১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বপ্নগুলো নিঃশেষ কারখানার আগুনে

কেরানীগঞ্জে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩
-

মেহেদী হাসান শান্ত (২০)। অভাব অনটনের সংসারেই বেড়ে ওঠা তার। দারিদ্র্যের কারণে স্কুলেই শান্তর লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু হাল ছাড়েনি। নিজে কায়িক পরিশ্রম করে প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছিল শান্ত। আর এ কারণে কেরানীগঞ্জের প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজে শ্রমিকের কাজ করত ছেলেটি। এ বছর ইন্টার পাস করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছিল সে। কিন্তু বিধিবাম আর ভর্তি হওয়া হলো না শান্তর। কারখানার আগুন বাঁচতে দিলো না মেহেদী হাসান শান্তকে। ঘটনার সময় প্রাণ বাঁচাতে দুই ভাই এক সাথে দৌড় দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি শান্তর। গতকাল শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) মারা যায় শান্ত। শুধু মেহেদী হাসান শান্তই নয়, কেরানীগঞ্জে কারখানার আগুনে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে ১৪টি স্বপ্ন। হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, আরও ১৮ জন। তাদের বেশির ভাগের অবস্থাই ভালো নয়। কারখানার আগুন পাল্টে দিয়েছে, খেটে খাওয়া এসব মানুষের জীবন। কর্মস্থলের বদলে অনেকের ঠিকানা হয়েছে লাশ ঘরে। অন্যরা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। সময় যত গড়াচ্ছে ততই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে, নতুন নতুন নাম। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিবেশ ভারী হয়ে গেছে, আহাজারিতে। স্বজন হারাদের সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা, জানা নেই কারো।
এ দিকে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের সর্বনি¤œ ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
গতকাল অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি কিছু সংস্থা ও মালিকদের উদাসীনতার কারণেই বারবার ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। সব প্রতিষ্ঠানে, অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি মালিকদের নজরে আনার কথাও বলেন তিনি।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারখানার ভয়াবহ আগুনে এ পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন : বাবলু (২৫), রায়হান (১৬), ইমরান (১৮), সালাউদ্দিন (৩২), আ: খালেদ (৩৫), সুজন (১৯), জিনারুল (৩২), আলম (৩৫), মেহেদী হাসান শান্ত (২০), ফয়সাল আহমেদ (২৯), জাহাঙ্গীর (৫৫) ও ওমর ফারুক। এ ছাড়া গত বুধবার ঘটনাস্থলেই নিহত হন একজন। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান।
ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বেশিরন ভাগেরই ৯০ শতাংশ বার্ন রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য ১২ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা: বিধান সরকারকে বোর্ডের প্রধান করা হয়।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে শুভাট্টা উত্তরপাড়া ইউনিয়নে পরিবারসহ যৌথ পরিবারে থাকতেন আকাশ (২৪) ও মেহেদী হাসান শান্ত (২০)। বাসার কাছে হওয়ায় একই কারখানায় কাজ করতেন দুই ভাই। তাদের রোজগারেই পুরো সংসারটি চলত। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল শান্তর। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই কাজ করে নিজেই নিজের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০১৭ সালে চরাইল নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কমার্স গ্রুপে এ গ্রেড পেয়ে এসএসসি পাস করেন তিনি। একই গ্রুপ থেকে এ মাইনাস গ্রেড পেয়ে জিনজিরা পিএম পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন এ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কমার্স গ্রুপ থেকে পাস করে এবার সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল তার; কিন্তু সে স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই রয়ে গেল।
স্বজনরা জানান, বড় ভাই আকাশ ও ছোট ভাই শান্ত একসাথেই কারখানায় যেতেন। ঘটনার দিনও দুই ভাই একসাথে বের হয়েছিলেন। কাজ শুরুর পর আসরের নামাজের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানায় আগুন ধরে যায়। এর পর পরই আরো একটি বিকট শব্দ। মুহূর্তেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তখনই দুই ভাই কারখানা থেকে বের হতে দৌড় শুরু করেন। বড় ভাই আকাশ বের হলেও পেছনে থাকা শান্ত কারখানা থেকে বের হওয়ার সময়ই একটি আগুনের গোলা তার ওপরে পড়ে। আগুন নিয়েই বেরিয়ে এলেও শেষ রক্ষা আর হয়নি তার।
নিজের চোখের সামনে ভাইয়ের এমন মর্মান্তিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন আকাশ। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর বের হওয়ার সময় তিনি সামনে ও শান্ত পেছনের দিকে ছিল। হঠাৎ করে আগুনের একটি গোলা পেছন থেকে এসে শান্তর গায়ে আছড়ে পড়লে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। তাৎক্ষণিক নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ছোট ভাইকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কোনো রকম আগুন নিভিয়ে নিজের কাঁধে করেই দগ্ধ ভাইকে নিয়ে ছুটে যান ঢাকা মেডিক্যালে।
