জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফেরত নিলেন আইনজীবীরা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফেরত নিয়েছেন তার আইনজীবীরা। গতকাল বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।
এর আগে শুনানিতে আদালত বলেন, যেহেতু বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের একটি জ্যেষ্ঠ বেঞ্চে শুনানি হয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি এখন আপিল বিভাগে নিয়ে যেতে পারেন। জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হলেও আপনাদের শুনতে কোনো বাধা নেই। আপনাদেরও শুনানি গ্রহণের এখতিয়ার রয়েছে।
এরপর আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে কোনো সাড়া না দিলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, তা হলে জামিন আবেদনটি আমরা (টেক ব্যাক) ফেরত নিতে চাই। এরপর আবেদনটি ফেরত নেন এই আইনজীবী।
এ দিকে আবেদন ফেরত নেয়ার পর এখন হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের পর রেগুলার বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া সংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ-জাতীয় মামলায় অন্যদের আপিল গ্রহণের সময় জামিন দেয়া হলেও বেগম খালেদা জিয়া প্রথমত অসুস্থ, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, দ্বিতীয়ত মহিলা এবং স্বল্পকালীন সাত বছরের সাজা মামলায় দুই বছর কারাগারে অতিক্রান্ত হলেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না।
গতকাল বুধবার আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে তা গ্রহণ করে কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন আদালত। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় আবেদনটি গতকাল বুধবার কার্যতালিকায় আসে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদন আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।
গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন।
ওই দিন আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, সাত বছরের সাজায় জামিন নামঞ্জুর করা খুবই দুঃখজনক। হাইকোর্ট সাত বছরের সাজার এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা লজ্জাবোধ করছি। রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। এ কারণে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২০ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে এ মামলার নথি পাঠানো হয়। গত ১৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও একই দণ্ড দেন আদালত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা