১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে পারেনি

ভোলায় এখনো আতঙ্ক

-

মহান আল্লাহ ও রাসূল সা:কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এ সময় আহত হয় দুই শতাধিক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভোলায় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম ও চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই কমসূচি অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার ভোলা হাটখোলা মসজিদের সামনে কালো পতাকা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতারা। কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেলের দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটখোলা মসজিদে তৌহিদি জনতা আসা শুরু করলে পুলিশের বাধায় তারা ফিরে যান। এ সময় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করেন।
এ দিকে সারা দেশের কর্মসূচি অনুযায়ী ভোলায় সকালে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাধায় করতে পারেনি বলে নেতারা জানিয়েছেন। দুপুরের পর থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করা হয়। যার ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মোতায়েন করা হয়। অপর দিকে বোরহানউদ্দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ মামলা দায়ের করে। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতা মাওলানা তরিকুল ইসলাম বলেন, বোরহান উদ্দিনের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি। গতকাল বিকেলে ভোলার হাটখোলা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হয়। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য আসতে শুরু করে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করে মানুষকে শহরে আসতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধার মুখে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হই। বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও শুক্রবার নিহতদের স্মরণে দোয়া মুনাজাতের কর্মসূচি রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ছয় দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ যাত্রী বলেন, আমরা অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে সদরে যাচ্ছি। পুলিশ যানবাহন থামিয়ে আমাদের তল্লাশি করে। যার কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, সহিংসতা এড়াতে শহরে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলরত রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement