২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচন বানচাল করতেই সরকারি দল হামলা করেছে : ইশরাক

-

ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন বানচাল করতেই সরকারি দল হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। গতকাল রোববার গোপীবাগে হামলা-সংঘর্ষের পর নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের ধানের শীষের জনপ্রিয়তা দেখে নির্বাচন বানচালের জন্য এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এই সরকারের যারা প্রার্থী রয়েছেন তারা। এটা শুধু নির্বাচনকে বানচাল করা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা মাত্র। আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা শান্ত থাকবেন, ঠাণ্ডা থাকেন। কোনো রকমের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।
ইশরাক বলেন, আমি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোট দিবেন।
গোপীবাগের হামলার ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, মতিঝিলে প্রচারণা শেষ করে আমি কর্মীদের নিয়ে বাসায় আসছিলাম। তখন সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের কাছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলরের ক্যাম্প থেকে আমাদের ওপর বড় বড় ইটপাটকেল মারা হয় এবং চেয়ার ছুড়ে মারা হয়, অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বিনা উসকানিতে। এই হামলার সময়ে গুলির আওয়াজ হচ্ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে যখন বাসায় ফিরছি তখন এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটল। এই হামলায় আমাদের ৮-১০ জনের মাথা ফেটে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আমার ওপরও হামলার আশঙ্কা ছিল, আমার নেতাকর্মীরা সুরক্ষা দিয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন অভিযোগ করেছেন যে, আপনাদের মিছিল থেকেই গুলি করা হয়েছেÑ এরকম প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, আমরা তো প্রচারণা চালিয়ে মিছিল করছি, ওখানে গুলি কোত্থেকে হবে। আমাদের ওপর ওরা গুলি করেছে। তারা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে হামলার বিভিন্ন অভিযোগ আমার অফিস থেকে এবং আমাদের কাউন্সিলররা দিয়েছেন। কিন্তু এসব অভিযোগ দায়সারাভাবে তারা দেখে, নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপই নেয়নি, থানাও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আপনারা দেখছেন কী শাসন চলছে। প্র্রচারণার কর্মসূচি নির্বাচন কমিশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আগের দিনই পাঠানো হয় বলে জানান ইশরাক। এই হামলার ঘটনা সম্পর্কে ইশরাক বলেন, আমরা মামলা করব। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এত কর্মী আহত হয়েছেন, সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন অবশ্যই আমরা মামলা করব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মির্জা আব্বাস, সদস্যসচিব আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, এহছানুল হক মিলন, নাজমুন নাহার বেবী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু রাজীব আহসানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইশরাকের সাথে রবার্ট ডিকসনের সাক্ষাৎ : হামলার ঘটনার দুই ঘণ্টা পরই ইশরাক হোসনের সাথে সাক্ষাৎ করতে গোপীবাগের বাসায় আসেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। বেলা ৩টার আগেই ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে আরকে মিশন লেনের মোড়ে এসে পৌঁছান ডিকসন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রূল কবির খান। পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের সাথে বৈঠক করেন। এ সময়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আমি অন্য মেয়রপ্রার্থীদের সাথেও দেখা করেছি। আজকে তারই অংশ হিসেবে আমি এখানে এসেছি। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই, যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement