২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য

২০৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২৪ জন

-

এবারের ঈদযাত্রায় ২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৪জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬৬জন। অপর দিকে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব মিলিয়ে ২৪৪টি দুর্ঘটনায় ২৫৩ জন নিহত ও ৯০৮জন আহত হয়েছেন।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, ঈদ যাত্রা শুরুর দিন অর্থ্যাৎ ৬ আগস্ট থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থল ফেরা পর্যন্ত বিগত ১২ দিনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখানো হয় এ সময়ে ৩৭জন শ্রমিক, ৭০টি নারী,২২জন শিশু, ৪২জন ছাত্র-ছাত্রী, ৩জন সাংবাদিক, ২জন চিকিৎসক, ৮জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য, তিনজন রাজনৈতিক নেতা, ৯০০জন যাত্রী ও পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ সময়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ১১টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ১জন, ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ১টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ১টি ঘটনায় মোট ১৩জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌ-পথে ২৪টি ছোটখাট বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১৬জন, ৫৯জন নিখোঁজ ও ২৭জন আহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন মোজাম্মেল হক বলেন, এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য, যানজটের ভোগান্তি, রেলপথে সিডিউল বিপর্যয় ও টিকিট কালোবাজারি, ফেরি পারাপারে ভোগান্তিসহ নানা কারণে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে।
তিনি বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, অদক্ষ চালক ও হেলপার দিয়ে যানবাহন চালানো, বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল, সড়ক মহাসড়কে ফুটপাথ না থাকা, ঈদফেরত যাতায়াতে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকা বা মনিটরিং শিথিলতা, মোটরসাইকেলে দূরপথে ঈদযাত্রা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
তিনি দুর্ঘটনারোধে বেশকিছু সুপারিশ পেশ করেছেন। এগুলো হলোÑ চালক প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার পদ্ধতি আধুনিকায়ন, রাস্তায় ফুটপাথ-আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, জেব্রাক্রসিং অঙ্কন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও গবেষণা, ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, চালক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ, মহাসড়কে গতি নিরাপদ করা, ধীরগতি ও দ্রুততগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা, যানবাহনে যাত্রার আগে ত্রুটি পরীক্ষা, ঈদের আগের মতো ঈদের পরে মনিটরিং চালুর পরামর্শ দেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement