২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বরিস জনসনই নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

-

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনকে নির্বাচিত করেছে। এতে করে তিনিই হচ্ছেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি, রয়টার্স।
আজ বুধবার বাকিংহাম প্যালেসে রানী এলিজাবেথের সাথে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এরপরই বরিস জনসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন রানী এলিজাবেথ। দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য দেবেন জনসন।
বরিস জনসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। বড় ব্যবধানেই হান্টকে পরাজিত করেছেন জনসন। ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন জনসন। হান্ট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট। থেরেসা মের উত্তরসূরি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের জটিল অঙ্ক বরিস জনসনকেই মেলাতে হবে। সে জন্য তার হাতে সময় আছে তিন মাস। যদিও প্রচারণার পুরো সময় চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে সরব ছিলেন জনসন।
দলে বিদ্রোহের মুখে থেরেসা মে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোটের আয়োজন করে কনজারভেটিভ পার্টি। সেই দৌড়ে শেষ পর্যন্ত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। জয়ী ঘোষণার পর জনসন ‘দল তার ওপর যে আস্থা দেখিয়েছে তিনি তার যোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন’ বলে আশা প্রকাশ করেন। বরিস বলেন, আমি দল নিয়ে দ্রুত কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ব। ‘প্রচার শেষ, এবার কাজ শুরু করার সময় হয়েছে’ বলে বক্তব্য শেষ করেন জনসন।
বিশ্বনেতারা ইতোমধ্যে বরিস জনসনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে থেরেসা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন জনসনের সমালোচনা করেছেন। একাধিক টুইট বার্তায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বরিস জনসন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি।
এ দিকে জনসনের বিজয়ী হওয়ার খবর প্রকাশের পরপরই এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বরিস জনসনকে শুভেচ্ছা। তিনি অসাধারণ হবেন।’ এর আগে ট্রাম্প দেশটির সংবাদপত্র দ্য সানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের জন্য বরিস জনসনই হবেন ‘চমৎকার’ ব্যক্তিত্ব। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে থেরেসার পরিকল্পনার সাথে একমত হতে না পারায় এক বছর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নানা কারণে আলোচিত জনসন। কিন্তু নিজের দলে বিদ্রোহের মুখে গত ৭ জুন নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিতে বাধ্য হন থেরেসা মে, যদিও তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত।
গত বছর বোরকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন। বোরকা পরা মুসলিম নারীদের ‘চিঠি ফেলার বাক্সের মতো লাগে’ এবং ওই নারীদের ‘ব্যাংক ডাকাতের’ সাথে তুলনা করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন তিনি। ডেইলি টেলিগ্রাফের এক নিবন্ধে বরিস জনসন আরো বলেছিলেন, বোরকা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয়, কিন্তু এটাকে দেখতে ‘হাস্যকর’ লাগে।


আরো সংবাদ



premium cement