়ান ইসলাম রাতুল (২৬), যুবলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত রকি (৩৫) মশিউর (৩০) ও মো: রমজান (৩৫)। তাদের সবাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
জানা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপীবাগ সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের আশপাশে নির্বাচনীয় প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বেলা ১টার দিকে তিনি প্রচারণা করতে করতে তার বাসার দিকে ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তার দু’পাশ থেকে জনগণ ইশরাকের সাথে কুশলবিনিময় করে। ইশরাকও তাদের খোঁজখবর নেন। এমন সময় হঠাৎ একদল লোক ইশরাকের নির্বাচনীয় প্রচারণা বহরের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। তারা লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের হামলা প্রতিহত করতে ইশরাকের নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা চালায়। হামলা চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের পর বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন তার গোপীবাগের বাসায় নিয়ে যান নেতাকর্মীরা। পুলিশ বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইপক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement