১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুয়েটের ১৯ আসামি এখন কাশিমপুর কারাগারে

-

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ১৯ আসামির সবাই এখন গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ১৯ আসামির সবাইকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার অমিত সাহাসহ তিনজনকে ঢাকার ওই কারাগার থেকে এ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৩ নবেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।
কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্তরা হলোÑ বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (বুয়েটের সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান রবিন (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মো: অনিক সরকার, (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ১৬তম ব্যাচ), মো: মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো: মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৫তম ব্যাচ), মো: মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো: মোজাহিদুল রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খোন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো: জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো: আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো: শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৭তম ব্যাচ), মো: শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো: তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো: মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো: মোয়াজ (সিএসই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) ও মুনতাসির আল জেমিসহ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)। এরা সবাই বুয়েটর একই ছাত্রবাসের ছাত্র।
নাজমুস সাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
আদালত প্রতিবেদক জানান, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গতকাল পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আসামির জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেছেন। আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা মহানগর হাকিম সরফুজ্জামান আনছারিকে দায়িত্ব দেন। তিনি দায়িত্ব পেয়ে আসামির দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন। জবানবন্দী শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গত ১৬ অক্টোবর নাজমুস সাদাতকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন আবরার হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। সাদাত বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সে জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপারার হাফিজুর রহমানের ছেলে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল