১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কামরাঙ্গীরচরে স্বতন্ত্র ও আ’লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এলাকা ছাড়া দীর্ঘদিন। তার নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। এমনকি এই ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী পোস্টারও দেখা যায় না। অন্য দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ফজলে নূর তাপস ও কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের পোস্টারে এলাকা ঠাসা। এরপর হামলা-মামলা তো নিত্যদিনের ঘটনা।
গতকাল ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও স্বতন্ত্র দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ও শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইদুর রহমান রতনের সমর্থকদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল রোববার সকালে কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাঈদুর রহমান রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার লোকজনের সবাই আওয়ামী লীগের। তাদের ওপর নির্বিচারে হামলা করেছে বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের লোকজন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সবাই চিকিৎসা নিয়েছেন। আমি প্রতিটি ঘটনা থানার ওসিকে অবগত করেছি। তার পরামর্শ মোতাবেক গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় গণসংযোগ ও মিছিলের এলাকা পরিবর্তন করেছিলাম। কিন্তু তারপরও হামলা হয়েছে। আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাঈম বলেন, আমি হামলা, মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া। নির্বাচনী প্রচারণা চালাবো কিভাবে এলাকায়ই তো যেতে পারি না। স্বতন্ত্রপ্রার্থী হাজী আমিনুল ইসলাম, বিল্লাল সরদার ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদা ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলার শিকার হচ্ছেন তারা। তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দল মনোনীত প্রার্থী। রতন আমার কাছে বিএনপির প্রার্থীর মতোই একজন প্রার্থী। আমার বিরুদ্ধে সে একের পর এক পরিকল্পিত অভিযোগ করে যাচ্ছে। হামলার কোনো কিছুই আমি জানি না।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, হামলার ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। সবকিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। 

 


আরো সংবাদ



premium cement