দুর্ঘটনাস্থলের ৫০ ফুট দূরে অন্য একটি ভবনে একই মালিকের নতুন একটি অফিস কক্ষে টাইলস লাগানোর কাজ করছিলেন অহিদুল। আকাশ সম্পর্কে তার দুলাভাই। প্রত্যক্ষদর্শী অহিদুল সে সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, কারখানাটিতে ওয়ান টাইম ব্যবহারের প্লেট-গ্লাস তৈরির মূল উপাদান তথা টুকরো প্লাস্টিক গলানো হতো। কাজ চলা অবস্থয় হঠাৎ করে কারখানাটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। তখনই কারখানার শ্রমিকরা দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এর ১০ মিনিট পরে আরো একটি বিস্ফোরণ ঘটে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় পুরো টিনশেড ভবনটি পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছিল।
কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক কারখানাটির আয়তন প্রায় দুই বিঘা। কারখানায় দিন-রাতে দু’টি শিফটে প্রায় সাড়ে তিন শ’ শ্রমিক কাজ করতেন; কিন্তু এত বড় কারখানায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য একটি মাত্র পথ রয়েছে। মূলত এই কারণেই অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি করেন তারা। এ ছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে এবং একটি প্রবেশপথ থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পৌঁছতেও বেশি সময় লাগে, যার ফলে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
কারখানাটির সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার মো: শাকিল ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করেই একটি সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওই সিলিন্ডারের আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। অগ্নিকাণ্ডের জায়গায় অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল। একটি সিলিন্ডার থেকে বাকি সিলিন্ডারগুলোতে আগুন যেন না লাগে এই জন্য আমরা বাকি সিলিন্ডারগুলো বের করার চেষ্টা করছিলাম। ১০ থেকে ১৫টি সিলিন্ডার বের করার পর বাকি সিলিন্ডারগুলো বের করা সম্ভব হয়নি। একটার পর একটা সিলিন্ডারে আগুন ধরতে শুরু করে।
তিনি জানান, কারখানাটি তিনটি সাইডে ভাগ করা। যে পাশে আগুন লাগে সেই পাশে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে প্রথমে তারা নারী শ্রমিকদের বের করে দেন। এরপরে আগুন বাড়তে থাকলে যে যার মতো বাঁচার চেষ্টা করেন।
শ্রম মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি গঠন : প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী গঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যেসব শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং যে শ্রমিক আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তাদের চিকিৎসা সহায়তা হিসাবে ৫০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণাও দেয়া হয়।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেনÑ যুগ্ম সচিব (শ্রম) এ টি এম সাইফুল ইসলাম, শ্রম অধিদফতরের পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকার উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল এবং একই অধিদফতরের উপমহাপরিচালক (সেফটি) মো: কামরুল হাসান। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে যান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি কেরানীগঞ্জে চুনকুটিয়ার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ কারখানাটি কমপ্লাইন্স নয়; এর আগে মালিককে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং শ্রম আইনে মামলাও করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান সরকার এ ধরনের দুর্ঘটনার পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তার সাথে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় এবং এ অধিদফতরের ঢাকার উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন্স বিভাগের উপপরিচালক দিলিপ কুমার ঘোষকে প্রধান এবং উপপরিচালক (অ্যাম্বুলেন্স) আবুল হোসেনকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদসস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : সহকারী পরিচালক (ট্রেনিং) আব্দুল মোমিন, উপসহকারী পরিচালক মোস্তফা মহসিন ও কেরানীগঞ্জের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
প্রশাসন ও আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার : গণঅধিকার পরিষদ দুই কুলই হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম একদিন পর জবিতে উদযাপন হবে নববর্ষ, বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা ইসরাইলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা ‘সাময়িক’ বন্ধ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে! স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাবেক স্বামীর মামলা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী রেকর্ড ৪০.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা জামালপুরে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষের অনুষ্ঠান, যা বলল ডিএমপি আড়াইহাজারে ব্যাটারি কারখানায় আগুন

সকল