১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

-

জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়টিকে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে মনে করে বাংলাদেশ।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত এই ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করে, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সবসময়ই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য অগ্রাধিকার।
তিন দিনের সফর শেষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা ত্যাগের পরপরই জম্মু-কাশ্মির ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার তার অবস্থান তুলে ধরে। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের এ অবস্থান ভারতের পক্ষে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে গেছে।
ঢাকা সফরকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আসামের অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটি ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন জয়শঙ্কর।
বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর আসামের অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাশ্মির ইস্যুতেও একই ধরনের অবস্থান নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়শঙ্করের এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। চলতি বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি হিসেবে আসামের অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অমিত শাহ। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে অমিত শাহের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে ইস্যুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ বিবৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। তবে বাংলাদেশের আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। আসামে প্রায় ৪০ লাখ অধিবাসী এনআরসি হিসেবে পরিচিত জাতীয় নাগরিকপুঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। এসব মানুষকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা ভারতের রাজনীতির একটি উত্তপ্ত ইস্যু।
৩৭০ ধারা হলো ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী বিধান। ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর এই ধারার আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিল। ৩৭০ ধারা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে জম্মু-কাশ্মিরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সংসদ বা কেন্দ্রের কোনো আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না। গত ৫ আগস্ট ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর মুসলিমপ্রধান কাশ্মিরের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার ও কারফিউ জারির মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবদমান এই রাজ্যটির জনজীবন প্রায় স্তব্ধ করে দেয়া হয়।
জয়শঙ্করের টুইট : কাশ্মির ইস্যুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি নিজ টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা পর আজ (বুধবার) সকালে ঢাকা ছাড়ছি। আমাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সম্পর্কের এমন ইতিবাচক অগ্রগতি দেখে ভালো লাগছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝুলন্ত নারীর লাশ উদ্ধার মধুর প্রতিশোধে সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ রাজশাহীতে ভুয়া তিন সেনা সদস্য গ্রেফতার ডেঙ্গুতে আরো একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগ নেতাকে ইসির শোকজ বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা চরফ্যাশনে স্কুল শিক্ষিকাকে কোপানো মামলার আসামি গ্রেফতার ফরিদপুরে মাইক্রোবাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ভেটো ছাড়াই ফিলিস্তিনের জাতিসঙ্ঘ সদস্যপদ ঠেকানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

সকল