রেলদুর্ঘটনার কারণ জানাতে লুকোচুরি
তদন্ত প্রতিবেদন জমা- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ডিজি সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন।
গত ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে শিশুসহ ১৬ জন যাত্রী নিহত হন। এ সময় আরো শতাধিক যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাদের অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও ভূমি) মো: রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেনÑ প্রধান সঙ্কেত ও টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তা মু. আবুল কালাম, যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) রাশিদা সুলতানা গনি, ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মীর আলমগীর হোসেন। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এই কমিটি ছাড়াও পৃথক আরো চারটি কমিটি ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রতিটি তদন্ত কমিটির সময় গতকাল রোববার শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল দুর্ঘটনাটি কেন, কী কারণে ঘটেছে, এতে কার কার অবহেলা ছিল সেই প্রশ্নের উত্তর অজানাই রয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলদুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই ১৪ নভেম্বর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যায়। সেই ঘটনায়ও একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কারণ এখনো অজানা। তবে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের নির্দেশনায় দু’টি রেলদুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি কাজ সম্পন্ন হলেও এ বিষয়ে মন্ত্রী মিডিয়াতে বক্তব্য দেবেন।
গত রাতে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: সামছুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। তবে অপর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে রেলদুর্ঘটনার খলনায়ক লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টার একাধিক তদন্ত কমিটির কাছেই দেয়া জবাবনবন্দীতে দাবি করেছেন, মূলত ঘনকুয়াশার কারণে তারা সিগন্যাল বাতি দেখতে পাননি। তবে এর পক্ষে আর কী কী বক্তব্য তারা দিয়েছেন সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা এখনো মুখ খুলতে চাচ্ছেন না বলে সূত্রটি জানিয়েছে। গতকাল রাতে এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা