২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পুরুষ মশা বন্ধ্যা করতে ঢাকায় আইএইএ’র প্রতিনিধিদল

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ আরো ৫ জনের মৃত্যু

ডা: রেহানা বেগম -

আরো একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। প্রবাসী এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২৫ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: রেহানা বেগম স্বামীসহ যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল। এর আগেই চিরবিদায় নিয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী খ্যাতনামা এই চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর বাইরে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। আগের দুই দিনের চেয়ে গতকাল রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। গতকাল সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫৭২ জন। রাজধানীর বাইরে দেশের অবশিষ্ট অংশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গতকালও বেশি ছিল। গতকাল রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫০ জন, আর রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২২ জন। গত সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬১৫ এবং গত রোববার আক্রান্ত হন এক হাজার ৭০৬ জন।
এ দিকে ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে আজ বুধবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ), জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে বলে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে এডিস মশার জন্মরোধে এসআইটি পদ্ধতি প্রয়োগবিষয়ক সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসআইটি একটি পরিবেশবান্ধব মশক দমন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পুরুষ এডিস মশাকে তেজস্ক্রিয়তার (রেডিওয়েশন) মাধ্যমে বন্ধ্যা করা হবে। পরে এই বন্ধ্যা পুরুষ মশা স্ত্রী মশার সাথে মিলিত হলেও স্ত্রী মশার ডিম ফুটে নতুন মশা সৃষ্টি হবে না। এভাবে এক সময় ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা কমে যাবে। ভিয়েনায় বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে আইএইএ এসআইটি বিশেষজ্ঞ দলকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞ দলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
জানা গেছে, প্রবাসী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: নজরুল ইসলামের স্ত্রী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: রেহানা বেগম ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল মারা গেছেন। ডা: রেহানা বেগম ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চলতি মাসের ১১ তারিখ স্বামীসহ তার আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় তিনি যেতে পারেননি। গতকাল বিকেলে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ২২ জুলাই হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: শাহাদাত হোসেন হাজরা মারা গেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। তিনি মারা যান শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। ২৫ জুলাই মারা গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনারারি চিকিৎসক ডা: তানিয়া সুলতানা। এর আগে বাংলাদেশ কুয়েত হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা: নিগার সুলতানা দিপু স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ছয় হাজার ৪৭০ জন। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ১২৯ জন। মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০৫ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৫, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০, পুলিশ হাসপাতালে ১৬, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫৭, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২১ জন, বিজিবি হাসপাতালে তিনজন। ঢাকার বাইরের ঢাকা বিভাগে ২১৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩০, খুলনা বিভাগে ১৪৪, রাজশাহী বিভাগে ৮৬, রংপুর বিভাগে ৪৪, বরিশাল বিভাগে ১৩৫, সিলেট বিভাগে ১৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক স্কুল শিক্ষিকা, দুই গৃহবধূসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ফরিদপুর, শরীয়তপুর এবং বরগুনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ফরিদপুর, শরীয়তপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্তদের ডেঙ্গু যন্ত্রণার পাশাপাশি স্বজনদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফরিদপুর মেডিক্যালে একজনের মৃত্যু : ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত সাহেব আলি (৪৫) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। সাহেব আলি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাটিপাড়া গ্রামের মনসের আলির ছেলে। তিনি নিজ এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: কামদা প্রসাদ সাহা জানান, রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড হয়ে গত সোমবার দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহেব আলি ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। সাহেব আলির জামাতা জাহাঙ্গীর মোল্লা জানান, ঈদের আগে তিনি ঢাকায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসে রাজবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। বর্তমানে জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৫৭ জন। গত ২০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ২৮৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু : ফরিদপুরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেছেন সামিয়া আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূ। নিহত সামিয়া ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর মহল্লার সৈয়দ আবু সালেহ সাঈদের মেয়ে এবং বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি গ্রামের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ মোর্শেদের স্ত্রী। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সামিয়ার বাবা সৈয়দ আবু সালেহ সাঈদ জানান, সামিয়া ও তার স্বামী ঢাকার শ্যামলী থাকতেন। গত ১০ আগস্ট ঈদের ছুটিতে তিনি ফরিদপুরে বাবার বাড়িতে এসে রাতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু ঢামেকে শয্যা না থাকায় তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক এই ডেঙ্গুজ্বরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাতজন এবং ফরিদপুর থেকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেছেন আরো পাঁচজন।
ডামুড্যায় গৃহবধূর মৃত্যু : শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, ডামুড্যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সুরাইয়া ইয়াসমীন (৩১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত ৩টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। সুরাইয়া ইয়াসমীন ডামুড্যা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের কামাল ঢালীর স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুরাইয়া সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতেন। কোরবানি ঈদের কয়েক দিন আগে দেশের বাড়ি আসেন। গত শনিবার তার শরীরে জ্বর অনুভব হলে তাকে প্রথমে ডামুড্যা হ্যাপী কিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গুজ্বর ধরা পড়ে। এরপর তাকে আলী আজম হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে একটু সুস্থ অনুভব করলে গত সোমবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাত ৩টায় তিনি মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জন আক্রান্তসহ এ জেলায় ৩২৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫৬ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বরগুনায় শিক্ষিকার মৃত্যু : বরগুনা সংবাদদাতা জানান, বরগুনার আমতলীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোসাম্মৎ আসমা বেগম (৪৫) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা গত সোমবার মধ্যরাতে মারা গেছেন। আসমা আমতলী এ কে হাইস্কুলসংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং কলাপাড়ার নীলগঞ্জ দৌলতপুর সালেহিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো: সোহরাফ হোসেন স্বপন তালুকদারের স্ত্রী। জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট সদ্য এইচএসসি পাস করা তার বড় মেয়ে ঢাকায় কোচিং করতে যাওয়া লুবা আক্তারের কাছে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত ১৭ আগস্ট শনিবার সকালে তিনি আমতলীতে ফিরে এসে কর্মস্থলে যোগ দেন। বিদ্যালয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ওঠায় তিনি সহকর্মী শিক্ষকদের জানিয়ে দুপুরে বাসায় চলে যান। বেলা ৩টায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে দেখেন তার ডেঙ্গুজ্বর হয়েছে। সাথে সাথে ওই দিন বিকেলে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তিনি পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখেন তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তখন তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে এক দিন থাকার পরে গত সোমবার রাত ৮টায় তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক আসমাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটে রাত সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্বামী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
সাতীরায় আরো ২২ রোগী ভর্তি : সাতীরা সংবাদদাতা জানান, সাতীরায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাতীরার বিভিন্ন হাসপাতালে আরো ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে সাতীরায় গতকাল পর্যন্ত ২৬১ জন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছেন ৫৮ জন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো ১৮০ জন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে আরো ২৩ জনকে। আক্রান্তদের সাতীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে জেলায় প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সাতীরার সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহিন জানান, বর্তমানে সাতীরায় স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement