২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সিরিজে সমতা আনল ভারত

-

উত্তেজনার পারদ ক্রমে বাড়ছিল ম্যাচ ঘিরে। বাংলাদেশ জিতলেই সিরিজের উত্তেজনা শেষ। কী হবে? কিন্তু ভারত যেন নিজেদের খুঁজে পেয়েছে এ ম্যাচে। তবে সেটা অনেকাংশেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই। রাজকোটের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। এটা শোনা যাচ্ছিল সেই দিল্লি ম্যাচের পরপরই। কিন্তু প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে সে সুবিধাটা নিতে পারেনি। টসটাও ছিল ফ্যাক্টর। তাতেও হেরেছে মাহমুদুল্লাহ। তবু ব্যাটিংয়ে যদি ১৮০-১৯০ করতে পারত, তাহলে ম্যাচে হারলেও তৃপ্তি পাওয়া যেত। বাংলাদেশ এ ম্যাচে হেরেছে অনেকটাই সাদামাটা এক ম্যাচ খেলে। এতে করে সিরিজে সমতা আনল ভারত। ২৫ বল বাকি রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তারা। ব্যাটিংটা যে সহজেই করা যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন রুহিত শর্মা। সেঞ্চুরিই হয়ে যেত। কিন্তু অ্যাটাকিং মুডে থেকে সুযোগ হাতছাড়া। ৪৩ বলে খেলেন তিনি ৮৫ রানের এক ইনিংস। অনেকটাই আইপিএলের মুডে। ৬ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারি দিয়ে উপস্থিত গ্যালারিভর্তি দর্শকদের আনন্দও দিয়েছেন। মূলত দিল্লির ম্যাচে সূচনায় তার ওই আউট হওয়াই হারের অন্যতম কারণ। কাল সেটা খেয়াল করেই খেলেছেন। শেখর ধাওয়ানকে নিয়ে সূচনা করলে উইকেটে যে বল মারা যায় সেটা দেখিয়ে দেন ধাওয়ানই। এরপর শুধু সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। খেলেছেন রুহিত। ২৩ বলে ৫০ করে এরপর আউট হন ওই স্কোরে গিয়ে। এটা ছিল তার শততম টি-২০ ম্যাচ, যা রাঙ্গিয়েছেন জয় দিয়ে।
এ ছাড়া শেখর ধাওয়ানের ৩১ ও শ্রেয়াসের ১৩ বলে করা ২৪ রান ইনিংসের উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বোলাররা প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। সূচনার ওভার মুস্তাফিজ করেন। খুবই ব্যয়বহুল ছিলেন তিনি এ ম্যাচে। ৩.৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়েছেন। শফিউল ২ ওভারে দিয়েছেন ২৩। আমিনুল ২ উইকেট নেন এ ম্যাচেও। ২৯ রানে নেন উইকেট দু’টি। অন্যদের মধ্যে মোসাদ্দেক তার এক ওভারেই দিয়েছেন ২১ রান। আফিফও এক ওভারে দেন ১৩ রান। আসলে ব্যাটসম্যানরা যখন ভাবনাহীন জয়ের ব্যাপারে, তখন প্রেসার পরে বোলারদের ওপর। সেটাই হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ইনিংসে সূচনায় লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম মিলে টেনশন ধরিয়ে দেয় ভারতের। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান করে ৬ ওভারে। এর আগে ৫ ওভারে করেছিল ৪১। নাইম এ ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলেন। লিটনও। তবে তুলনামূলক লিটন ক্রিজে অতটা সাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। লাইফ পেলেও ২১ বলে ২৯ করে আউট। এরপর সৌম্য সরকার ও নাইম খেলছিলেন। ওপেনিং জুটিতে করা ৬০ থেকে এরা নিয়ে যান দলীয় স্কোর ৮৩ এ। এবার আউট হন নাইম। অবশ্য বিগ শট নিতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন, ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে। ৩১ বলে ৩৬ করেছিলেন তিনি। মূলত বাংলাদেশের রান স্লো হয় যায় এ সময়। কারণ নাইমের পর আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম, সৌম্য সরকার ও আফিফ। এর মধ্যে সৌম্য ভালো খেলেন। ২০ বলে করেছিলেন তিনি ৩০। কিন্তু ক্রিজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে কেউই ম্যাচটাকে সেভাবে টেনে নিতে পারছিলেন না। ১২.৩ ওভারে ১০১ রান করেছিলেন তারা। ১৫ ওভারে সে রান গিয়ে দাঁড়ায় ১১২। তবে মুশফিক রান না পেলেও আফিফের কাছে ছিল ভালো কিছুর প্রত্যাশা। পারেননি।
এ সময় মাহমুদুল্লাহ দলের হাল ধরে টেনে নিয়ে যাতে থাকেন মোসাদ্দেককে নিয়ে। তবে টার্গেট করা স্কোরে যেতে যেন হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। ভারতীয় বোলাররাও বেশ ভালোই ফিরে আসেন। নিখুঁত নিশানায় করছিলেন তারা বল। মাহমুদুল্লাহ পেস বোলার চাহারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। ব্যাটে বলে সেভাবে না হলে ক্যাচ হয়ে যায়। আউট হন তিনি ২১ বলে ৩০ করে। ফলে ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৫৩ রানে। সাত উইকেটে ওই রান করেছিলেন তারা। রুহিত শর্মা ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। পরের ম্যাচ নাগপুরে, ১০ নভেম্বর।


আরো সংবাদ



premium cement