২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত স্থগিতের আদেশ বহাল : রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ

-

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসাথে মামলার বিষয়ে জারি করা রুল আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির অ্যাপিলেট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে মামলার তদন্তে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে রুলটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মামলার তদন্তে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহালই থাকছে।
শুনানিতে তার সাথে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ। অন্য দিকে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যে আইনের মামলায় শহিদুল আলমকে আসামি করে এফআইআর দেয়া হয়েছিল, সে আইনের কয়েকটি ধারা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত হাইকোর্ট স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। গত ৪ এপ্রিল এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা লিভ পিটিশন দায়ের করেছিলাম। রোববার শুনানির তারিখ ছিল। আপিল বিভাগ খুব দ্রুত হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়ে আমাদের আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলমের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ মার্চ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বযে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এরপর ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন উসকানিমূলক মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মার্চ তিনি হাইকোর্র্ট রিট আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত প্রথমে শহিদুল আলমের মামলার নথি তলব করেন। পরে সেই নথি দেখার পর গত ১৪ মার্চ হাইকোর্ট মামলার তদন্ত স্থগিতের আদেশ দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ

সকল