২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারি ৪ ব্যাংকে আর কোনো অর্থসহায়তা দেয়া হবে না : অর্থমন্ত্রী

-

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণীকে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অর্থ বরাদ্দ (রিফাইন্যান্সিং) দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুনাফা করেই তাদের বেতন নিতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, দেশে খেলাপি ঋণ এখনই কমার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও সিইও/ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে আলোচনা শেষে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইআরডি অফিসে এ আলোচনা সভা হয়।
খেলাপিঋণসহ নানা কারণে মূলধন ঘাটতি হওয়ায় তা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতি বছরই সরকারের শরণাপন্ন হতে হয় এবং সরকারও তাদের চাহিদা মিটিয়ে আসছে।
অর্থ বিভাগের এক তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মূলধন পুনর্ভরণ, সুদ ও ভর্তুকিসহ নানা উপায়ে সরকার এই ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে এখন থেকে আর রিফাইন্যান্সিং নয়। প্রতি বছর যে রিফাইন্যান্সিং করতাম লস (ঘাটতি) কভার করার জন্য, দ্যাট অফ (তা বন্ধ)। দ্যাটস স্টোরি অব পাস্ট (এটা এখন থেকে অতীত)। আর কোনো দিন রিফাইন্যান্সিং হবে না।’ তিনি বলেন, তাদের অর্থ আয় করতে হবে। এ দেশের মানুষকে দেখাশোনা করেই তাদের বেতন নিতে হবে। ’
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকগুলোর জন্য বরাদ্দ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের বাজেটে বরাদ্দ নেই।’ এ সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও/ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর চারটি ব্যাংক চাইলেই দেশের ব্যাংক খাতকে বেগবান রাখতে পারে। আমরা চারটি ব্যাংককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা অনেক বড়। আমাদের বৃহত্তর চারটি ব্যাংক তারা। তাদের যে এক্সারসাইজ, তাদের যে অবস্থান ব্যাংক খাতে, এ চারটি ব্যাংক চাইলেই সার্বিকভাবে আমাদের ব্যাংক খাতকে বেগবান রাখতে পারে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা আলোচনায় সুনির্দিষ্টভাবে কিছু রাখিনি। আজ আমরা একে-অপরকে জানব, তাদের জন্য আমাদের শুভ কামনা থাকবে সব সময়। তারা আমাদের একটি কর্মপরিকল্পনা দেবেন, কিভাবে ব্যাংক খাতকে আরো শক্তিশালী, আরো বেগবান করবেন এ বিষয়ে তারা আমাদের অবহিত করবেন। এ জন্য আজকে আমরা এখানে বসেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে খেলাপিঋণ এখনই কমার সুযোগ নেই। ‘নন-পারফর্মিং লোন (খেলাপি ঋণ) আমাদের এখানে কমার কোনো সুযোগ নেই। কারণ নন-পারফর্মিং লোন কমানোর জন্য যে এক্সিট প্ল্যান দিয়েছিলাম, সেটা এখনো কার্যকর করতে পারি নাই।’
এ সময় এক সংবাদকর্মী প্রশ্ন করেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বলেছিলেন, খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। এখন এর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করবেন কি না? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। খেলাপি ঋণ বাড়ছে এটা আমি মানব না। যেদিন আমি বলেছিলাম খেলাপি ঋণ বাড়বে না, সেদিনই আমি বলেছিলাম একটা এক্সিট প্ল্যান রাখব। সেই এক্সিট প্ল্যান কার্যকর হলে বলবেন যে, বাড়ছে কি বাড়েনি।’
শুধু কি এক্সিট প্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়াই খেলাপি ঋণ না কমার কারণ? এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অবশ্যই। ব্যবসায়ীরা তো এখন টাকাই দিচ্ছে না। এমন কি যারা দিত, তারাও এখন দিচ্ছে না। তারা এ সুযোগ নেবে, তারা তো ব্যবসায়ী।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি এর সুরাহা করব। সুরাহা করলে আমাদের অবস্থা আপনারাই মূল্যায়ন করতে পারবেন। আপনারা খুশি হবেন। তখন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্রই বদলে যাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
‘কাম না করলে তো ভাত জুটবো না, তাই রোইদের মধ্যেই কাম করি’ গাজা ইস্যুতে ইউরোপের নীতির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা

সকল