ভাসানচরে প্রাথমিকভাবে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হবে
- হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া (কক্সবাজার)
- ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সেখানে ১ হাজার ৭০০ একর জায়গাজুড়ে আবাসনসুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে। কাদের সেখানে পাঠানো হবে, তার মানদণ্ডও নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাসানচরে মোট জমির পরিমাণ ১৭ হাজার একর। এ বিবেচনায় আরো কমপক্ষে দুই লাখ রোহিঙ্গার সেখানে থাকার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ। এর মধ্যে নিবন্ধিত ১১ লাখ। সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে দুই-একজন করে রোহিঙ্গা আসছে। গত এক বছরে এভাবে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এ ছাড়া প্রতিনিয়তই জন্মগ্রহণ করছে নতুন শিশু। গত এক বছরে প্রবেশ এবং নবজাতক রোহিঙ্গার সংখ্যা সব মিলিয়ে বেড়েছে ৫৫ হাজার।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, কারা ভাসানচরের এই আবাসনে আশ্রয় পাবে? এ জন্য কয়েকটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে সরকার। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ নবাগত রোহিঙ্গা, নতুন জন্মগ্রহণ করা শিশু ও তাদের পরিবার এবং প্রত্যাবাসনে (মিয়ানমারে ফিরে যেতে) রাজি নন তারা। প্রাথমিকভাবে এই তিন শ্রেণীর রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। তবে সেখানে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে ও এলাকাটিকে বন্যাপ্রবণ আখ্যায়িত করে রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। তাই পরিস্থিতি দেখানোর জন্য রোহিঙ্গা মাঝিদের (নেতা) ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বালুখালী ময়নাঘোনার ১১ নং ক্যাম্পের মাঝি জিয়াবুর রহমান বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মাঝিদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আমরা দেখে এসে থাকার উপযোগী মনে করলে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাবে রোহিঙ্গারা। আরেক রোহিঙ্গা নেতা মোরশেদ আলম বলেন, অন্যান্য ক্যাম্প থেকে বহু দূরে বন্যাপ্রবণ ও বসবাসের অনুপযোগী একটি দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হলে সেটা হবে বড় ভুল। কাজেই বাস্তব অবস্থা দেখতে আমাদের সেখানে যেতে হবে।
উখিয়া-টেকনাফে স্থানীয় অধিবাসীর সংখ্যা যেখানে ৫ লাখ ৭ হাজার, সেখানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এ এলাকায় আশ্রয় নেয়ায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি এবং পর্যটন এলাকাটির পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। এসব প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কাছে মেঘনার মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা