১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে মুনাজাত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতারা : বাসস -

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আমরা চেষ্টা করছি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
গতকাল বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের এক যৌথসভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও উদ্যোগ নিয়েছে। মুজিববর্ষ ঘিরে মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে হত্যাকারীরা তার নাম মুছে দিয়েছিল। আজকে সেই নামটি আবার উচ্চারিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম আর কখনো কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ জাতির পিতা সারাটি জীবন সংগ্রাম করেছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছেন। এ দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ, দুই লাখ মা-বোন আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে দেশের দারিদ্র্যহার ২০ দশমিক ৫ ভাগ নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি, আজকে যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি অর্থনৈতিকভাবে এবং সেই সব অর্জনের সুফল একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামের মানুষ যেন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। এ বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার কারণে দলের কয়েকজন নেতা জাতির পিতার সমাধিতে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেননি তার কারণও জানান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে যারা কাজ করছেন, তাদের যাওয়ার দরকার নেই। যারা বাকি থাকবেন তাদের নিয়ে আবার আসব। পরবর্তীতে নোটিশ নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা করা হবে বলেও জানান তিনি। আজকে যেহেতু বেশি সময় নেই, আমাকে হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে রওনা দিতে হবে। এর আগে গতকাল সকালে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টার থেকে বাসযোগে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়। আর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা কয়েকজন সফরসঙ্গী নিয়ে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। বেলা ১টার দিকে সেখানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে দলীয় নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা কুরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধা জানানোর সফরে বাসযোগে যাতায়াতের নিয়মটি সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement